শুক্রবার ৫ জুলাই, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

প্যাচপ্যাচে গরম। বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও লু বইছে। বাইরে বেরোলে রোদের ঝাপ্টা এসে লাগছে চোখেমুখে। স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না রোদচশমা, ছাতা ব্যবহার করেও। অথচ কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতেও হবে। এই পরিস্থিতিতে রাস্তায় বেরিয়ে গরমে গলা শুকিয়ে গেলে অনেকেই ডাবের জলে চুমুক দেন। এমন সময় মিষ্টি স্বাদের ডাবের জল খেয়ে যেন আলাদা স্বস্তি বোধ হয়! শরীরও ভিতর থেকে ঠান্ডা হয়। এত উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও রোজ দিন ডাবের জল খাওয়া উচিত নয় বলেই পুষ্টিবিদরা মনে করেন। কেন প্রতিদিন ডাবের জল খাওয়া উচিত নয়? কী কী সমস্যা হতে পারে?
 

কেন রোজ দিন ডাবের জল খাওয়ায় সতর্ক হবেন?

 

রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে

এমনিতে ডাবের জলে চিনির পরিমাণ বেশ কমই রয়েছে। বরং ডাবের চেয়ে অন্য ফলে অনেক বেশি পরিমাণ চিনি উপস্থিত থাকে। তাই ঘন ঘন ডাবের জলপান করলে ডায়াবিটিস হাওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর অন্যতম কারণ হল, ডাবের জলে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরি।

আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৬: যন্ত্রণাদগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রাঁচিতে পেয়েছিলেন সান্ত্বনার প্রলেপ

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে কি না বুঝবেন কী করে? চোখ, পা, ত্বকের এই সব লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হন

 

বেড়ে যেতে পারে ওজন

ডাবের জলে চিনির পরিমাণ কম থাকে। তাই এই পানীয় নিয়মিত খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে— এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। কারণ চিনির পরিমাণ কম থাকলেও, এই জল ক্যালোরিতে ভরপুর। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে হলেও এই পরিমাণ ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

আরও পড়ুন:

হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-৩৮: স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়

জাপানি রেইকি কী? এই থেরাপি কীভাবে রোগ নিরাময় সাহায্য করে?

 

ডায়রিয়ার আশঙ্কা বাড়ে

এখন প্রচণ্ড গরমে অত্যধিক ঘাম হচ্ছে। যাঁদের কায়িক পরিশ্রম করতে হচ্ছে, তাঁদের ঘামের পরিমাণ আরও বাড়ছে। ঘেমে স্নানের পরে অনেকেই একটু আরাম পেতে গলা ভেজাচ্ছেন ডাবের জলে। এতে কেবল সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে। তবে মনে রাখতে হাবে, ডাবের জলে পর্যাপ্ত পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে। এই সোডিয়াম আমাদের শরীরের আর্দ্রতা কমিয়ে দেয়। এর জেরে ডি-হাইড্রেশনের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। আর সেখান থেকেই আশঙ্কা থেকে যায় ডায়রিয়া হওয়ার।


Skip to content