
ছবি সৌজন্য: সত্রাগ্নি।
তারক নিয়োগী বুঝতে পেরেছিলেন বসুন্ধরা ভিলায় ছন্দপতন ঘটে গিয়েছে। এরপর যা ঘটতে শুরু হল সেটা আমাদের কারোরই অভিপ্রেত ছিল না। অচৈতন্য সুজাতা হাসপাতালে গিয়ে কোমাতে চলে গেলেন। কোম্পানির খরচে তার একটা দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা চলতে লাগল। ইতিমধ্যে দিল্লিতে সুজাতার দাদা কর্ণেল শুকদেব রায় মারা গেলেন। প্রণয়কান্তি ও বাবলি বসুন্ধরা ভিলা ছেড়ে যাওয়ার পর তরুণকান্তি তাঁর স্টুডিয়ো থেকে খুব একটা বেরোতেন না। হেলথ সার্ভিসের লোকেরা তাঁর যত্নআত্তি করতেন। আমার মা সুরঙ্গমা কখনও বাবা অমলকান্তি নিজে গিয়ে ন’ভাইয়ের খোঁজ নিতেন। মুখে কিছু না বললেও এতদিনকার এই গোপন কলঙ্ককে বাইরে এনে সেই বিষেই যেন নীলকণ্ঠ হয়ে গিয়েছেন তরুণকান্তি আরও একবার।
বিদেশ থেকে বিমলকান্তি এবং কীরা দুজনেই তাকে কিছুদিনের জন্য ইংল্যান্ডে এসে থাকতে বলেছিলেন। ন’কাকা তরুণকান্তি রাজি হননি। বাবলিরা ফোন নম্বর ঠিকানা কিছুই রেখে যায়নি। বাবা তারকবাবুকে অনুরোধ করেছিলেন ওদের একটা খোঁজ নেবার। অরুনাণাভ’র থেকে যা জানা গিয়েছে, তাতে ওরা কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু ঠিক কোথায় গিয়েছে সেটা অরুণাভকেও জানিয়ে যায়নি। প্রায় মাস ছয়েক পর সুজাতা হাসপাতাল থেকে ফিরলেন। সুজাতার মস্তিষ্কের ভিতরের অংশেএকটা গভীর চোট লেগেছে। ফলে তাঁর শারীরিক নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে সুরঙ্গমার কাছে বাবলির একটা চিঠি এল। সেই চিঠির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানির কাছে পাঠানো আলাদা আলাদা করে প্রণয়কান্তি ও বাবলি’র ই-মেল মারফৎ আবেদনের ছাপা কপি রয়েছে।
বিদেশ থেকে বিমলকান্তি এবং কীরা দুজনেই তাকে কিছুদিনের জন্য ইংল্যান্ডে এসে থাকতে বলেছিলেন। ন’কাকা তরুণকান্তি রাজি হননি। বাবলিরা ফোন নম্বর ঠিকানা কিছুই রেখে যায়নি। বাবা তারকবাবুকে অনুরোধ করেছিলেন ওদের একটা খোঁজ নেবার। অরুনাণাভ’র থেকে যা জানা গিয়েছে, তাতে ওরা কলকাতা ছেড়ে চলে গিয়েছে। কিন্তু ঠিক কোথায় গিয়েছে সেটা অরুণাভকেও জানিয়ে যায়নি। প্রায় মাস ছয়েক পর সুজাতা হাসপাতাল থেকে ফিরলেন। সুজাতার মস্তিষ্কের ভিতরের অংশেএকটা গভীর চোট লেগেছে। ফলে তাঁর শারীরিক নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে সুরঙ্গমার কাছে বাবলির একটা চিঠি এল। সেই চিঠির সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানির কাছে পাঠানো আলাদা আলাদা করে প্রণয়কান্তি ও বাবলি’র ই-মেল মারফৎ আবেদনের ছাপা কপি রয়েছে।
প্রণয়কান্তি জানিয়েছে, তার যদি কিছু অর্থকরী পাওনা হয়ে থাকে তাহলে সে টাকা স্টাফ ওয়েলফেয়ার ফান্ডে সে দান করে দিতে চায়। তার কাছে যদি কোম্পানির কোন টাকা পাওনা থাকে তা যেন সেই টাকা থেকে কেটে নেওয়া হয় এবং তাকে ই মেলে উত্তর দিয়ে যেন জানানো হয় যে তার কাছে দেয় বা প্রাপ্য আর কিছু থাকছে না। বাবলি জানিয়েছে, এই ই-মেইলের তারিখ থেকে তার নামে যেন কোনো টাকা বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানির থেকে পাঠানো না হয়। এ পর্যন্ত পাঠানো টাকা ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার করে বসুন্ধরা গ্রুপে ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেইবাবদ ব্যাঙ্কনথিরও উল্লেক করা আছে চিঠিতে। এই টাকা তরুণকান্তি দত্তের ইচ্ছা অনুসারে বাবলির নামে করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে কোম্পানি যেন তরুণকান্তি দত্তের কাছ থেকে পরবর্তী নির্দেশ জেনে নেন। এই ই-মেইলের উত্তরেও যেন স্পষ্ট করে জানানো হয় যে এরপর বাবলি দত্তের কাছেও বসুন্ধরা গ্রুপ অফ কোম্পানির প্রাপ্য বা দেয় কোনওপ্রকার আর্থিক দায় থাকছে না।