শনিবার ৯ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

অনেকে মনে করেন, রক্তশূন্যতা দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় লালশাক খাওয়া। ধারণাটি ভুল নয়। তবে শুধু রক্তশূন্যতা দূর করার জন্য প্রয়োজনীয় আয়রনই নয়, এই শাকে রয়েছে আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান। সেই সব উপাদান শিশুদের শারীরিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। রঙিন হওয়ার কারণে লাল শাক বাচ্চারা খেতে বেশ পছন্দই করে।
 

লালশাকের পুষ্টি উপাদান

 

১০০ গ্রাম লালশাকে রয়েছে—

জল: ৮৮ গ্রাম
শক্তি: ৪৩ কিলোক্যালোরি
কার্বোহাইড্রেট: ৫ মিগ্রা
প্রোটিন: ৫.৩ মিগ্রা
ভিটামিন-সি: ৪৩ মিগ্রা
ক্যালশিয়াম: ৩৭৪ মিগ্রা
এ ছাড়াও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-এ, আয়রন, ক্যারোটিন, পটাশিয়াম ইত্যাদি উপাদান।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৮: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা: কাঁকড়া, গরান ও গেঁওয়া

মুভি রিভিউ: দ্য ওয়েডিং গেস্ট—অনাহুত গেস্ট দেব স্বয়ং অপহরণ করলেন কনে রাধিকাকে

 

উপকারিতা

 

রক্তশূন্যতা

লালশাকে প্রচুর আয়রন রয়েছে। তাই নিয়মিত এই শাক খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়। কারণ এই শাক রক্তে লোহিত কণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। যাঁরা রক্তাল্পতায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই শাক খুবই উপকারী।
 

ক্যানসার

শাকের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ ও ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
 

হৃদরোগ

এটি রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। লালশাকে ক্যালোরির পরিমাণও তুলনামূলক কম থাকে। সমীক্ষা বলছে, যাঁরা সপ্তাহে দু’-তিন দিন লাল শাক খান, তাঁদের হৃদ্রোগের আশঙ্কা কমে। তাঁদের রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
 

দাঁত ও হাড়ের সুস্থতায়

মানবদেহের দাঁতও অস্থিগঠনে, দাঁতের মাড়ির সুস্থতা রক্ষায় এবং মস্তিষ্কের বিকাশে লালশাকের কার্যকর ভূমিকা রয়েছে।
 

কোষ্ঠকাঠিন্য

এই শাকের আঁশ বা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আবার বাড়তি ওজন কমাতেও সহায়ক।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৩: বাবু ডাক্তার ও ‘ডাক্তারবাবু’

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৩: তরু দত্ত— এক আনন্দ বিষাদের তরুলতা

 

হাড়ের ক্ষয়

হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে এই শাকের জুড়ি নেই। অন্য বহু শাকের তুলনায় এই শাকে অনেক বেশি পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে। ৪০ বছরের পরে অনেকের হাড়ের ক্ষয়ের পরিমাণ বাড়তে থাকে। লাল শাক সেই ক্ষয় কমায়।
 

দৃষ্টিশক্তি

লাল শাক নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়। তা ছাড়া কিডনিরও উপকার হয়।
 

দাঁতের হলুদ ছোপ

শাকের এমন একটি গুণের কথা বলা যায় যেটি অন্য কোনও শাকে নেই। লাল শাক বাড়িতে আনার পরে অনেকেই তার মূলটি ফেলে দেন। কিন্তু এই মূল নুন জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। পরে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে দাঁতের হলুদ ছোপ উধাও হয়। মাত্র কয়েক সপ্তাহেই দাঁত ঝকঝকে হয়ে যায়।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৮: ছবি আঁকতে আঁকতে অবনীন্দ্রনাথ টান দিতেন গড়গড়ায়, চিবোতেন পান

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৬: শ্রীমায়ের দুই ভ্রাতৃবধূর কথা

 

সাবধানতা

বাজার থেকে লালশাক এনে খুব ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। শাক পাতায় প্রচুর ছোট ছোট পোকা থাকে। তাই খুব ভালো করে ধুয়ে নেওয়া ভীষণ জরুরি। ভালো করে সেদ্ধ করে সামান্য তেল দিয়ে রান্না করলে এই শাকে পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট। (Fiji)।

Skip to content