ছবি: প্রতীকী।
মায়ের প্রশ্নের উত্তর দেবার আগে বাবা প্রণয়ের কাছে জানতে চান ঠিক কীভাবে প্রণয়কে অপহরণ করা হয়েছিল। বিপদ থেকে বাঁচার জন্য তখন প্রণয়ের লুকোবার আর কিছু নেই। সে জানায়, অরুণাভ আর বাবলির ছবিটা দেখিয়েছিল আগরওয়াল। প্রণয় বাবলির উপর খুব রাগারাগি করে কিন্তু তারপর এই নিয়ে খুব একটা ভাবনাচিন্তা করেনি। কিন্তু আগরওয়াল প্রণয়কে বারবার বোঝাতে থাকে যে অরুণাভকে শিক্ষা দেওয়া দরকার। না হলে তার সাহস বেড়ে যাবে।
প্রণয় জানতে চেয়েছিল যে কি ধরনের শিক্ষা। মারধোর করলে তো থানা-পুলিশ হয়ে যাবে। আগরওয়াল জানিয়েছিল তার জানাশোনা লোক আছে কাকপক্ষীতে কেউ কিছু জানতে পারবে না। স্টুডিয়ো থেকে কলকাতার একটু বাইরে কোলাঘাটের কাছে একটা কালীপুজোর উদ্বোধনে যাবার কথা ছিল অরুণাভর। আগরওয়াল বুদ্ধি করে এই টোপটা অরুণাভর কাছে তারই লোক দিয়ে পাঠিয়েছিল। মোটাটাকা অ্যাপিয়ারেন্স মানি। স্টুডিয়ো থেকে গাড়ি করে নিয়ে যাবে রাতে কলকাতা পৌঁছে দেবে। সেদিন বেশি রাতে এক নামি টেলিভিশন প্রযোজকের বাড়িতে কালীপুজোর অনুষ্ঠানে যাবার কথা ছিল অরুণাভর। স্টুডিয়োতে সেদিন অরুণাভ নিজের গাড়ি নিয়ে আসেনি, অন্য একজন সহ-অভিনেতার গাড়িতে স্টুডিয়ো গিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
বসুন্ধরা এবং…, ৩য় খণ্ড, পর্ব-৪৪: অব্যাহতি
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৯: ভ্রমণে বেরিয়ে মহর্ষি পেয়েছিলেন পুত্রের মৃত্যু-সংবাদ
শুটিং শেষ করে বাইরে আসতেই অপেক্ষা করা উদ্যোক্তাদের লোক অরুণাভকে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে তুলল। গাড়িতেই অ্যাপিয়ারেন্স মানির পুরো টাকাটা দিয়ে দেওয়া হল। খুব স্বাভাবিকভাবে সন্দেহ করার কোনও কারণ ছিল না। আর এই সব ঠাকুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে কে কোথায় যাচ্ছে তার খবরাখবর সবাই সবাইকে খুব একটা দেয় না। কলকাতায় ছাড়িয়ে ফাঁকা রাস্তায় পৌঁছলে অরুণাভকে আচমকা ক্লোরোফরমে ভেজানো কাপড় নাকে চেপে ধরে অজ্ঞান করে দেওয়ার প্ল্যান ছিল। কিন্তু অরুণাভ’র খিদে পেয়ে গিয়েছিল। তাই ওরা ধাবায় খাবার খেতে নামে। অরুণাভ ওয়াশ্রুম গিয়েছিল। সেই সুযোগে খাবারে ঘুমের ওষুধ দিয়ে দেওয়া হয়। গাড়িতে অরুণাভ ঘুমিয়ে পড়ত তাকে কুলগাছিয়ার কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘুমের ওষুধ দিয়ে এ কদিন হাত-পা বেঁধে রেখে দেওয়া হয়েছে। এই পুরো কর্মকাণ্ড করার জন্য আগরওয়াল মোটা টাকা নিয়েছে প্রণয়কান্তির কাছে। শর্ত একটাই প্রণয়কান্তি যাতে কোনওভাবে সামনে না আসে। আগরওয়ালের সঙ্গে এ সব কথাবার্তার বা টাকা দেবার কোথাও কোনও প্রমাণ নেই। অরুণাভর ক্ষতি করার কোনও প্ল্যান ছিল না। কদিন বাদে ছেড়ে দিয়ে শুধু একটু ধমকে দেওয়া।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৮৯: মাথার কান
দশভুজা, দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৪: আনন্দী—এক লড়াইয়ের নাম
বাবা সব শুনে বললেন—
—ছেলেমানুষি! এতটা বড় হয়ে গেলি কিন্তু এখনও কে তোর উপকারী বন্ধু আর কে তোর অপকার চায় সেটা বোঝার ক্ষমতা হল না।
কোন কাজটার কি পরিণতি হতে পারে সেটুকুও…। এনিওয়েজ এখন পুলিশ কোনওভাবে আগরওয়ালকে অ্যারেস্ট করলেই সে তোর আইডেন্টিটি রিভিল করে দেবে। পুরো ঘটনাটাতে তোকে ফাঁসানোই ছিল ওর উদ্দেশ্য!
