জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর।
ঠাকুরবাড়িতে গুণবান পুরুষের অভাব ছিল না। মেয়েবউরাও কম গুণবতী নন। সকলে যে প্রাপ্য স্বীকৃতি পেয়েছেন, আলোয় এসেছেন, তা নয়। অনেকেই প্রাপ্য স্বীকৃতি পাননি। আবার কেউ কেউ নিজেকে স্বেচ্ছায় আড়ালে রেখেছেন। অন্তরালে থেকেই তাঁদের স্বস্তি। যেমন, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। রবীন্দ্রনাথকেও তিনি প্রাণিত করেছিলেন। বাল্য-কৈশোরে ‘জ্যোতিদাদা’ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের ‘প্রধান সহায়’। তাঁর কাছেই হয়েছিল কবির ‘আত্মোপলব্ধি’। কিন্তু নিজেকে তিনি কখনওই মেলে ধরেননি।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতই গুণবান, অথচ তাঁর গুণের সেভাবে মূল্যায়ন হয়নি। নাট্যকার হিসেবে তাঁকে আমরা জানি। গদ্যসাহিত্যেও অবদান কম নয়। অনেক প্রবন্ধ লিখেছেন। বিদেশি গল্প-উপন্যাসের অনুবাদ করেছেন। চিত্রশিল্পী জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে ঘিরেও আমাদের মনে বিস্ময়, তাঁর পেনসিলে আঁকা বহুজনের মুখাবয়ব আজও আমাদের বিস্মিত করে। লালন ফকির থেকে শুরু করে ঠাকুরবাড়ির বিভিন্ন সদস্য— কতজনের যে ছবি এঁকেছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, সে হিসেবনিকেশ, সঠিক পরিসংখ্যান উদ্ধার সহজ নয়।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতই গুণবান, অথচ তাঁর গুণের সেভাবে মূল্যায়ন হয়নি। নাট্যকার হিসেবে তাঁকে আমরা জানি। গদ্যসাহিত্যেও অবদান কম নয়। অনেক প্রবন্ধ লিখেছেন। বিদেশি গল্প-উপন্যাসের অনুবাদ করেছেন। চিত্রশিল্পী জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে ঘিরেও আমাদের মনে বিস্ময়, তাঁর পেনসিলে আঁকা বহুজনের মুখাবয়ব আজও আমাদের বিস্মিত করে। লালন ফকির থেকে শুরু করে ঠাকুরবাড়ির বিভিন্ন সদস্য— কতজনের যে ছবি এঁকেছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, সে হিসেবনিকেশ, সঠিক পরিসংখ্যান উদ্ধার সহজ নয়।
সৃষ্টিশীল মানুষটি সৃষ্টির আনন্দ-আহ্লাদে দিন কাটিয়েছেন, তা নয়। জীবনে বারবার এসেছে শোক-বিপর্যয়, ব্যবসায় মনোনিবেশ করেও সেভাবে সাফল্যের মুখ দেখেননি। কৈশোরে মাতৃবিয়োগ, যৌবনে পত্নী-বিয়োগ, পরবর্তীকালে পিতৃবিয়োগ— এখানেই শেষ নয়, মৃত্যু এসেছে ধেয়ে। প্রিয়জনের মৃত্য-বেদনায় জর্জরিত হয়েছেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। কয়েকজন বাল্যসহচর বন্ধুবান্ধব ছাড়াও সামান্য ক-বছরের ব্যবধানে মারা গিয়েছেন বেশ কয়েকজন নিকট-আত্মীয়। মেজদা সত্যেন্দ্রনাথ, দিদি সৌদামিনী ও ছোটোবোন শরৎকুমারী। জ্যোতিরিন্দ্রনাথকে বিধ্বস্ত করেছিল পত্নী কাদম্বরীর আত্মহনন। অনুশোচনা তো বটেই, গ্লানিও জেগে ছিল তাঁর মনে। চেনা পরিবেশ, চেনা পরিজন এড়িয়ে গিয়েছিলেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে। থাকতেন রাঁচিতে মোরাবাদি-পাহাড়ে। ছোট্ট এই পাহাড়ে তিনি নির্মাণ করেছিলেন ‘শান্তিধাম’। নির্জনে-নিরালায় শান্তিধামে একটানা সতেরো বছর কাটিয়েছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ।
