গয়না পরতে কে না ভালোবাসেন। সোনার গয়নার সম্ভার কমবেশি সকলের কাছেই রয়েছে। কিন্তু গয়না দীর্ঘদিন একটানা ব্যবহার করলে তাতে ময়লার আস্তরণ পড়ে যায়। হারিয়ে যায় তার ঔজ্জল্য। আর সেই উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে বার বার যেতে হয় গয়নার দোকানে। কিন্তু বাড়িতেই যদি ভালো ভাবে সোনার গয়না পরিষ্কার করতে পারেন, তাহলে আর শুধু শুধু দোকানের দ্বারস্থ হতে হয় না। আবার পকেট থেকে বাড়তি খরচ হয় না। সোনা পরিষ্কার রাখার কয়েকটি ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে, যেগুলি মেনে চললে ঝকঝকে করবে সাধের গয়না। সেগুলি কী কী?
গয়নার জেল্লা ফেরাবেন কীভাবে?
ভিনিগার ও বেকিং সোডা
● ৫০ মিলি ভিনিগার এবং ৩০ গ্রাম বেকিং সোডা অল্প গরম জলে দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিতে হবে। এরপর একটি টুথব্রাশ দিয়ে গয়নার সারা গায়ে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর ঘষে ঠান্ডা জলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। ঝকঝক করবে।
লিকুইড ডিটারজেন্ট
● একটু উষ্ণ জলে লিকুইড ডিটারজেন্ট গুলে কিছুক্ষণ রেখে দিন। ওই মিশ্রণটিতে সোনার গয়না মিনিট পনেরো ডুবিয়ে রেখে দিন। এরপর টুথব্রাশ দিয়ে আলতো করে ঘষে ফেলুন। তারপর পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন আগের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড
● একটি বাটিতে ১০০ মিলি হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ধেলে নিন। এ বার তার মধ্যে সোনার গয়নাগুলি দিয়ে দিন। দেখবেন, বুদবুদ উঠছে। তার মানে পরিষ্কার হচ্ছে। এ ভাবে কিছুক্ষণ রাখার পর যখন বুদবুদ ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে। তখন গয়নাগুলি একটা কাঁটা দিয়ে তুলে পেপার টাওয়েল দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। দেখবেন, নতুনের মতো চকচক করছে।
জয়রামবাটিতে অনেক সময়ই ফুল পাওয়া যেত না বলে শ্রীমা কেবল তুলসীপাতা ও জল দিয়ে ঠাকুরের পুজো করতেন। সেখানে থাকার সময় শরৎ মহারাজ গণেন্দ্রনাথকে নিয়ে কখনও শিহড়ে, কখনও আমোদর নদের তীরে যেতেন শ্রীমার পুজোর ফুল সংগ্রহ করার জন্য। শিহড়ে কাঞ্চনগাছে ও আমোদরতীরে গুলঞ্চগাছে চড়ে গণেন্দ্রনাথ ফুল পাড়তেন আর শরৎ মহারাজ নীচে থেকে তা কুঁড়োতেন। এমনকি, মা সারদা যখন বেলুড়ে নীলাম্বর বাবুর বাড়িতে থাকতেন, তখন, তাঁর পুজোর ফুল জোগাড় করার জন্য স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ রাত চারটে উঠে শিউলিতলায় চাদর বিছিয়ে রাখতেন।
মা সারদার মেজোভাই কালীকুমার যে জমিতে বাড়ি করেন, আগে সেখানে অনেক ফুলের গাছ ছিল। শ্রীমা তখন নিজহাতে ফুল তুলে ঠাকুরের পুজো করতেন। তাঁর আচরণ দেখে ভক্তদের মনে হত, তিনি যেন ঠাকুরকে প্রত্যক্ষ করে কথা বলছেন। প্রকৃতপক্ষে, ঠাকুরকে তিনি আর পাঁচজনের মতো শুধু ছবিমাত্র দেখতেন না। সাক্ষাৎ ঠাকুরের সঙ্গে তাঁর মিলন ও কথা হত। কলকাতায় তাঁর নিজের বাড়িতে যখন প্রথম শুভাগমন হয়, তখন ঠাকুরঘরের পাশের ঘরেই তাঁর শোবার জন্য নির্দিষ্ট করা হয়। তাই দেখেই শ্রীমা বলেছিলেন, ‘ঠাকুরকে ছেড়ে কি আমি থাকতে পারি? আমাকে ঠাকুরঘরেই দাও’।
ট্যালকম পাউডার
● শুধুই জল দিয়েও গয়না পরিষ্কার করে নেওয়া যেতে পারে, সেক্ষেত্রে গয়না পরিষ্কারের পর তাতে ট্যালকম পাউডার দিয়ে কাপড় দিয়ে মুছলেও গয়নার ঝকঝকে ভাব ফিরে আসে।
কাপড় কাচার সাবানে
● সোনার গয়না পরিষ্কার করতে চারকোলও বেশ কাজের। সে ক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ কাপড় কাচার সাবানের সঙ্গে চারকোল মিশিয়ে নিন, তার পর গয়না পরিষ্কার করুন।
ক্ষার ছাড়া সাবান
● গয়না পরিষ্কার করতে ক্ষার ছাড়া সাবানও ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে ক্ষার ছাড়া সাবানকে জলে মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর সেই মিশ্রণ কাপড়ে নিয়ে গয়নার উপর ঘষলে গয়নার রং আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
* আলোকের ঝর্ণাধারায় (sarada-devi): ড. মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় (Dr. Mousumi Chattopadhyay), অধ্যাপিকা, সংস্কৃত বিভাগ, বেথুন কলেজ।