ড. সাবির এ ভন সোচকি
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পৃথিবী। রাতের অন্ধকারে অতন্দ্র সৈন্যদল নিজেদের কর্তব্যে রত। সূচিভেদ্য অন্ধকারে সময় জানা বড়ই দুষ্কর। এই সময় আমেরিকার সৈন্যদের জন্য লুমিনাস ওয়াচ তৈরি করা হয়েছিল। যে ঘড়ির ডায়ালগুলি রেডিয়াম দিয়ে পেইন্ট করা। গভীর রাতে সৈন্যদের সময় জানাতে বিশেষ সহায়ক এই ঘড়িগুলো।
রেডিয়াম আকরিক ও জিংক সালফেটের মিশ্রণে প্রক্রিয়াজাত লুমিনিসেন্ট এই পেইন্ট আবিষ্কার করেছিলেন ড. সাবির এ ভন সোচকি। ১৮৮৩ সালে ইউক্রেনে তাঁর জন্ম। ১৯১৫ সালে তিনি বহুল ব্যবহৃত রেডিয়াম পেন্টের সূত্রের উদ্ভাবন করেন। ওই বছরই তিনি ও তাঁর কিছু সহযোগী রেডিয়াম লুমিনাস ম্যাটেরিয়ালস কোম্পানিরও প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানি কার্নোটাইট আকরিক থেকে ইউরেনিয়াম তৈরি করেছিল এবং পরে রেডিওলুমিনেট পেইন্ট তৈরি করে তার ব্যবসা শুরু করে। ১৯২১ সালে ভন সোচকিকে রাষ্ট্রের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল কোম্পানিটিকে ইউনাইটেড স্টেটস কর্পোরেশন নাম দেওয়ার জন্য।
ইউনাইটেড স্টেটস রেডিয়াম কর্পোরেশন ১৯১৭ থেকে ১৯২৬-এর মধ্যে নিউ জার্সিতে যে অপারেশনগুলি করেছিল তা ছিল ভয়ংকর! প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এই পেইন্ট দিয়ে আঁকা ঘড়ির ডায়াল এবং বিমানের বিশেষ কিছু যন্ত্রের চাহিদা খুব বেড়ে যায়। ফলে কোম্পানিটি যথেষ্ট পরিমাণে তাদের কার্যক্রমকে প্রসারিত করে। কোম্পানির শ্রমিকরা বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা। এই পেইন্ট করার সময় যে বিশেষ ব্রাশটি ব্যবহৃত হতো, তা মুখ দিয়ে চেপে ধরে ব্যবহার করা হতো। ‘লিপ পয়েন্টিং’- এর এই কৌশলটি এসেছে চীন দেশ থেকে। ফলে রেডিয়াম সরাসরি শরীরে প্রবেশ করত। কিন্তু শ্রমিকদের বলা হয়েছিল পেইন্টটা ক্ষতিকারক নয়।
রেডিয়াম আকরিক ও জিংক সালফেটের মিশ্রণে প্রক্রিয়াজাত লুমিনিসেন্ট এই পেইন্ট আবিষ্কার করেছিলেন ড. সাবির এ ভন সোচকি। ১৮৮৩ সালে ইউক্রেনে তাঁর জন্ম। ১৯১৫ সালে তিনি বহুল ব্যবহৃত রেডিয়াম পেন্টের সূত্রের উদ্ভাবন করেন। ওই বছরই তিনি ও তাঁর কিছু সহযোগী রেডিয়াম লুমিনাস ম্যাটেরিয়ালস কোম্পানিরও প্রতিষ্ঠা করেন। এই কোম্পানি কার্নোটাইট আকরিক থেকে ইউরেনিয়াম তৈরি করেছিল এবং পরে রেডিওলুমিনেট পেইন্ট তৈরি করে তার ব্যবসা শুরু করে। ১৯২১ সালে ভন সোচকিকে রাষ্ট্রের তরফ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল কোম্পানিটিকে ইউনাইটেড স্টেটস কর্পোরেশন নাম দেওয়ার জন্য।
ইউনাইটেড স্টেটস রেডিয়াম কর্পোরেশন ১৯১৭ থেকে ১৯২৬-এর মধ্যে নিউ জার্সিতে যে অপারেশনগুলি করেছিল তা ছিল ভয়ংকর! প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় এই পেইন্ট দিয়ে আঁকা ঘড়ির ডায়াল এবং বিমানের বিশেষ কিছু যন্ত্রের চাহিদা খুব বেড়ে যায়। ফলে কোম্পানিটি যথেষ্ট পরিমাণে তাদের কার্যক্রমকে প্রসারিত করে। কোম্পানির শ্রমিকরা বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা। এই পেইন্ট করার সময় যে বিশেষ ব্রাশটি ব্যবহৃত হতো, তা মুখ দিয়ে চেপে ধরে ব্যবহার করা হতো। ‘লিপ পয়েন্টিং’- এর এই কৌশলটি এসেছে চীন দেশ থেকে। ফলে রেডিয়াম সরাসরি শরীরে প্রবেশ করত। কিন্তু শ্রমিকদের বলা হয়েছিল পেইন্টটা ক্ষতিকারক নয়।
