শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪


সারাদিন খাটাখাটনির পর সোনার চাই একটু নিশ্চিন্ত বিশ্রাম, তাই এই ঘরে বা পাশের ঘরে তার কোন আপত্তি নেই।

সেদিন রাতে তেপায়া টেবিলের উপর মোমবাতি জ্বালিয়ে চিরঞ্জীবের এক বাক্স চিঠির উপর হাত রেখে অনেক চেষ্টা করল লাবণ্য। কোন কিছুই হল না। মোমবাতি নিভে যাবে বলে পাখা নিবিয়ে ছিল জানলা দরজা বন্ধ। ফলে দরদর করে ঘামতে লাগলো লাবণ্য। পরের রাতে একই ভাবে চেষ্টা করল কোনও লাভ হল না। উল্টে মনে হল এইসব প্লানচেট-ফ্লানচেট মিথ্যে! কিন্তু গুরুদেব যে বহু জায়গায় তার উল্লেখ করেছেন। তবে কি মনোসংযোগে অভাব ঘটছে? তৃতীয় দিনে না তেপায়া টেবিল না মোমবাতি।

ঘর অন্ধকার। জানলা দিয়ে মেঝেতে চলকে পড়েছে চাঁদের আলো। ফ্যান চলছে। টেবিলের সাদা ঢাকাটা থেকে থেকে উড়ছে। সেই টেবিল কভারে মায়ের নিখুঁত হাতের ক্রুশের কাজ। লাবণ্য সেসব শেখেনি। বয়স হয়ে চিরঞ্জীব এখন কেমন দেখতে হয়েছে তা লাবণ্য জানেনা। তার সেই সেদিনের চেহারাটাই মনে আছে। মাথায় বড় বড় চুল। অবিন্যস্ত দাড়ি। প্যান্টের ওপর পাঞ্জাবি পরতো চিরঞ্জীব।

শেষ কবে চিরঞ্জীবকে দেখেছিল সেটা তার মনেই পড়ছে না। কেন এমন হয়? চিরঞ্জীবের সব স্মৃতি স্পষ্ট কেবল শেষ কবে দেখা হল সেটা কিছুতেই…। না রানুর জেঠু মারা যেতে লাবণ্য যায় নি – কাজের সময় তো নয়ই … তবে?
মেহগনি রঙের কাশ্মীরি কাজ করা চিঠি বোঝাই কাঠের বাক্সটা লাবণ্যর মাথার বালিশের ঠিক পাশেই রাখা আছে। হঠাৎ একটা শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়ায় ঘুমটা ভেঙ্গে গেল চাদরটা পায়ের কাছ থেকে নিতে গিয়েচমকে উঠল লাবণ্য টেবিলের পাশেচেয়ারে কে বসে? কে? সাদা পাজামা -পাঞ্জাবি পরা একটা অবয়ব অবিন্যস্ত সাদা চুল দাড়ি। কয়েকমুহূর্ত যেন। তারপর হাওয়ায় মিশে গেল। টেবিলের সাদা ঢাকাটাহাওয়ায় উড়ছে – মাঝে মাঝে চেয়ারটার ছুঁয়ে যাচ্ছে। কেউ তো নেই সেখানে। লাবণ্য কি স্বপ্ন দেখছিল? এখনো কি স্বপ্নই দেখছে? লাবণ্য জল নিয়ে খেল। না, জেগেই তো আছে। তবে কি মনের ভুল। চাঁদের আলো সাদা পর্দা এসবের মধ্যেই…রাত্তিরটা আর ঘুম এল না।

পরের দিন একটা ঘুম-না-হওয়া ম্যাজম্যাজানিতে ছেয়ে আছে শরীর-মন।দুপুরে শুতেই মাথাটা যেন হাল্কা হয়ে এল। যখন চোখ খুলল তখন দিনের আলো তেলহীন প্রদীপের মতো মিইয়ে এসেছে। বাবা কতক্ষণ ঘুমিয়েছে? বহুদিন যেন এমন গভীর ঘুম আসেনি। অন্যসময় ঘুমের মধ্যে চিন্তার পোকারা কিলবিল করে।

মাঝে মাঝে তন্দ্রামতো আসে কিন্তু ঘুম অব্দি পৌঁছনোর আগেই সামান্য শব্দে সে তন্দ্রা ভেঙে যায়। গভীর ঘুমে কি আত্মাও বিশ্রাম নেয়?