গাছগাছালি-পাখপাখালির মাঝে নিমগ্ন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ হয়তো নিজের সঙ্গে কথা বলতেন। জীবনের হিসেব মেলানোর চেষ্টা করতেন। দূরে থাকলেও কলকাতা থেকে নানা খবর চলে আসত। কুসংবাদ তো মৃত্যুর আগে ছোটে। প্রিয়জন কেউ মারা গেলেই সে সংবাদ চলে আসত রাঁচিতে, জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কাছে। তিনি বিমর্ষ হতেন। মৃত্যুচেতনা তীব্র থেকে তীব্রতর হত। মৃত্যুর বছর দেড়েক আগে ভগ্নী স্বর্ণকুমারীকে বেদনা-ভারাক্রান্তচিত্তে লিখেছিলেন, ‘তোমার আন্তরিক শুভকামনা পেয়ে খুব তৃপ্তিলাভ করলুম। মেজদাদা গেলেন, দিদি গেলেন, শরৎ গেলেন, একে একে সবাই আমাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, আমাদের পুরাতন বন্ধুবান্ধব আর একজনও নেই। এইবার আমার পালা।’ পত্রভাষাই আমাদের বুঝিয়ে দেয় জ্যোতিরিন্দ্রনাথের রাঁচি-বাসও তেমন সুখের হয়ে ওঠেনি। বিষাদ-বিষণ্ণতা কুরে কুরে খেয়েছে। মন অতীত-কাতর হয়েছে। সৃষ্টি-সুখের আনন্দে সময় কাটাতে পারেননি।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৫: ভূপেনবাবুর ভূত
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৬: সুন্দরবনের লৌকিক চিকিৎসায় ম্যানগ্রোভ—হরগোজা ও কেয়া
রাঁচির নির্জনতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও আদিবাসী সমাজের সাদামাঠা জীবনযাপন ঠাকুরবাড়ির অনেককেই মুগ্ধ করেছিল। আকস্মিক জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রাঁচি-ভ্রমণে এসেছিলেন, ভালো-লাগার বশে এখানে রয়ে গিয়েছিলেন। না, ব্যাপারটি তেমন নয়। রাঁচির সঙ্গে ঠাকুর-পরিবারের অনেকদিনের যোগাযোগ। রাঁচি কতখানি স্বাস্থ্যকর, এই স্থানের মাহাত্ম্য কতখানি, ইন্দিরা দেবীর অসুস্থতাকে কেন্দ্র করে তা অনেক আগেই বোঝা গিয়েছিল। ইন্দিরার পিতৃদেব সত্যেন্দ্রনাথ ও মা জ্ঞানদানন্দিনীর সঙ্গে রাঁচির যোগাযোগ দিনে দিনে নিবিড় হয়েছিল। পরবর্তীকালে মেজোবউঠান জ্ঞানদানন্দিনী ও মেজদা সত্যেন্দ্রনাথের সঙ্গে রাঁচি-ভ্রমণে এসেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। এতই ভালো লেগেছিল যে তখনই স্থির করে ফেলেছিলেন, আর কোথাও নয়, রাঁচিতে বাড়ি করে শেষ-জীবন কাটাবেন।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, কাদম্বরী, সত্যেন্দ্রনাথ ও জ্ঞানদানন্দিনী।
কাদম্বরী দেবীর মৃত্যুকে ঘিরে জোড়াসাঁকোতে আলোড়ন পড়েছিল। তাঁর আত্মহননের সম্ভাব্য কারণ লোপাট করার কাজে মহর্ষিদেব স্বয়ং নেমে পড়েছিলেন, এমন তথ্যও পাওয়া যায়। এই মৃত্যুকে ঘিরে সমাজজীবনে বিরূপ প্রতিক্রিয়াও হয়েছিল। এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটার পর জ্যোতিরিন্দ্রনাথ আরও বেশি করে বন্ধুহীন ও নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলেন। সেসময় তিনি জোড়াসাঁকোর বাড়ি ছেড়ে সত্যেন্দ্রনাথের পার্ক স্ট্রিটের বাড়িতে থাকতেন।
রাঁচিতে প্রথমে ভাড়া বাড়িতে, পরে মোরাবাদি-পাহাড়ে গৃহনির্মাণ। পাহাড়ের নিচে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের একটি নিজস্ব রিকশা রাখা থাকত সব সময়। রিকশাটি টানত তাঁর ভৃত্য। রিকশায় চড়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ প্রতিদিন সকালে বের হতেন। আশপাশে যারা থাকত, তাদের কার কী লাগবে, যাওয়ার সময় তা জেনে যেতেন। প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতেন। এ সব করতে গিয়ে অনেক দেরি হয়ে যেত খেতে। প্রায়দিনই আড়াইটে-তিনটে বেজে যেত। এরপর ইজিচেয়ারে শুয়ে বিশ্রাম করতেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। রাঁচি বাসকালে তাঁর সারাক্ষণের সঙ্গী ছিল দুটি মূক পশু। একটি কুকুর, আর একটি বাঁদর। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ অত্যন্ত স্নেহ করতেন তাদের।