—এখন আমি কি করব?
প্রণয়কে এতটা ভয় পেয়ে যেতে বাবলি কখনও দেখেনি।
—ওই যে বললাম, বাবলিকে নিয়ে লালবাজার যাবি।
—গিয়ে?
—বাবু ওখানে তোদের জন্য অপেক্ষা করছেন?
—তারক নিয়োগী? আমার জন্য?
—হ্যাঁ, তারক নিয়োগী! যাঁকে আজ পর্যন্ত তুই কোনওদিন মানুষের সম্মান দিসনি সেই তারক নিয়োগী! শুনলে আরও অবাক হবি যে, তোকে বাঁচানোর এই পুরো বুদ্ধিটা বাবুই আমাকে বলে দিয়েছেন।
—ছেলেমানুষি! এতটা বড় হয়ে গেলি কিন্তু এখনও কে তোর উপকারী বন্ধু আর কে তোর অপকার চায় সেটা বোঝার ক্ষমতা হল না।
কোন কাজটার কি পরিণতি হতে পারে সেটুকুও…। এনিওয়েজ এখন পুলিশ কোনওভাবে আগরওয়ালকে অ্যারেস্ট করলেই সে তোর আইডেন্টিটি রিভিল করে দেবে। পুরো ঘটনাটাতে তোকে ফাঁসানোই ছিল ওর উদ্দেশ্য!
—এখন আমি কি করব?
প্রণয়কে এতটা ভয় পেয়ে যেতে বাবলি কখনও দেখেনি।
—ওই যে বললাম, বাবলিকে নিয়ে লালবাজার যাবি।
—গিয়ে?
—বাবু ওখানে তোদের জন্য অপেক্ষা করছেন?
—তারক নিয়োগী? আমার জন্য?
—হ্যাঁ, তারক নিয়োগী! যাঁকে আজ পর্যন্ত তুই কোনওদিন মানুষের সম্মান দিসনি সেই তারক নিয়োগী! শুনলে আরও অবাক হবি যে, তোকে বাঁচানোর এই পুরো বুদ্ধিটা বাবুই আমাকে বলে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-১০: ভার্জিনিয়া ও লিওনার্ড উলফ—উন্মাদনা ও সৃষ্টি /২
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫১: সেই ‘পৃথিবী আমারে চায়’
টেবিলের ওপর নিজের কনুইয়ের ভরে মাথাটা নিচু করে নেওয়া ছাড়া প্রণয়ের আর কিছু করার ছিল না।
—বাবু তোদের একজন সিনিয়র অফিসারের ঘরে নিয়ে যাবেন। বাবুর উপস্থিতিতেই তুই বলবি যে, অরুণাভ তোর স্ত্রী বাবলির কলেজের
বন্ধু। যদিও তোর সঙ্গে সরাসরি আলাপ নেই। কিন্তু বাবলির মাধ্যমেই অরুণাভর কথা তুই জানিস। অরুণাভ বছর পাঁচেক
কলকাতায় কাজ করছে। যদিও সে রকম ভাবে ওর পরিচিত এখানে কেউ নেই। খবরের কাগজে হঠাৎ করে কালীপুজোর রাতে অরুনাভর মিসিং হবার কথা কাগজে পড়ে তোর স্ত্রী বাবলি খুব আপসেট হয়ে পড়েছে। তোকে বলেছিল যদি কোনওভাবে হেল্প করতে পারিস। তুই তোর নানা বন্ধুবান্ধবকে জানিয়েছিলি। আর তাদের সূত্রেই তুই জানতে পেরেছিস কুলগাছিয়ার কাছে কোনও এক জায়গায় অরুণাভকে আটকে রাখা হয়েছে। খবরটা জানতে পেরেই টেলিফোন না করে তুই তোর স্ত্রী বাবলিকে নিয়ে সরাসরি লালবাজারে এসেছিস খবরটা পৌঁছে দিতে। বিকেডি খুব অসুস্থ। একটাই অনুরোধ যাতে বসুন্ধরা ভিলা কোনওভাবেই এতে জড়িয়ে না পড়ে। তাই এই ইনফরমেশন দেওয়ার ব্যাপারটা যেন কোথাও ডিসক্লোজ করা না হয়। তোর মুখ থেকে এটুকু বলেই হবে বাকি বাবু ইনফ্লুয়েন্স করে আটকে দেবেন।