সেদিন রাতে একটু তাড়াতাড়ি খেয়ে নিল লাবণ্য। ঘরটা গুছিয়ে নিতে হবে। বসার চেয়ারটাকে বিছানার কাছাকাছি নিয়ে এল সাদা চাদর পাতা গোলটেবিল তার থেকে দূরে। যাতে আলো-আঁধারিতে কোনরকম ভুলভ্রান্তি না ঘটে তারপর সেদিনের মতোই চিঠির বাক্সটা পাশে নিয়ে শুয়ে পড়ল। মনে মনে ভাবতে শুরু করলো যদি পিসিমণির সম্বন্ধ করা ছেলেকে বিয়ে করার ব্যাপারে সেদিন সে না বলতো, যদি সে বাড়িতে জানিয়ে দিত সে মনে মনে চিরঞ্জীবকে ভালোবাসে। কিন্তু চিরঞ্জীব সেই মুহূর্তে বিয়ের জন্য তৈরি নয় তাই তাদের একটু সময় লাগবে। তাহলে সেদিন ঠিক কী হতে পারত? বাবা খুব দুঃখ পেতেন আত্মীয় স্বজনের সামনে লাবণ্যর বাবা-মা ছোট হয়ে যেতেন। বাবা বলতেন কোনোভাবেই তিনি চিরঞ্জীবকে লাবণ্যর স্বামী হিসেবে মেনে নেবেন না নিতেন না।

লাবণ্য নয় বিয়ে করত না। কত কত নারী বা পুরুষ তো আছে যাদের বিয়ে হয়নি, তারা একাই বেঁচে আছে। আর বয়সকালে কে কাকে দেখে? তার বাবার কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল খাওয়া-দাওয়ায় ধরাকাট ছিল। কিন্তু মা’র তো কোন সমস্যা ছিল না। অথচ মা-ই তো দুম করে চলে গেল। বিয়ে ভেঙে ছেলে নিয়ে লাবণ্য ফিরে না এলে বাবাকে তো শেষ বয়সে একা একা কিংবা কাজের লোকের ভরসায় বাঁচতে হতো। এখন যেমন লাবণ্য আছে। তার ছেলে আছে বৌমা আছে কিন্তু সে বেঁচে আছে সোনার ভরসায়।
আরও পড়ুন:

এক বাক্স চিঠি/১

বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৯: ফেরেন্তস পুসকাস: দুটি দেশের হয়েই বিশ্বকাপ খেলেছেন

ছেলে বৌমা কলকাতায় ব্যস্ত দুম করে আসার দরকার পড়লে গাড়িতে ঘন্টা চারেক – আর ট্রেনে সময় ধরে এলে বোলপুর স্টেশন পর্যন্ত দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।

এখন যেমন একা একা আছে তখনও তেমন একা একাই থাকতো। হ্যাঁ তার ছেলে হয়েছে তাকে সে মানুষ করতে পেরেছে অমন একটি দুশ্চরিত্র লম্পট মানুষের রক্ত শরীরে নিয়েও আদিত্য নষ্ট হয়ে যায়নি। কিন্তু সে তো একজন পূর্ণবয়স্ক স্বাধীনচেতা মানুষ। সে তার সহকর্মীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত আগে নিয়েছে তারপর মাকে জানিয়েছে। লাবণ্য বাধা দেয়নি। ভালোবাসার মানুষের থেকে টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে নেয় অন্যত্র সম্পর্ক করলে কি হয় সেটা লাবণ্য জানে।