তৎকালীন সময়ে যেহেতু রেডিয়ামকে বিস্ময়কর ওষুধ হিসেবে বিবেচনা করা হতো, তাই মহিলা শ্রমিকেরা ভেবেছিল এই ‘লিপ পয়েন্টিং’ তাঁদের উপকার করবে। কিন্তু এর ফল হয়েছিল ভয়াবহ! কিছুদিনের মধ্যেই প্রচুর শ্রমিক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এছাড়াও অস্থি ক্ষয় এবং চোয়াল ভেঙে যাওয়ার মতো ঘটনার শিকার হন অনেকে।
স্টুডিওতে কাজ করা মেয়েদের জন্য না ছিল কোনও সিসা অ্যাপ্রোন, না ছিল কোনও বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পেন্টারদের জন্য কোনও যত্নই নেওয়া হয়নি। ১৯২০ দশকের ডায়াল পেইন্টারদের মধ্যে মারাত্মক রকমের অসুস্থতা এবং হাড়ের ক্ষয়ের মতো ঘটনা দেখা যায়। ১৯২৪ -এ অ্যাসেক্স কাউন্টির মেডিকেল পরীক্ষক ডাঃ হ্যারিসন এস মার্টল্যান্ড প্ল্যান্টটি পরিদর্শন করেন এবং ডায়াল পেইন্টারদের পরীক্ষা করেন। তেজস্ক্রিয় পদার্থ মানব শরীরে কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বিশেষ তথ্য তুলে ধরেন ডাঃ মার্টল্যান্ড। তেজস্ক্রিয়ের বিষক্রিয়ায় আহত শ্রমিকেরা মামলা করেন। যদিও ততদিনে ভন সোচকিও তেজস্ক্রিয়ের বিষে আক্রান্ত হয়েছেন, মারণ রোগ বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরেও।
সাবিন আর্নল্ড ভন সোচকি যে রেডিয়াম ভিত্তিক লুমিনিসেন্ট পেইন্ট আবিষ্কার করেছিলেন, তা মানব জীবনের বা মানব সভ্যতার ব্যবহারিক দিকের অনেক ক্ষেত্রেই অন্ধকারে বিকিরণ করেছিল আলোর রশ্মি। ১৯২৮ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তেজস্ক্রিয়ের আঘাতে মৃত্যু হয় ভন সোচকির। নিজের উদ্ভাবনের দ্বারাই উদ্ভাবকের মৃত্যু! শুধু মৃত্যু নয় এক মর্মান্তিক মৃত্যু!
স্টুডিওতে কাজ করা মেয়েদের জন্য না ছিল কোনও সিসা অ্যাপ্রোন, না ছিল কোনও বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা, কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। পেন্টারদের জন্য কোনও যত্নই নেওয়া হয়নি। ১৯২০ দশকের ডায়াল পেইন্টারদের মধ্যে মারাত্মক রকমের অসুস্থতা এবং হাড়ের ক্ষয়ের মতো ঘটনা দেখা যায়। ১৯২৪ -এ অ্যাসেক্স কাউন্টির মেডিকেল পরীক্ষক ডাঃ হ্যারিসন এস মার্টল্যান্ড প্ল্যান্টটি পরিদর্শন করেন এবং ডায়াল পেইন্টারদের পরীক্ষা করেন। তেজস্ক্রিয় পদার্থ মানব শরীরে কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বিশেষ তথ্য তুলে ধরেন ডাঃ মার্টল্যান্ড। তেজস্ক্রিয়ের বিষক্রিয়ায় আহত শ্রমিকেরা মামলা করেন। যদিও ততদিনে ভন সোচকিও তেজস্ক্রিয়ের বিষে আক্রান্ত হয়েছেন, মারণ রোগ বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরেও।
সাবিন আর্নল্ড ভন সোচকি যে রেডিয়াম ভিত্তিক লুমিনিসেন্ট পেইন্ট আবিষ্কার করেছিলেন, তা মানব জীবনের বা মানব সভ্যতার ব্যবহারিক দিকের অনেক ক্ষেত্রেই অন্ধকারে বিকিরণ করেছিল আলোর রশ্মি। ১৯২৮ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে অ্যাপ্লাস্টিক অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তেজস্ক্রিয়ের আঘাতে মৃত্যু হয় ভন সোচকির। নিজের উদ্ভাবনের দ্বারাই উদ্ভাবকের মৃত্যু! শুধু মৃত্যু নয় এক মর্মান্তিক মৃত্যু!