—বাবু তোদের একজন সিনিয়র অফিসারের ঘরে নিয়ে যাবেন। বাবুর উপস্থিতিতেই তুই বলবি যে, অরুণাভ তোর স্ত্রী বাবলির কলেজের
বন্ধু। যদিও তোর সঙ্গে সরাসরি আলাপ নেই। কিন্তু বাবলির মাধ্যমেই অরুণাভর কথা তুই জানিস। অরুণাভ বছর পাঁচেক
কলকাতায় কাজ করছে। যদিও সে রকম ভাবে ওর পরিচিত এখানে কেউ নেই। খবরের কাগজে হঠাৎ করে কালীপুজোর রাতে অরুনাভর মিসিং হবার কথা কাগজে পড়ে তোর স্ত্রী বাবলি খুব আপসেট হয়ে পড়েছে। তোকে বলেছিল যদি কোনওভাবে হেল্প করতে পারিস। তুই তোর নানা বন্ধুবান্ধবকে জানিয়েছিলি। আর তাদের সূত্রেই তুই জানতে পেরেছিস কুলগাছিয়ার কাছে কোনও এক জায়গায় অরুণাভকে আটকে রাখা হয়েছে। খবরটা জানতে পেরেই টেলিফোন না করে তুই তোর স্ত্রী বাবলিকে নিয়ে সরাসরি লালবাজারে এসেছিস খবরটা পৌঁছে দিতে। বিকেডি খুব অসুস্থ। একটাই অনুরোধ যাতে বসুন্ধরা ভিলা কোনওভাবেই এতে জড়িয়ে না পড়ে। তাই এই ইনফরমেশন দেওয়ার ব্যাপারটা যেন কোথাও ডিসক্লোজ করা না হয়। তোর মুখ থেকে এটুকু বলেই হবে বাকি বাবু ইনফ্লুয়েন্স করে আটকে দেবেন।
আরও পড়ুন:
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৬৪ : অকারণে কেউ অন্যের ভালো করতে যায় না
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৭১: মা সারদার নলিনীর মানভঞ্জন
এতটা বলবার পর বাবা তাঁর লেখার পাতায় নজর রেখে বললেন—
—খটকা একটাই, অরুণাভকে ছেড়ে দেওয়ার কি প্ল্যান ছিল?
—প্রণয় জানাল খুব সহজ একটা সিগন্যাল। ক্লাবের বারে ফোন করে বলা মিঃ আগরওয়ালের জন্য মেসেজ রাখতে হবে। বলতে হবে, একজন বম্বে থেকে ফোন করেছেন, আবার সন্ধেবেলা ফোন করবেন।
—বেশ আর অরুণাভকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হত সেটা খাবারে?
—হ্যাঁ।
—স্বাভাবিক! নার্স কম্পাউন্ডারের হ্যাপা অনেক! আচ্ছা অরুণাভর অ্যাপিয়ারেন্স মানি এখন কার কাছে?
—যে দুটো লোক রয়েছে ওখানে, ওদের কাছে আছে। তবে সেই
পুরো টাকাটা খামে ফেরত দিয়ে ওকে রেখে ওরা চলে যাবে।
—ওদের আইডেন্টিটি?
—ওদের মুখ ঢাকা থাকে। আগরওয়ালের বুদ্ধি।
—সে তো পাক্কা ক্রিমিন্যাল!