আবার গত রাতের মতো ঠান্ডা শিরশিরে একটা হাওয়া আজ চাদরটা হাতের কাছে ছিল চাদরটা নিতে গিয়ে চেয়ারের কাছে দেখল লাবণ্য। না, চেয়ারটা ফাঁকা। সেখানে কেউ নেই। কিন্তু চেয়ার এর পেছনে যে খোলা জানালা যেখানে সাদা পর্দাটা হাওয়ায় দুলছে ঠিক তার সামনে তাই সেই এক অবয়ব। ধোঁয়া ধোঁয়া অস্পষ্ট সাদা পায়জামা-পাঞ্জাবি অবিন্যস্ত চুল দাড়ি।
—কে? কে ওখানে?
কোনও উত্তর নেই কিন্তু অবয়বযেন চেয়ারের কাছাকাছি এল। এগিয়ে এল লাবণ্য স্পষ্ট দেখলো আবছায়া অবয়ব ভেসে এল ধুনোর ধোঁয়া যেমন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ভেসে যায় – ঠিক তেমন। লাবণ্য ভয় পায়নি তার কণ্ঠস্বরে একটা সংশয়। সে যা ভাবছে আদৌ সেটাই ঘটেছে কিনা সেটা সে জানতে চায়—
—কে? কে ওখানে?
একটা চাপা ফিসফিসে উত্তর আসে এ কণ্ঠস্বর তার খুব চেনা।
—আমি!
—আমি? আমি মানে? কে?
আবার সেই চাপা ফিসফিসে কণ্ঠস্বর উত্তরটা যে ওই অবয়বথেকেই আসছে এমনটা নয়। মনে হচ্ছে যেন অন্য কোনও জায়গা থেকে কথাটা বলা হচ্ছে এক অদ্ভুত অনুভূতি।
তুমিই তো আমায় ডাকলে বন্যা ।আর এখন আমায় চিনতে পারছো না?
শেষের কবিতা’র অমিতের আদলে লাবণ্যকে ‘বন্যা’ বলে পৃথিবীতে যে ওই একজনই ডাকত।
চিরঞ্জীব তুমি!! তুমি এসেছ? নাকি আমি স্বপ্ন দেখছি। না এ আমার মনের ভুল?
না সত্যিই আমি এসেছি। তবে বেশিক্ষণ আমি থাকতে পারবো না।
আমি প্লানচেট মিডিয়াম এসব কিছুই তো জানিনা চিরঞ্জীব কিন্তু তুমি এলে কি করে?
তোমার মন ভীষণ ভাবে আমাকে দেখতে চাইছিল। তাই আমাকে আসতে হল।
তুমি বসবে না চিরঞ্জীব?
বসা দাঁড়ানো চলা এই অবস্থান গুলো আমার কাছে অর্থহীন আসলে অবয়ব ধারণ করে থাকাটা কঠিন। তুমি চাইলে আমি কোন অবয়ব ছাড়া আমি তোমার কাছে থাকতে পারি।

লাবণ্য ঘরে ছিটকিনি বন্ধ করতো না সোজা করে তুলে রাখত হঠাৎ কোন। বিপদআপদ হলে সোনা যাতে বাইরে থেকে ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতে পারে তাই এই ব্যবস্থা। পরদিন সকালে অনেক ডাকাডাকিতেও কোনো সাড়া না পেয়ে সোনা খুব ভয় পেয়ে দরজা ধাক্কাতে শুরু করল সেই ধাক্কাতেই ছিটকিনি খুলে গিয়ে সোনা দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে দেখল লাবণ্যর ধুম জ্বর ছুটোছুটি করে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ পত্র লিখিয়ে সোনা বৌদির নম্বরে ফোন করলো।

