সমাজমাধ্যমে রোজ দিন নানা রকম ‘রিল’ দেখতে পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদ থেকে স্বাস্থ্যসচেতনেরা— অনেকেই দিন শুরু করেন কালো কিশমিশ ভেজানো জল বা কালো কিশমিশ খেয়ে। তবে পায়েস বা পোলাও ব্যবহারের জন্য বাজার থেকে যে কিশমিশ কেনা হয়, এগুলি কিশমিশ কিন্তু তেমন নয়। কিশমিশের রং কেমন হবে তা নির্ভর করে আঙুরের জাতের উপরেও। পুষ্টিবিদদের বক্তব্য, সাধারণ যে কিশমিশ আমরা খাই তার চেয়ে কালো কিশমিশের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি।
কালো কিশমিশে কী কী রয়েছে?
হাড়, দাঁতের জোর বাড়াতে
● দাঁত এবং হাড়কে শক্তিশালী করতে ক্যালশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ। কালো কিশমিশে এই ক্যালশিয়াম রয়েছে ভরপুর মাত্রায়। তাই নিয়মিত কালো কিশমিশ খেলে হাড় মজবুত হয়। এমনকি, অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যা প্রতিরোধ করতেও কালো কিশমিশ আগে থেকে খাওয়া শুরু করা যেতে পারে।
হজমের সমস্যা ও কোষ্ঠকাঠিন্য
● কালো কিশমিশে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। কালো কিশমিশ আমাদের হজমের সমস্যা অথবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা এড়াতে দারুণ কাজ করতে পারে। অন্ত্রের ভালো ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতেও কালো কিশমিশ সাহায্য করে।
স্ট্রেসজনিত ক্ষয়ক্ষতি
● কালো কিশমিশে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। এই ফলে রয়েছে পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো উপাদান। এই সব উপাদান আমাদের শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এমকি, কালো কিশমিশ অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে।
স্ট্রেসজনিত ক্ষয়ক্ষতি
● কালো কিশমিশে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ। এই ফলে রয়েছে পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো উপাদান। এই সব উপাদান আমাদের শরীরের ফ্রি র্যা ডিক্যালের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এমকি, কালো কিশমিশ অক্সিডেটিভ স্ট্রেসজনিত ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকেও রক্ষা করে।
অ্যানিমিয়ার সমস্যায়
● কালো কিশমিশে আয়রনের পরিমাণ বেশি রয়েছে। এমকি, কালো কিশমিশ আমাদের শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে এই ফলটি। যাঁরা রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য কালো কিশমিশ ভালো ঘরোয়া টোটকা হিসাবে কাজ করতে পারে।