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮০: সুন্দরবনের পাখি—দোয়েল

শ্যাম বেনেগল সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পারতেন
এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে এক তীব্র অভিমান থেকে প্রণয়কান্তি ও বাবলি পেশাদার উকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই মেল পাঠিয়েছে। মাকে লেখা চিঠিতে বাবলি জানিয়েছে যে এখনই তারা তাদের ঠিকানা পাঠাচ্ছে না, কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে নিশ্চয়ই পাঠাবে। প্রণয়কান্তি একটি ছোট কোম্পানিতে প্রোডাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছে। বাবলি একটি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছে। বাবলি জানিয়েছে যে বাবির সঙ্গে কথা বলার বা তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনও উপায় বা অধিকার আর তাদের নেই। কিন্তু যদি বাবি দয়া করে তাদের ক্ষমা করেন এবং ভবিষ্যৎ লড়াইয়ে সফল হওয়ার জন্য তাদের আশীর্বাদ করেন তাহলে তারা দুজনে নিজেদের ধন্য মনে করবে।
আরও পড়ুন:

বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৯: আত্মশুদ্ধি

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৫: রবীন্দ্রনাথ ভয় পেতেন মহর্ষিদেবকে
অভাব অপমান মায়ের কষ্ট বারবার লড়াই করতে করতেও সফল হতে না পারা এইসব নানান প্রতিকূলতা বিনয়কান্তি দত্তের জন্ম দিয়েছিল। তাঁর গড়া ঐশ্বর্য ও বৈভবে কুশাসনে বড় হওয়া প্রণয়কান্তি দত্ত একজন দুর্বিনীত উদ্ধত অসহনীয় চরিত্রের অমানুষ তৈরি হয়েছিলেন। তারপর নিয়তির পরিহাসে জন্মকলঙ্ক প্রকাশ হবার পর আচমকা তাকে ধাক্কা দিয়ে কেউ স্বর্গ থেকে নরকের দরজায় ফেলে দিয়েছিল। ভাগ্য তাকে আজ ছুঁড়ে ছিটকে দিয়েছে তার চেনাজানা কক্ষপথের বাইরে। কিন্তু সেই বিপরীত পরিস্থিতিই তাকে জীবনের সবচেয়ে বড় বন্ধুকে চিনতে সাহায্য করেছে। বিয়ের পর থেকে যার সঙ্গে সে ক্রমাগত অবহেলা অপমান দুর্ব্যবহার করে গিয়েছে তার স্ত্রী, তার যোগ্য জীবনসঙ্গী সেই বাবলির হাত ধরে বসুন্ধরা ভিলার এক নেতিবাচক চরিত্র ইতিবাচক জীবনসংগ্রামে পা বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৯৫: বিরোধিতায় নয়, মৈত্রীবন্ধনেই রয়েছে পারিবারিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানসূত্র

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’
বাবলির চিঠি পড়ার পর আমার বাবা সাহিত্যিক অমলকান্তি তাঁর স্ত্রী অভিনেত্রী সুরঙ্গমাকে বলেছিলেন—
—জানো চিঠিটা পড়ার পর মনে হচ্ছে এ বার আমি বসুন্ধরা ভিলার কথা লিখবো! একটা বাড়ির মধ্যে এত ধরনের চরিত্র এত মানুষের জীবনে এত উত্থানপতন, ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের ভিন্ন ভিন্ন মানসিকঅবস্থান, অনেক মাথা খুঁড়েও সাহিত্যিকেরা এরকম থিম খুঁজে পান না। অথচ এই সুবিশাল অধ্যায় আমার হাতের মুঠোয়। এ বার আমি এটাই লিখব।