আনন্দী ফোনে বিশদে খবর নিল। জ্বর কত? মা কথা বলছেন কিনা? কিছু খাচ্ছে কিনা? সোনা মাথা ধুইয়ে দিয়েছে কিনা? ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন হোয়াটসঅ্যাপ করে পাঠাতে বলল সঙ্গে ডাক্তারের নম্বরটাও চেয়ে নিল। আসলে আদিত্য এখন ট্যুরে। ওকে ফোন করলে সব ডিটেইলস জানতে চাইবে। আদিত্য ফিরলে ওকে নিয়ে বোলপুরে আসবে আনন্দী। সেরকম ইমারজেন্সি হলে ওকে ফোন করতেও ড্রাইভার নিয়ে চলে আসবে কলকাতা থেকে।
আরও পড়ুন:

ইতিহাস কথা কও, পর্ব-১৫: দেবদেউল কথা ও গোসানিমারি কামতেশ্বরী মন্দির

কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-১৩: উইলসন-এ-কথা

তার দরকার পড়েনি। একদিন পরেই লাবণ্য বেশ সুস্থ বোধ করল জ্বরও নেমে এল। ডাক্তারবাবু লেবু দিয়ে পাতলা মাছের ঝোল আর ভাত খেতে বললেন। দিনকাল মানুষজনের মত চিকিৎসাও আজকাল কত বদলে গেছে। আগেকার দিনের সিরাপের চিকিৎসায় পাঁচ সাতদিন না কাটলে ভাতই খাওয়া যেত না। লাবণ্য নিজেই ফোন করল আনন্দীকে। জানাল সে ভালো আছে। সময় সুযোগ হলে তারা যেন আসে কিন্তু হুড়োতাড়ার দরকার নেই।

ফোন পেয়ে আনন্দে নিশ্চিন্ত হল। আদিত্যকে টেক্সট করে দিল। অফিসে খুব প্রয়োজন না হলে আদিত্যকে ফোন করে না আনন্দী- সে নিজেও একই অফিসে ছিল। আদিত্যকে কতটা ব্যস্ত থাকতে হয় সেটা আনন্দী খুব ভাল করেই জানে। এখন দায়িত্ব বেড়েছে চাপ আরও বেড়েছে। আর ট্যুরে থাকলে তো রাতে হোটেলে ঘুমোতে যাওয়া ছাড়া সারা সময়টাতেই কাজে ব্যস্ত থাকে। এই উইকেন্ডে আনন্দীর এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বোনের বিয়ে। বান্ধবী তো বলেছে সঙ্গে বিয়ের কনে নিজে এসেছিল নিমন্ত্রণ করতে। নেক্সট উইক এন্ডে বোলপুর যাওয়া যেতে পারে।
এদিকে লাবণ্য এখন খুব সহজেই চিরঞ্জীবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। গভীর রাত বা নিঃশব্দ দ্বিপ্রহর। চিরঞ্জীব তার অস্তিত্ব জানান দেয়। তবে সবসময় অবয়বে থাকতে পারেনা। তাতে লাবণ্যর কোন অসুবিধে হয় না, সে খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গেকথা বলে। চিরঞ্জীব আগেও খুব চুপচাপ ছিল এখনও তাই। মাঝেমধ্যে উত্তর দেয়। লাবণ্য ছেলেকে নিয়ে বোলপুরেরবাড়িতে আসার পর মোটামুটি প্রয়োজনের বাইরে কথা বলত না। খুব চুপচাপ থাকতো। এতবছর তাই ছিল। কিন্তু লাবণ্য বদলে যাচ্ছে পুরনো সময়ের মতো হয়ে যাচ্ছে। আর সেটা আর কেউ বুঝুক না বুঝুক কাজের মেয়ের সোনা স্পষ্ট বুঝতে পারছে। সোনা ক্লাস নাইন অব্দি পড়েছে – বাড়িতে আর্থিক সমস্যার জন্য আর পড়াশোনা হয়নি। কিন্তু খুব বুদ্ধিমতি।

