শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

সুস্বাস্থ্যের জন্য খাদ্য তালিকায় সব সময় পুষ্টিকর খাবার থাকা প্রয়োজন। এই প্রচণ্ড গরমে শরীর সুস্থ রাখতে গেলে সব্জিই ভরসা। এই মরসুমে বাজারে যখন পটলের মতো সব্জি মিলছে, তখন আর অন্য খাবারে কেন? তবে পটলের নাম শুনলে অনেকেই নাক সিটকান। আবার অনেকে আছেন, যাঁরা ভাজা হোক বা ভর্তা পটল খেতে ভালোবাসেন। যাঁরা নিয়মিত পটলের পদ পাতে রাখেন, তাঁরা অজান্তেই শরীরের অনেক বড় উপকার করছেন। রোজ দিন পটল খেলে কী হয় জানেন? ডায়াবেটিস থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো একাধিক রোগের হাত থেকে মুক্তি মেলে। বিশেষ করে এই গরমে নিয়মিত পটল খাওয়ার অনেক উপকারিতা।
 

একঝলকে দেখে নিন পটলের গুণাগুণ

 

ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করে

ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে আপনি পটল খেতেই পারেন। পটল ও পটলের বীজ ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য বেশ উপযোগী। পটলে ফ্ল্যাভিনয়েডের পাশাপাশি কপার, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এই সব উপাদান রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কার্যকরী। আসলে পটলের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। অপরদিকে, ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে পটল।

আরও পড়ুন:

মুক্তি পেল জিৎ-রুক্মিণী জুটির প্রথম ছবি বুমেরাং

মুভি রিভিউ: মহাভারতের প্রেক্ষাপটে তৈরি টানটান ক্রাইম সিরিজ মৎস্যকাণ্ড

 

কোষ্ঠকাঠিন্য

তীব্র এই গরমে অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন। এই পরিস্থিতিতে চেষ্টা করুন দিনে অন্তত একটা পটলের পদ রান্না করে খাওয়ার। পটলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে।
 

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

পটলে ভিটামিন এ, বি১, বি২, সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো উপাদান আছে। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া এই সব্জিতে থাকা ফাইবার হজমের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৫: সুর হারানো হারানো সুর

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৬: কুসুমকুমারী দাশ—লক্ষ্মী সরস্বতীর যুগ্ম মূর্তি

 

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে

পটলে প্রচুর ফাইবার রয়েছে। আর এই ফাইবার পাচিত হতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগে। ফলে ঘন ঘন খিদে পায় না। আবার ১০০ গ্রাম পটলে থাকে মাত্র ২০ ক্যালোরি, যা নেই বললেই চলে। গরমে নানা ধরনের সব্জি খেয়ে যদি ওজন কমাতে চান, তাহলে পাতে রাখুন পটল।
 

সংক্রমণজনিত সমস্যার সমাধানে

পটল খেলে ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণজনিত সর্দি-কাশি কিংবা হাঁচির মতো শারীরিক সমস্যা দূরে থাকে। তাই মরসুমি সব্জি যেমন খাবেন, তেমন পটলকেও সারা বছরের সঙ্গী করে নিন।

আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৯: রসিক স্বভাব মা সারদা

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৩: এক্সপায়ারি ডেটের ওষুধ খাবেন?

 

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে

পটল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল কমাতে এবং ভালো কোলেস্টেরল বা এইচডিএল বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। ফলে হৃদ্‌যন্ত্র ভালো থাকে। কমে স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই যাঁরা কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা নিয়মিত পটল খেতে পারেন।

আরও পড়ুন:

পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৪৬: রাজার নিয়ন্ত্রণহীন অনুচরেদের কুকর্মের দায় রাজাকেই নিতে হয়

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৩৩: এখনও সারেঙ্গিটা বাজছে

 

ত্বক ভালো রাখে

বয়স ধরে রাখতে কে না চান! তাই বয়স বাড়লেও তার ছাপ যাতে ত্বকে না পড়ে সেই চেষ্টা বহু মানুষই করে থাকেন। পটলে রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। এই দুটি ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর। তাই পটল ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে।

যোগাযোগ: ৯৮৩০৭৬৮১৫২

* হেলদি ডায়েট (Healthy Diet): সুতনুকা পাল (Sutanuka Paul), পুষ্টিবিদ, ডায়েট-টু-ফাইট।

Skip to content