এর কিছুদিন পরে বাবার কাছে মনে হয় প্রণয়কান্তির একটা টেলিফোন এসেছিল বাবার কথা শুনে মনে হয়েছিল সেটা এসটিডি ফোন। কিন্তু কথা শুরুর প্রথমেই প্রণয় বলেছিল—
—আমি কোথায় আছি প্লিজ জানতে চেয়ো না সেজ্জেঠু। আমাদের ঠিকানা জানাবার মতো পরিস্থিতিতে এখনও আমরা পৌঁছাতে পারিনি। তাই ঠিকানাটা আমরা সচেতন ভাবে জানাতে চাই না। কিন্তু তুমি জানতে চাইলে আমি তোমাকে মিথ্যে বলতে পারব না। কিন্তু উত্তর দিতে বিব্রত বোধ করব।
—জানো চিঠিটা পড়ার পর মনে হচ্ছে এ বার আমি বসুন্ধরা ভিলার কথা লিখবো! একটা বাড়ির মধ্যে এত ধরনের চরিত্র এত মানুষের জীবনে এত উত্থানপতন, ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের ভিন্ন ভিন্ন মানসিকঅবস্থান, অনেক মাথা খুঁড়েও সাহিত্যিকেরা এরকম থিম খুঁজে পান না। অথচ এই সুবিশাল অধ্যায় আমার হাতের মুঠোয়। এ বার আমি এটাই লিখব।
এর কিছুদিন পরে বাবার কাছে মনে হয় প্রণয়কান্তির একটা টেলিফোন এসেছিল বাবার কথা শুনে মনে হয়েছিল সেটা এসটিডি ফোন। কিন্তু কথা শুরুর প্রথমেই প্রণয় বলেছিল—
—আমি কোথায় আছি প্লিজ জানতে চেয়ো না সেজ্জেঠু। আমাদের ঠিকানা জানাবার মতো পরিস্থিতিতে এখনও আমরা পৌঁছাতে পারিনি। তাই ঠিকানাটা আমরা সচেতন ভাবে জানাতে চাই না। কিন্তু তুমি জানতে চাইলে আমি তোমাকে মিথ্যে বলতে পারব না। কিন্তু উত্তর দিতে বিব্রত বোধ করব।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৮: প্রতিভা দেবী—ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১১: কাঁটার মুকুট
বাবা প্রণয়কে আর বিব্রত করেননি। শুধু বলেছিলেন—
—বেশ ঠিকানা নয় নাই বললি। তোরা দুজন কেমন আছিস শুধু সেইটুকু বল।
—আমরা ভালো আছি সেটা বলতে পারব না তবে আমরা সুস্থ আছি এবং বেঁচে আছি। যাঁদের জন্য আমাকে আজীবন এই অন্যায় ভাবে পাওয়া পদবীটা বয়ে নিয়ে যেতে হবে তাঁরা দুজনে কেমন আছেন?
—তাঁরাও ভালো নেই – সেই অর্থে সুস্থও নন তাঁরা কিন্তু দুজনে বেঁচে আছেন।
প্রনয়কান্তির কথা কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। একটু সময় নিয়ে সে বলল—
—আর বিনয়কান্তি দত্ত?
—বনের রাজা সিংহ যখন বৃদ্ধ হয় জরাজীর্ণ হয়, তিনি তখন শুধু শারীরিকভাবে ওষুধপত্র যন্ত্রপাতিতে বেঁচে থাকেন, তখন তার মন বুদ্ধি বিবেচনা সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা, সবকিছুর মৃত্যু ঘটে যায়। বাবার অবস্থাটা এখন অনেকটা তেমন। চেতনে আছেন এইটুকু! এত মন খারাপের কথা বলতে ভালো লাগে না।
—আমার ঝুলিতে মন ভালো করার মত কিছু নেই সেজ্জেঠু!
আবার অল্প নীরবতার পর প্রণয়কান্তি বলে উঠল—
—কর্নেল শুকদেব বসুরায় তাঁর দেওয়া চিঠিতে বলেছিলেন যে দিল্লির সেই ডাক্তারবাবু মারা গেছেন নার্সিংহোম উঠে গিয়েছে। কর্নেল বসুরায়ও শুনেছি মারা গিয়েছেন। তাই ইচ্ছে থাকলেও দিল্লিতে তার পরিবারের কাছে গিয়ে এই নিয়ে খোঁজখবর করার কোন উপায় নেই। না হলে কোনও অভাগীর পরিবারে আমি জন্ম নিয়েছিলাম সেটা জানার একটা আপ্রাণ চেষ্টা করতাম। তুমি যদি কখনও কোনওভাবে কোনও খবর পাও, সেই খোঁজটুকু তোমার কাছে রেখো। তবে আজ আমি একটা খুব জরুরি ব্যাপারে তোমাকে ফোন করছি।
—হ্যাঁ বল কী ব্যাপার?
—সানন্দার বর অর্কপ্রভর ব্যাপারে একটু সাবধানে থেকো! কিছুদিন
আগে আমি আরও বড় একটা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলাম!
