মঙ্গলবার ৯ জুলাই, ২০২৪


ওষুধের মতো নিয়ম করে সামান্য মিছরি খাওয়া গেলে তা শরীরের পক্ষে ভালই হবে। ছবি: সংগৃহীত।

গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না? তাহলে, রাতে কয়েক টুকরো মিছরি এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই মিছরি ভেজানো জল খেয়ে নিন ব্যস। দেখবেন সারাদিন এত গরমেও নিজেকে ক্লান্ত মনে হবে না। সেই সঙ্গে শরীরও ভীষণভাবে ঠান্ডা হবে। বাচ্চা থেকে বড় প্রত্যেকেই এই মিছরি ভেজানো জল খেতে পারেন।

মিছরি প্রধানত চিনির এক ধরনের অপরিশোধিত রূপ। আখ এবং খেজুরের রস তৈরি হয়। এতে চিনির তুলনায় মিষ্টির মাত্রাও কম থাকে। আবার খেতেও সুস্বাদু। মিছরি দেখতে সাধারণত সাদা হয়। তবে আজকাল একা বিভিন্ন রং ব্যবহার করেও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে।
 

মিছরির উপকারিতা

 

গরমকালে সর্দি ও কাশিতে ভুগলে

মিছরি সাধারণত আয়ুর্বেদিক ওষুধে কাশির প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, মিছরিতে কিছু ঔষধি গুণাবলী এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে, যা এই অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ দিতে সাহায্য করে। গলা ব্যথায় যদি কালো গোলমরিচ, ঘি-সহ মিছরি মিশিয়ে খাওয়া হয় তাহলে তাৎক্ষণিক উপশম পাওয়া যায়। মিছরি ও এলাচ মুখে রেখে দিলে তা সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে পারে।
 

পেটের সংক্রমণ কমাতে

পেটগরম হয়ে গেলে শরীর ঠান্ডা করতে মৌরি-মিছরির জল উপকারী। এক গ্লাস জলে এক চা চামচ মৌরি ও মিছরি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেই জল খেলে কাজ হবে।

আরও পড়ুন:

গরমে সুস্থ থাকতে রোজ খান ছাতু

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৪: সারদা মায়ের মানসিক দৃঢ়তা

 

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে

গরমে নাক থেকে রক্ত পড়ছে? খেতে হবে এক গ্লাস করে মিছরি ভেজানো জল। বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে টানা কয়েক দিন সকালে মিছরি ভেজানো জল এই সমস্যা থেকে মুহূর্তে মুক্তি মিলবে।
 

রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে

মিছরিতে ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাসের মতো খনিজ পদার্থ রয়েছে, যা হাড় ও দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখে। পাশাপাশিযাদের যাঁদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কম, তাঁদের জন্য এই মিছরি ভেজানো জল খুব উপাকারী। নিয়মিত এই জল খেলে সহজে আপনি ক্লান্তবোধ করবেন না। ইমিউনিটি সিস্টেম ভালো হবে।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৬: সুন্দরবনের লৌকিক চিকিৎসায় ম্যানগ্রোভ—হরগোজা ও কেয়া

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৩: বাবু ডাক্তার ও ‘ডাক্তারবাবু’

 

হজমশক্তি বাড়াতে

মিছরি হজমকারী এনজাইমগুলির নিঃসরণে সাহায্য করে। এর ফলে পাচনতন্ত্রও উদ্দীপিত হয়৷ এ ভাবে হজম প্রক্রিয়া সহজ করতে কাজ করে মিছরি। মৌরির সঙ্গে মিছরি খেলে হজমশক্তি বাড়ে। মিছরিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান হজমে সাহায্য করে।
 

শক্তি বৃদ্ধি করে

মিছরি খেয়ে আপনি তাৎক্ষণিক শক্তি পেতে পারেন। কারণ এতে চিনির পরিমাণ বেশি।

আরও পড়ুন:

মুভি রিভিউ: মহারানি সিরিজের ৩ পর্বেই হুমার অভিনয় নজর কড়েছে

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৬: যন্ত্রণাদগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রাঁচিতে পেয়েছিলেন সান্ত্বনার প্রলেপ

 

তবে মনে রাখতে হবে

অন্যান্য সব খাবারের মতোই মিছরি অতিরিক্ত খেলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। জেনে নিন অতিরিক্ত মিছরি খেলে কী সমস্যা হতে পারে।
হজম ভালো করার জন্য মিছরি খাওয়া হয়। কিন্তু এটি অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা তৈরি হতে পারে।
মিছরি ঠান্ডা জাতীয় একটি খাবার। তাই এটি অতিরিক্ত খেলে অনেক সময় ঠান্ডা লাগা বা সর্দির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মিছরি অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে রক্ত গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content