সোমবার ১১ নভেম্বর, ২০২৪


সূর্য উঠে গিয়েছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। শিবশক্তি পয়েন্টেও সূর্যকিরণ এসে পড়েছে। এ বার ল্যান্ডার বিক্রম এবং রোভার প্রজ্ঞানকে জাগিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ইসরো সেই প্রস্তুতি পুরোদমে শুরু করে দিয়েছে।
ইসরো জানিয়েছে, বুধবারই চাঁদে সূর্যোদয় হয়ে গিয়েছে। যদিও সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই চন্দ্রযান-৩-এর বিক্রম বা প্রজ্ঞান জাগিয়ে তোলা সম্ভব নয়। কারণ, গত ১৫ দিন একটানা যে শীতল আবহাওয়ায় যন্ত্রগুলি অকেজো হয়ে পড়েছে, তা কাটিয়ে তুলতে নির্দিষ্ট মাত্রার তাপের প্রয়োজন। আপাতত সূর্য থেকে সেই তাপ পাওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৮: খেলার ছলে এসেছিনু যেথা ‘হারজিৎ’-র পর্ব রাখিনু সেথা

ভাঙা হবে ৪০০ কোটি টাকায় বিক্রি হওয়া দেব আনন্দের বাসভবন, এই বাংলোর জায়গায় কী তৈরি হবে?

ভারতের মহাকাশ গবেষণাকারী সংস্থা ইসরো এও জানিয়েছে, সূর্যালোকে আগে বিক্রম এবং প্রজ্ঞানের ব্যাটারি পুরো রিচার্জ হবে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা তার জন্যই অপেক্ষা করছেন। ব্যাটারি রিচার্জ সম্পূর্ণ হলেই ফের ল্যান্ডার এবং রোভারকে জাগিয়ে তোলা সম্ভব হবে বলে ইসরোর বিজ্ঞানীর আশাবাদী।
আরও পড়ুন:

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৮: চল্লিশ পার হলেই নিরামিষ?

ইংলিশ টিংলিশ, খুব সহজেই একঝলকে জেনে নিন Pronoun-এর খুঁটিনাটি

চন্দ্রযান-৩ অভিযানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল সূর্য। কারণ সূর্যের আলোতেই চন্দ্রাভিযানের সব যন্ত্রপাতি কাজ করছে। ইসরোর বক্তব্য, চাঁদের তাপমাত্রা আরও বাড়লে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞানীরা বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালাবেন। যদিও সেই যোগাযোগ আদৌ সম্ভব হবে কি না, তা এখনও পরিষ্কার ভাবে বলা সম্ভব নয়। কারণ, চাঁদে রাত নামলে তাপমাত্রা অনেক সময় হিমাঙ্কের ২৫০ ডিগ্রি নীচেও পৌঁছে যায়। সেই হাড়কাঁপুনি ঠান্ডা বিক্রম, প্রজ্ঞান সহ্য করতে পেরেছে কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। এত ঠান্ডায় চন্দ্রাভিযানের সব যন্ত্রপাতির স্বাস্থ্য ভালো রয়েছে কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

Skip to content