দাঁতে ব্যথা নিয়ে যাঁরা ভুগেছেন, একমাত্র তাঁরাই জানেন এই যন্ত্রণা কতটা কষ্টকর ও অসহনীয়। এ ক্ষেত্রে ব্যথার ওষুধ খেয়ে সাময়িক কিছুটা স্বস্তি মিললেও, যন্ত্রণা
যেন কিছুতেই সহজে পিছু ছাড়ে না। আবার দাঁতে যন্ত্রণা হলে খাওয়াদাওয়ার পরিমাণও কমে যায়। এমন সময় তরল জাতীয় খাবার খাওয়া ছাড়া কোনও উপায়ও থাকে না। পাশাপাশি দন্ত চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, দাঁতে ব্যথার সময় কিছু খাবার না খাওয়াই ভালো। এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দাঁতের যন্ত্রণায় ভুগলে কোন কোন খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত?
দাঁতে যন্ত্রণার সময়ে কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে না?
আপেল
● চিকিৎসকেরা রোজ একটি করে আপেল খাওয়ার পরামর্শ দেন। যদিও দাঁতে ব্যথার সময় চিকিৎসকেরা আপেল এড়িয়ে চলার কথা বলছেন। কারণ আপেল কামড়াতে গিয়ে শক্ত অংশ দাঁতে লাগতে পারে। আবার চিবোনোরও সমস্যা হতে পারে। তাই দাঁতে ব্যথার সময় আপেলের পরিবর্তে কলা বা পেঁপে খেতে পারেন।
চকোলেট
●চকোলেট খেতে কে না ভালোবাসে। তবে দাঁতে ব্যথার সময় ভুলেও চকোলেট খাওয়া যাবে না। চকোলেটে অনেকটা পরিমাণে চিনি থাকে। দাঁতে ব্যথার সময় চিনি খেলে অন্য সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি চকোলেট আঠালো জাতীয় একটি খাবার। তাই দাঁতে ফাঁকে ঢুকে গিয়ে সংক্রমণজনিত সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
খুব গরম অথবা ঠান্ডা
● দাঁতে ব্যথার সময় খুব ঠান্ডা কিছু খাওয়া যাবে না। আবার গরম জাতীয় কোনও খাবারও এমন সময় এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ খুব ঠান্ডা খাবার খেলে দাঁতে শিরশিরানি অনুভূতি হতে পারে। আবার খুব গরম খাবার খেলেও দাঁতে কষ্ট হতে পারে।
বাদাম
● বাদাম শরীরকে শক্তি জোগায়, তবে দাঁতে ব্যথার সময় বাদাম না খাওয়াই বুদ্ধিমানে কাজ হবে। কারণ বাদাম শক্ত জাতীয় খাবার। তাই চিবোতে গিয়ে আচমকা দাঁতে আঘাত লাগতে পারে। ফলে এর জন্য আবার নতুন করে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দাঁতে ব্যথার সময় কাজুবাদাম, আখরোট কোনও কিছুই এনা খাওয়াই শ্রেয়।