রাঁচিতে প্রথমে ভাড়া বাড়িতে, পরে মোরাবাদি-পাহাড়ে গৃহনির্মাণ। পাহাড়ের নিচে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের একটি নিজস্ব রিকশা রাখা থাকত সব সময়। রিকশাটি টানত তাঁর ভৃত্য। রিকশায় চড়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ প্রতিদিন সকালে বের হতেন। আশপাশে যারা থাকত, তাদের কার কী লাগবে, যাওয়ার সময় তা জেনে যেতেন। প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিতেন। এ সব করতে গিয়ে অনেক দেরি হয়ে যেত খেতে। প্রায়দিনই আড়াইটে-তিনটে বেজে যেত। এরপর ইজিচেয়ারে শুয়ে বিশ্রাম করতেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ। রাঁচি বাসকালে তাঁর সারাক্ষণের সঙ্গী ছিল দুটি মূক পশু। একটি কুকুর, আর একটি বাঁদর। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ অত্যন্ত স্নেহ করতেন তাদের।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৮: ভারতভুক্তির পর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২০: মানকুমারী বসু—সাহিত্য জগতের উজ্জ্বল রত্ন!
জাহাজ-ব্যবসায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ভরাডুবি হয়েছিল,হয়েছিলেন ‘সর্বস্বান্ত’। কাদম্বরীকে হারিয়ে মানসিকভাবেও তিনি তখন বিপর্যস্ত। জীবনের আলো-রং যেন হারিয়ে গিয়েছিল। চেনা পরিবেশ ও লোকালয়ের বাইরে গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিলেন। মোরাবাদি-পাহাড়ে জমি কিনতে লেগেছিল ৪৭০০ টাকা। মেজোবউঠান জ্ঞানদানন্দিনীকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বলেছিলেন, খোকার জন্য ওই জায়গাটা তিনি কিনে রাখলেন। এই খোকা আর কেউ নন, সত্যেন্দ্রনাথ ও জ্ঞানদানন্দিনীর সন্তান সুরেন্দ্রনাথ।
রাঁচি-পাহাড়, ইদানীংকালের ছবি।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ তাঁর ‘জীবনস্মৃতি’তে এই রাঁচি-পাহাড়-বাসকে ‘বেদব্যাসের বিশ্রাম’ বলে চিহ্নিত করেছেন। নির্জন পাহাড়ে কখনও অনুবাদকর্মে মন দিয়ে, কখনও বা সংগীত চর্চায় মনোনিবেশ করে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের দিন কেটেছে। আত্মীয়-স্বজনও কেউ কেউ এই অন্যরকম পরিবেশে, প্রকৃতির মাঝখানে অবকাশ-অবসরযাপনের উদ্দেশ্যে এসেছেন। মেজদা সত্যেন্দ্রনাথ একাধিকবার এসেছেন। দ্বিজেন্দ্র-পুত্র দ্বিপেন্দ্রনাথের বধূ হেমলতা এসেছেন। রবীন্দ্রনাথের জামাতা নগেন্দ্রনাথ এসেছেন। অবনীন্দ্রনাথও এসেছেন। কবি-পুত্র রথীন্দ্রনাথ তো অ্যাডভেঞ্চারে নেমেছিলেন। নতুন গাড়ি কেনার পর পত্নী প্রতিমাকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে রাঁচিতে পৌঁছেছিলেন। জায়গাটি সত্যেন্দ্রনাথের খুবই ভালো লেগেছিল। জ্ঞানদানন্দিনীও পুত্র সুরেন্দ্রনাথের উৎসাহে পাহাড়ের নিচে একখণ্ড জমি কিনে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। সে বাড়ির নাম দিয়েছিলেন ‘সত্যধাম’।
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৩: শ্রীমার বড় ভাইজিরা—নালু ও মাকু
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬০: আধুনিক ভারতীয় রাজনীতির চালচিত্রে কি দশরথ ও কৈকেয়ীর ছায়া?
