রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

বাতের ব্যথা ভোগেন এমন মানুষ প্রতি বাড়িতে কেউ না কেউ আছেন। সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪০ এবং পুরুষদের বয়স ৫০-এর আশপাশে এলেই সমস্যা শুরু হয়ে যায়। বাতের ব্যথা ঠিক কী? কেন একটি নির্দিষ্ট বয়েসের পর এই সমস্যা শুরু হয়? জেনে নিন খুঁটিনাটি।
 

বাত আসলে কী?

আমাদের অস্থিসন্ধিতে কার্টিলেজের ক্ষয় হলে বাতের ব্যথা শুরু হয়। এই ব্যথা আসলে আর্থ্রাইটিস নামে পরিচিত। সাদা রাবারের মতো দেখতে এই কার্টিলেজ আসলে অস্থিসন্ধিতে দুটি হাড়ের মধ্যে ঘর্ষণ কমানোর কাজ করে। প্রথমে কার্টিলেজ ক্ষয় শুরু হয়। আর এর পরের ধাপে শুরু হয়ে যায় হাড়ের ক্ষয়। এর পরের ধাপটি হল বাতের ব্যথা।

আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-১৩: ত্রিপুরাতে প্রথম বামফ্রন্ট সরকার

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫১: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—পশুর, ধুধুল ও হাবল

বাত অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এই দু’ ধরনের দেখা যায়। এর মধ্যে আমাদের দেশে অস্টিও আর্থ্রাইটিস সমস্যাই বেশি দেখা যায়। এ প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, শরীরচর্চা, পরিশ্রমের অভাব, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়া-সহ একাধিক কারণে বাতের ব্যথা শুরু হয়। এই সমস্যা ভুগলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। কারণ, ওজন বেশি হলে বাতের ব্যথা হওয়ার প্রবণতা বেশি। এ নিয়ে চিকিৎসকদের বক্তব্য, ওষুধে এর নিরাময় প্রায় সম্ভব হয় না বললেই চলে। তবে ওষুধ কিছু বিকল্প উপায় আছে। যেগুলি মেনে চললে বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। সেগুলি কী কী?
 

বাতের ব্যথা কমাতে কী কী মেনে চলতে হবে?

 

ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়ামের ঘাটতি

শরীরে ভিটামিন ডি এবং ক্যালশিয়ামের ঘাটতি বাতের ব্যথা বাড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি প্রধাণ কারণ। তাই নিয়মিত এই দুটি উপাদান বেশি পরিমাণে নিতে হবে।

আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৫: সুর হারানো হারানো সুর

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯০: সাহেবের বেশ না-পরে ফিরেছিলেন সাহেবের দেশ থেকে

 

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে

অবশ্যই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এর জন্য দরকার পড়লে পরিকল্পনা থেকে নিয়ন্ত্রিত, ডাক্তারের পরামর্শ থেকে ডায়েট মেনে খাওয়া-দাওয়ার সব কিছুর জন্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে হাড়ের ওপর কম চাপ পড়বে। ফলে বাত থাকলেও ব্যথা প্রতিরোধ করা অনেকটাই সহজ হবে।
 

শরীরচর্চায় জোর দিন

নিয়ম মেনে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। এতে হাড়ের জয়েন্ট সক্রিয় থাকবে। নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে ব্যথাকে।

আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৫: অরু দত্ত— এক অভিশপ্ত গান্ধর্বী

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৩: এক্সপায়ারি ডেটের ওষুধ খাবেন?

 

দরকারে ফিজিওথেরাপি করা যেতে পারে

প্রয়োজন থাকলে ফিজিওথেরাপি করা যেতে পারে। ফিজিওথেরাপিতে শরীরে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। অনেকই হয় তো জানেন না হাঁটুতে প্রদাহের ফলে অনেক সময় রক্ত চলাচল বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু রক্ত চলাচল বাড়লে আপনার হাড়ের জয়েন্টের সচলতাও বাড়বে।
 

নিয়মিত সাঁতার কাটুন

কমানোর একটা সেরা অস্ত্র হল সাঁতার। নিয়মিত সাঁতার কাটলে পেশিতে চাপ অনেকটাই কমে যায়। শরীরে বৃদ্ধি পায় কর্মক্ষমতা। একাধিক গবেষণা বলছে, এতে হাঁটু ও নিতম্বের জোরও বাড়ে।


Skip to content