যা সরাসরি বসুন্ধরা ভিলার ক্ষতি করতো! অরুণাভ’র ঘটনাটা আমায় সেইমুহুর্তে বাঁচিয়ে দিলেও কিছু কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে! মাঝখানে আমার যা মানসিক অবস্থা ছিল তাতে এসব নিয়ে ভাবার মতো জায়গায় আমি ছিলাম না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আরও একটু আগেই তোমাদের সাবধান করে দেওয়া উচিত ছিল!
—মনে হয় আমি তোর কোন কথা ঠিকমতো বুঝতে পারছি না। এসব জরুরি ব্যাপারে টেলিফোন না করে সামনাসামনি কথা বলা যায় না?
—আমি কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে আছি, সেজ্জেঠু! একটু সুযোগ থাকলেও আমি তোমার সামনাসামনি গিয়ে কথা বলে আসতাম, আর এসব কথা চিঠিতেও জানানো যাবে না তাই তোমাকে ফোন করছি।—চলবে।
—বেশ ঠিকানা নয় নাই বললি। তোরা দুজন কেমন আছিস শুধু সেইটুকু বল।
—আমরা ভালো আছি সেটা বলতে পারব না তবে আমরা সুস্থ আছি এবং বেঁচে আছি। যাঁদের জন্য আমাকে আজীবন এই অন্যায় ভাবে পাওয়া পদবীটা বয়ে নিয়ে যেতে হবে তাঁরা দুজনে কেমন আছেন?
—তাঁরাও ভালো নেই – সেই অর্থে সুস্থও নন তাঁরা কিন্তু দুজনে বেঁচে আছেন।
প্রনয়কান্তির কথা কয়েক মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। একটু সময় নিয়ে সে বলল—
—আর বিনয়কান্তি দত্ত?
—বনের রাজা সিংহ যখন বৃদ্ধ হয় জরাজীর্ণ হয়, তিনি তখন শুধু শারীরিকভাবে ওষুধপত্র যন্ত্রপাতিতে বেঁচে থাকেন, তখন তার মন বুদ্ধি বিবেচনা সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা, সবকিছুর মৃত্যু ঘটে যায়। বাবার অবস্থাটা এখন অনেকটা তেমন। চেতনে আছেন এইটুকু! এত মন খারাপের কথা বলতে ভালো লাগে না।
—আমার ঝুলিতে মন ভালো করার মত কিছু নেই সেজ্জেঠু!
আবার অল্প নীরবতার পর প্রণয়কান্তি বলে উঠল—
—কর্নেল শুকদেব বসুরায় তাঁর দেওয়া চিঠিতে বলেছিলেন যে দিল্লির সেই ডাক্তারবাবু মারা গেছেন নার্সিংহোম উঠে গিয়েছে। কর্নেল বসুরায়ও শুনেছি মারা গিয়েছেন। তাই ইচ্ছে থাকলেও দিল্লিতে তার পরিবারের কাছে গিয়ে এই নিয়ে খোঁজখবর করার কোন উপায় নেই। না হলে কোনও অভাগীর পরিবারে আমি জন্ম নিয়েছিলাম সেটা জানার একটা আপ্রাণ চেষ্টা করতাম। তুমি যদি কখনও কোনওভাবে কোনও খবর পাও, সেই খোঁজটুকু তোমার কাছে রেখো। তবে আজ আমি একটা খুব জরুরি ব্যাপারে তোমাকে ফোন করছি।
—হ্যাঁ বল কী ব্যাপার?
—সানন্দার বর অর্কপ্রভর ব্যাপারে একটু সাবধানে থেকো! কিছুদিন
আগে আমি আরও বড় একটা অন্যায়ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলাম!
যা সরাসরি বসুন্ধরা ভিলার ক্ষতি করতো! অরুণাভ’র ঘটনাটা আমায় সেইমুহুর্তে বাঁচিয়ে দিলেও কিছু কিছু সমস্যা থেকে গিয়েছে! মাঝখানে আমার যা মানসিক অবস্থা ছিল তাতে এসব নিয়ে ভাবার মতো জায়গায় আমি ছিলাম না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আরও একটু আগেই তোমাদের সাবধান করে দেওয়া উচিত ছিল!
—মনে হয় আমি তোর কোন কথা ঠিকমতো বুঝতে পারছি না। এসব জরুরি ব্যাপারে টেলিফোন না করে সামনাসামনি কথা বলা যায় না?
—আমি কলকাতা থেকে অনেকটা দূরে আছি, সেজ্জেঠু! একটু সুযোগ থাকলেও আমি তোমার সামনাসামনি গিয়ে কথা বলে আসতাম, আর এসব কথা চিঠিতেও জানানো যাবে না তাই তোমাকে ফোন করছি।—চলবে।
* জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। ‘বুমেরাং’ চলচ্চিত্রের কাহিনিকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’। এখন লিখছেন বসুন্ধরা এবং…এর ৩য় খণ্ড।
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com