বুধবার ১৮ জুন, ২০২৫


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

দিন দিন বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে আর্দ্রতা। সকাল হতে না হতেই বাইরে বেরোলেই চোখ-মুখ পুড়ে যাবার মতো অবস্থা। তবে বাড়িতে থাকলেই যে স্বস্তি মিলছে, তা কিন্তু একেবারেই নয়। রোদের দাবদাহে গনগনে হয়ে উঠছে বাড়িঘর। দুপুরে এই সময় বাড়িতে থাকাই দায় হয়ে উঠছে। অগত্য দীর্ঘক্ষণ চালিয়ে রাখতে হচ্ছে এয়ার কুলার বা এসি। কিন্তু এই বাতানুকূল যন্ত্রও যে সর্বক্ষণ চালিয়ে রাখা যায় তা-ও নয়। আবার সেটি বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গেই ঘর আবার গরম হয়ে উঠছে। এর থেকে বাঁচার উপায় কী?

তবে এসি বা এয়ার কুলার দীর্ঘ সময় না চালিয়েও ঘর ঠান্ডা রাখা যায়। বিশেষ করে দুপুরে যখন তাপমাত্রার পারদ সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, সেই সময়ে কোন কোন কৌশলে ঘর ঠান্ডা রাখবেন জেনে নিন।
 

ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়

 

ঘরে যেন ঠিক মতো হাওয়া চলাচল করে

গরম কালের দুপুরে সাধারণত রোদের হলকার হাত থেকে বাঁচতে সব জানলা-দরজা বন্ধ করে দিলে ঘর আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। দুপুরে জানলা বন্ধ রেখে পর্দা টেনে দিন। তবে বিকেলে জানলা খুলে দিন। বিকেলের পর থেকে বাইরের তাপমাত্রা কমতে থাকে। তখনও সব জানলা-দরজা বন্ধ করে রাখেন, তা হলে আপনার ঘর আরও বেশি গরম হয়ে উঠবে। তাই সন্ধ্যার পর জানলা, দরজা খুলে রাখুন। ঘরে হাওয়া-বাতাস খেলতে দিন। একটু পরে এমনিতেই ঘর ঠান্ডা হয়ে আসবে।

আরও পড়ুন:

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৬২: এক নির্বাসিত রাজপুত্রের কথা

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-১০১: মা সারদার মায়িকবন্ধন ত্যাগ

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১১৮: একটি খালি বিয়ারের বোতল

 

পর্দা লাগান সুতি বা লিনেনের

গরমের দিনে বিছানায় সুতির চাদর ব্যবহার করুন। পর্দা হালকা রঙের সুতি বা লিনেনের হলেই ভাল।। হালকা রঙের চাদর আর পর্দা তাপ প্রতিফলিত করে ঘর ঠান্ডা রাখতে পারে। তাছাড়া শেয়াল রাখতে হবে চাদর আর পর্দা বেশি ময়লা হওয়ার আগেই সেগুলিকে কেটে ফেলতে হবে।

আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৮২: যে রাজাকে দেখলে প্রজারা ভয় পান, সেই রাজা ভালো প্রশাসক হতে পারেন না

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১১৮: সত্যনিষ্ঠতার মাপকাঠি কী নাস্তিকতার নিরিখে বিচার্য?

 

জোরালো নয়, হলকা আলো জ্বালান

ঘর আবছা অন্ধকার থাকলে গরম কম লাগবে। তাই টিউলাইট বা বেশি ওয়াটের আলো ব্যবহার করলে গরম কম লাগে। যাঁরা কম্পিউটারে কাজ করছেন, তাঁদের কম আলোতে অসুবিধে হলে টেবিল ল্যাম্প জ্বেলে নিন। এলইডি আলো থাকলে ভালো হয়।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-১০৩: জলপিপি

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৫৯: নীল হ্রদের পারে, নীল আকাশের নিচে লাল রঙের হেলিকপ্টার অন্য মাত্রা এনে দিয়েছিল

 

ব্যবহার করতে পারেন খসখস

এসির বিকল্প নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বহু দিন ধরেই। আর এই সূত্র ধরেই উঠে আসছে ঘর ঠান্ডা রাখার প্রাকৃতিক উপায়। তা হল খসখস। ঘাসের শিকড় দিয়ে তৈরি খসখসের পর্দা ভিজিয়ে ঘরে টাঙিয়ে রাখলে ঠান্ডা হয় ঘর এক লহমায়।

আরও পড়ুন:

সত্যজিতের রায়, অপু থেকে আগন্তুক, পর্ব-২: “জনৈক গণশত্রুর জবানবন্দি”

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১১৯: আশ্রমের ছাত্ররা বৃষ্টিতে ভিজলে কুইনাইন খাওয়ানো হত

 

ঘর সাজান গাছপালা দিয়ে

ঘরের মধ্যে গাছ রাখলে তা দেখতেও সুন্দর লাগে, আবার গরমের দিনে তাপও শুষে নেয়। মানিপ্লান্ট, অ্যালো ভেরা, স্নেক প্লান্ট, এরিকা পাম ঘরে দিব্যি মানানসই হয়ে যায়। এইসব গাছ একদিকে যেমন ঘরের কার্বন ডাই অক্সাইড ছেঁকে নেয় অন্যদিকে তেমনি বিশুদ্ধ অক্সিজেন দেয়। খুব কম জলে বেঁচে থাকে দীর্ঘদিন। এদের। বেশি আলোরও প্রয়োজন নেই। সপ্তাহে একদিন বা কোনও কোনও সময়ে দশ দিনে একবার জল দিলেও বেশ তরতাজা থাকে।

গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম

‘সময় আপডেটস’ -এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com


Skip to content