এই দীর্ঘ সময়কালে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ মৌলিক লেখা কিছুই লেখেননি। যৎসামান্য অনুবাদ করেছিলেন। সব থেকে একটি বড়ো কাজ তাঁকে দিয়ে করিয়ে নিয়েছিলেন বসন্তকুমার চট্টোপাধ্যায়। বসন্তকুমারকে তিনি একটি থাকার জন্য ঘর দিয়েছিলেন। প্রতিদিন তাঁকে শোনাতেন জীবনের নানা গল্প। চলার পথে সে সব বিবরণ অনুলিখন করতেন বসন্তকুমার। এভাবেই লেখা হয়েছিল জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ‘জীবনস্মৃতি’।
রাঁচি-পাহাড়ের ছবি, জ্যোতিরিন্দ্রনাথের 'জীবনস্মৃতি' বই থেকে।
অবনীন্দ্রনাথের ‘জোড়াসাঁকোর ধারে’ বইতে আছে, ‘জ্যোতিকাকা’র সান্নিধ্যে রাঁচি-বাসের মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। কী ভীষণ স্নেহময় ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ, ভিতর থেকে উঠে আসা ভালোবাসা অবনীন্দ্রনাথকেও স্পর্শ করেছিল। অবনীন্দ্রনাথের তখন বয়স হয়েছে। জানিয়েছেন, ‘আমি কত বড়, ছেলেপুলে নাতিনাতনি আমার চারদিকে।’ জ্যোতিরিন্দ্রনাথের কাছে তিনি ছোটোই রয়ে গিয়েছিলেন। তাই রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন তাঁর জন্য কেক আনতে। কেকের বাক্সটি অবনীন্দ্রনাথের হাতে দিয়ে বলেছিলেন, ‘তুমি খেয়ো কিন্তু, তোমার জন্যেই এনেছি।’ অবনীন্দ্রনাথকে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ এমনই ‘ছোট্টটি’ দেখতেন চিরকাল।
চরম বিপর্যয়ের প্রবল মনোযন্ত্রণা নিয়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রাঁচিতে এসেছিলেন। রাঁচির উদার প্রকৃতি যেন সান্ত্বনার প্রলেপ বুলিয়ে দিয়েছিল। বিধ্বস্ত, বিপন্ন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নিজের মতো করে ভালো ছিলেন রাঁচিতে।
চরম বিপর্যয়ের প্রবল মনোযন্ত্রণা নিয়ে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ রাঁচিতে এসেছিলেন। রাঁচির উদার প্রকৃতি যেন সান্ত্বনার প্রলেপ বুলিয়ে দিয়েছিল। বিধ্বস্ত, বিপন্ন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নিজের মতো করে ভালো ছিলেন রাঁচিতে।
* গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি (Tagore Stories – Rabindranath Tagore) : পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Parthajit Gangopadhyay) অবনীন্দ্রনাথের শিশুসাহিত্যে ডক্টরেট। বাংলা ছড়ার বিবর্তন নিয়ে গবেষণা, ডি-লিট অর্জন। শিশুসাহিত্য নিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে গবেষণা করে চলেছেন। বাংলা সাহিত্যের বহু হারানো সম্পদ পুনরুদ্ধার করেছেন। ছোটদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। সম্পাদিত বই একশোরও বেশি।