
পেলের মৃত্যুর পর মেসির শোকবার্তা।
পেলে শুধু তিনটি বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার নন, তিনি ক্রীড়াবিশ্বের এক মহাতারকা। যাঁকে দেখে সবাই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সেই কিংবদন্তি মহাতারকা প্রয়াত হয়েছেন।
পেলের মৃত্যুতে শোকাহত লিয়োনেল মেসি। তিন বারের বিশ্বকাপজয়ীর মৃত্যুর পর মেসি লেখেন, “শান্তিতে বিশ্রাম নাও।” মেসি তাঁর এবং পেলের দু’টি ছবিও পোস্ট করেছেন। এক সময় পেলের মুখে মেসি সম্পর্কে প্রশংসা শোনা যেত না। পেলে মনে করতেন নেমার মেসির থেকেও ভালো ফুটবলার। পেলে বলেছিলেন, “সবাই মেসির সম্পর্কে কথা বলছে। ও একজন তারকা মাত্র। মেসিকে যদি সর্বকালের সেরা হতে হয়, তবে প্রথমে নেমারের থেকে ভালো হতে হবে।”
এবার আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পর মেসির প্রশংসা করে হাসপাতাল থেকেই পেলে সমাজমাধ্যমে লেখেছিলেন। সেখানে তিনি লেখেন, “বরাবরের মতো ফুটবল তার গল্প বলেই চলেছে। ফুটবল খুবই আকর্ষণীয় ভাবে গল্প বলছে। প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতল মেসি। ওর ফুটবলের যা গতিপথ, তাতে ওর এটা প্রাপ্যই ছিল। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা। দিয়েগো (মারাদোনা) এখন নিশ্চয়ই হাসছে।’’ পেলে তাঁর লেখার সঙ্গে মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:

পেলে আর নেই! বিশ্ব ফুটবলের প্রথম কিংবদন্তি প্রয়াত, বয়স হয়েছিল ৮২ বছর

‘পেলের আগে ফুটবল কেবল একটি খেলা ছিল, পেলেই ফুটবলকে শিল্প বানিয়ে দিয়েছিলেন…’, লিখলেন নেমার

লিয়োনেল মেসি…রূপকথা নয়, এক কঠোর কঠিন বাস্তব
কিংবদন্তি এই ফুটবলার ২০২১ সাল থেকে অন্ত্রের ক্যানসারে ভুগছিলেন। কাতার বিশ্বকাপের সময় আচমকা তাঁর স্বাস্থ্যের অবনতি হয়েছিল। সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে গত ২৯ নভেম্বর তাঁকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু গত ২২ ডিসেম্বর শরীরে ক্যানসারের প্রকোপ হঠাৎ করে খুব বেড়ে যায়। এমনকি, চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ফুটবলের প্রথম মহাতারকার আর বাড়ি ফেরাও হয়নি। হাসপাতালেই তিনি বড়দিন কাটিয়েছিলেন।
পেলের কন্যা কেলি বাবাকে জড়িয়ে ধরে নেটধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। ছেলে এডিসনও গত শনিবার হাসপাতালে পৌঁছে যান। শেষ কয়েকটি দিন পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পেলের পাশেই ছিলেন। যদিও এত কিছুর পরও শেষ রক্ষা হয়নি। কিংবদন্তিকে বাঁচানো যায়নি। চিরনিদ্রার দেশে চলে গেলেন তিন বারের বিশ্বকাপ জয়ী।
পেলের কন্যা কেলি বাবাকে জড়িয়ে ধরে নেটধ্যমে পোস্ট করেছিলেন। ছেলে এডিসনও গত শনিবার হাসপাতালে পৌঁছে যান। শেষ কয়েকটি দিন পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে পেলের পাশেই ছিলেন। যদিও এত কিছুর পরও শেষ রক্ষা হয়নি। কিংবদন্তিকে বাঁচানো যায়নি। চিরনিদ্রার দেশে চলে গেলেন তিন বারের বিশ্বকাপ জয়ী।