—কিন্তু অরুণাভ তো বলবে তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল।
—বলবে কিন্তু, তার অ্যাপিয়ারেন্স মানি পুরোটাই তাঁর কাছে থাকায় অ্যাবডাকশানের কোনও মোটিফ পাওয়া যাবে না। এভাবে কিছুদিন
আগে কলকাতার এক নামী কোম্পানির মালিক, এক এমএনসি-র টপ এক্সিকিউটিভ, কারণ ছাড়াই অপহরণ হয়ে আবার ফিরে এসেছেন।
—ব্যবসার কারণেই এ নিয়ে আর জলঘোলা হয়নি।
—প্রণয় চুপ করে শোনে।
—বাবলি, তোরা বেরিয়ে পড়। কিন্তু প্রণয় খুব সাবধান এর বাইরে কিছু করলে নিশ্চিত জেলের ঘানি টানতে হবে।
প্রণয় সেদিন অক্ষরে অক্ষরে বাবার কথা শুনেছিল, আর প্রভাবশালী ক্ষমতাবান হওয়ার সুবাদে নিশ্চিত জেলযাত্রা থেকে রক্ষা পেয়েছিল। তবে প্রণয়ের জীবনের সবচেয়ে আকস্মিক এবং বড় দূর্ঘটনা ঠিক পরের বাঁকে অপেক্ষা করছিল।—চলবে।
—খটকা একটাই, অরুণাভকে ছেড়ে দেওয়ার কি প্ল্যান ছিল?
—প্রণয় জানাল খুব সহজ একটা সিগন্যাল। ক্লাবের বারে ফোন করে বলা মিঃ আগরওয়ালের জন্য মেসেজ রাখতে হবে। বলতে হবে, একজন বম্বে থেকে ফোন করেছেন, আবার সন্ধেবেলা ফোন করবেন।
—বেশ আর অরুণাভকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হত সেটা খাবারে?
—হ্যাঁ।
—স্বাভাবিক! নার্স কম্পাউন্ডারের হ্যাপা অনেক! আচ্ছা অরুণাভর অ্যাপিয়ারেন্স মানি এখন কার কাছে?
—যে দুটো লোক রয়েছে ওখানে, ওদের কাছে আছে। তবে সেই
পুরো টাকাটা খামে ফেরত দিয়ে ওকে রেখে ওরা চলে যাবে।
—ওদের আইডেন্টিটি?
—ওদের মুখ ঢাকা থাকে। আগরওয়ালের বুদ্ধি।
—সে তো পাক্কা ক্রিমিন্যাল!
—কিন্তু অরুণাভ তো বলবে তাকে কিডন্যাপ করা হয়েছিল।
—বলবে কিন্তু, তার অ্যাপিয়ারেন্স মানি পুরোটাই তাঁর কাছে থাকায় অ্যাবডাকশানের কোনও মোটিফ পাওয়া যাবে না। এভাবে কিছুদিন
আগে কলকাতার এক নামী কোম্পানির মালিক, এক এমএনসি-র টপ এক্সিকিউটিভ, কারণ ছাড়াই অপহরণ হয়ে আবার ফিরে এসেছেন।
—ব্যবসার কারণেই এ নিয়ে আর জলঘোলা হয়নি।
—প্রণয় চুপ করে শোনে।
—বাবলি, তোরা বেরিয়ে পড়। কিন্তু প্রণয় খুব সাবধান এর বাইরে কিছু করলে নিশ্চিত জেলের ঘানি টানতে হবে।
প্রণয় সেদিন অক্ষরে অক্ষরে বাবার কথা শুনেছিল, আর প্রভাবশালী ক্ষমতাবান হওয়ার সুবাদে নিশ্চিত জেলযাত্রা থেকে রক্ষা পেয়েছিল। তবে প্রণয়ের জীবনের সবচেয়ে আকস্মিক এবং বড় দূর্ঘটনা ঠিক পরের বাঁকে অপেক্ষা করছিল।—চলবে।
* জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। ‘বুমেরাং’ চলচ্চিত্রের কাহিনিকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’। এখন লিখছেন বসুন্ধরা এবং…এর ৩য় খণ্ড।
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন। বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন। ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না। গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে। ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com