সোনা একদিন আবিষ্কার করল মাসি একা একা হাসছে। কারও সঙ্গে যেন কথা বলছে। সোনার কেমন বদ্ধমূল ধারণা হলো – মাসিকে ভূতে পেয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ ইউটিউব জানে গুগল জানে দেশ-বিদেশের অনেক খবর রাখে কিন্তু আত্মা ভূতে পাওয়া এই ব্যাপারগুলো খুব বিশ্বাস করে সোনা।
কালক্ষেপ না করে আনন্দীকে জানিয়ে দিল ব্যাপারটা।
আরও পড়ুন:

লাইট সাউন্ড ক্যামেরা অ্যাকশন, পর্ব-৪: জার্মান অভিব্যক্তিবাদ ও মারনোর নসফেরাতু

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-২২: সুন্দরবনে গোয়াল পুজো আর ‘ধা রে মশা ধা’

পরের সপ্তাহে আদিত্য আনন্দী দুজনেই তাদের নতুন কেনা বড়োসড়ো গাড়িটা করে এল। পৌঁছতে পৌঁছতে বেলা হয়ে গিয়েছিল। তাই খাওয়া দাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম করার পর রোদ যখন দুপুর গড়িয়ে বিকেলে পা রেখেছে। আদিত্য তখন চায়ের কাপ হাতে লাবণ্যকে সরাসরি জিজ্ঞেস করল।
—জ্বরটার পরে কি তোমার কোনরকম প্রবলেম হচ্ছে মা?
—প্রবলেম? কই নাতো।
আনন্দী আদিত্য চোখ চাওয়াচাওয়ি করে। আদিত্য কিছু ভাবছে। তাই পরের প্রশ্নটা আনন্দী করে।
—তুমি কি আনইউজুয়াল কিছু ফিল করছো মা ।
এবার লাবণ্যর সন্দেহ হয়। মনে হয় চিরঞ্জীবের অস্তিত্বটা বোধহয় সোনা আন্দাজ করেছে। এবং সোনাই ফোন করে কলকাতায় বৌমাকে জানিয়েছে। ২৫বছর বয়স পর্যন্ত লাবণ্য লড়াই করতে পারেনি সবকিছু মেনে নিয়েছে। কিন্তু ২৫ বছর পর যে লড়াই শুরু করেছিল সেটা আজও থামেনি। সেদিন থেকে স্পষ্ট কথা সরাসরি বলতে শিখেছে বলেছে। উঠে গিয়ে দরজাটা ভেজিয়ে দিয়ে ছেলে ও বৌমার সামনাসামনি বসলো লাবণ্য।
—আদি কথাটা তোদের বলবো ভেবেছিলাম। কিন্তু এমন তো বড় একটা ঘটে না তাই ঠিককিভাবে বলবো বুঝে উঠতে পারেনি আজ কথাটা তুলে তোরা আমার কাজটা অনেক সোজা করে দিলি। — অন্তিমপর্ব আগামীকাল
* এক বাক্স চিঠি (a-box-of-letters) : জিৎ সত্রাগ্নি (Jeet Satragni) বাংলা শিল্প-সংস্কৃতি জগতে এক পরিচিত নাম। দূরদর্শন সংবাদপাঠক, ভাষ্যকার, কাহিনিকার, টেলিভিশন ধারাবাহিক, টেলিছবি ও ফিচার ফিল্মের চিত্রনাট্যকার, নাট্যকার। উপন্যাস লেখার আগে জিৎ রেডিয়ো নাটক এবং মঞ্চনাটক লিখেছেন। প্রকাশিত হয়েছে ‘জিৎ সত্রাগ্নি’র নাট্য সংকলন’, উপন্যাস ‘পূর্বা আসছে’ ও ‘বসুন্ধরা এবং…(১ম খণ্ড)’।

Skip to content