সামনেই বাঙালির বড় উৎসব। উৎসবের আনন্দে কমবেশি সবারই অনিয়ম হবে। আর এই অনিয়মের প্রভাব শুধু শরীরে যে পড়ে তা নয়, ত্বকও তার স্বাভাবিক নিজের জৌলুস হারিয়ে ফেলে। কারণ, উৎসব মানেই তো সাজগোজ, বাজারচলতি প্রসাধনীর ব্যবহার। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো, ভাইফোঁটা— পর পর উৎসবে রূপটানও পড়বে ভালো মতোই। ক্রমাগত রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রিত প্রসাধনীর ব্যবহারে অনেকেরই ত্বকও নিষ্প্রাণ শুষ্ক হয়ে যায়।
তাছাড়া একটা ক্লান্তিও চলে আসে চোখে মুখে। ত্বকের নিজস্ব সজীবতা অনেকটা হারিয়ে যায়। ত্বক এবং চুল দুটির ক্ষেত্রেই একই পরিস্থিতি হয়। উৎসবের সময়ে স্ট্রেটনার, হেয়ার ড্রায়ারের ব্যবহারে চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই উৎসব পর্ব শুরুর আগে থেকেই সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। আর এ কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে অ্যালো ভেরা।
ত্বক এবং চুলের যত্ন কী ভাবে নেয় অ্যালো ভেরা?
চোখের নীচের ফোলা ভাব দূর করতে
● পুজোর সময়ে রাত জাগা, ঘুম কম হওয়ার কারণে তৈরি হয় চোখের নীচের ফোলা ভাব। এখনও যাঁদের এই সমস্যা আছে তাঁরা এই ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন। এটি চোখের প্রতিটি কোষে ঢুকে সজীবতা বজায় রাখে।
ময়েশ্চারাইজার হিসাবে
● অ্যালোভেরা জেল ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। অক্টোবরের পর থেকে ধীরে ধীরে আবহাওয়া পরিবর্তন হবে। তখন ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। এই সময়ে বাজারচলতি ময়েশ্চারাইজারের ব্যবহার না করে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। দারুণ উপকার পাবেন।
চুল পড়া রোধে
● বায়ুদূষণ, প্রসাধন সামগ্রীর ব্যবহার, যত্নের অভাব, সুষম খাবার না খাওয়া— এমন কিছু কারণে চুল পড়ার সমস্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এই সমস্যায় সমাধানে অ্যালোভেরা খুবই উপকারী। এর স্বাস্থ্যকর উপাদান চুলের গোড়া মজবুত রাখে। চুলের জেল্লা ফেরায়।
রোদের পোড়া দাগ কমাতে অনবদ্য
● বাড়িতে থাকলেও দিনের বেলা এই জেল মাখতে পারেন। তবে ভুলেও এই জেল মেখে রোদে যাবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বরং রোদ থেকে ফিরে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে অ্যালো ভেরা জেল ত্বকে মাখুন। দেখবেন উপকার পাবেন।
ব্রণর সমস্যায়
● কমবেশি অনেকেই ব্রণর সমস্যা থাকে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে ব্যবহার করতে পারেন এই জেল। ব্রণর কারণে অনেক সময়ে মুখে উন্মুক্ত ছিদ্র তৈরি হয়। সেগুলি বন্ধ করতেও অ্যালো ভেরা জেল অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়াও এগজিমার মতো সংক্রমণ জাতীয় ত্বকের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই জেল দারুণ কার্যকরী।