কার্ল উইলহেম অটো লিলিয়েনথাল
জার্মান বিমান চালনার পথিকৃৎ। তাঁর উড়ানের প্রচেষ্টা মানুষের উড্ডয়নের সূচনা। ১৮৪৮ সালের ২৩ মে কার্ল উইলহেম অটো লিলিয়েনথালের জন্ম। গ্লাইডার দিয়ে সফল ফ্লাইট প্রথম তিনিই তৈরি করেছিলেন। বাস্তবে পরিণত করেছিলেন বাতাসের চেয়ে ভারী ধারণাটিকে। তাঁর উড়ানের প্রচেষ্টাই মানুষের উড্ডয়নের সূচনা।
পোমেরানিয়া প্রদেশের অঙ্কলাম তাঁর জন্মস্থান। পিতা গুস্তাভ এবং মা কেরোলিন। একজন যান্ত্রিক প্রকৌশলী হিসেবে প্রশিক্ষিত লিলিয়েনথাল ফ্রাঙ্কো জার্মান যুদ্ধে পরিষেবার পরে তাঁর নিজস্ব মেশিনের দোকান এবং ফ্লাইট কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৮৭০ এর শেষের দিকে তিনি অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন বাতাসের স্রোতে ডানাগুলির ওপর পরিচালিত শক্তির বিষয়ে। তাঁর এই অধ্যয়ন এবং গবেষণার ফলাফল ‘বার্ড ফ্লাইট অ্যাজ দা বেসিস অব এভিয়েশন’ শিরোনামে একটি বইতে প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ সালে। তাঁর রচিত গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধে যান্ত্রিক ফ্লাইট অর্জনের চূড়ান্ত প্রচেষ্টার ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। উইন্ড ফ্লাইট পরিচালনার ভৌত নীতিগুলি অন্বেষণ করার পর লিলিয়েনথাল তাঁর সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে গ্লাইডারগুলি ডিজাইন এবং তৈরি শুরু করেন।
শৈশব এবং কৈশোরে পাখিদের বিষয়ে ভীষণ আগ্রহ ছিল লিলিয়েনথালের। পাখিদের নিয়ে তিনি অনেক পড়াশোনাও করেছিলেন। ১৮৭০ সালে বার্লিনের রয়্যাল টেকনিক্যাল অ্যাকাডেমি থেকে তিনি স্নাতক হন। এই অ্যাকাডেমি বর্তমানে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। যান্ত্রিক প্রকৌশলে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হওয়ার পরে তিনি সামরিক পরিষেবার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হয়েছিলেন, যা তিনি ১৮৭১ সালের সম্পন্ন করেছিলেন। বার্লিনে পড়াশোনা করার সময় লিলিয়েনথাল ফ্লাইট নিয়ে তাঁর প্রথম পরীক্ষা শুরু করেন। তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে তিনি ১৮৬৭ সালে তাঁর প্রথম কাঠের গ্লাইডার তৈরি করেছিলেন। এই মডেলটি ব্যর্থ হয়েছিল । তবুও তিনি থেমে থাকেননি। তিনি ডানাযুক্ত যানবাহন তৈরি করতে থাকেন। পাখির ডানার গঠন এবং পাখির ওড়া, বায়ুর গতিবিদ্যা, প্রভৃতি নিয়ে তাঁর অধ্যয়ন অব্যাহত রাখেন। ১৮৭৩-এ তাঁরা দুই ভাই গ্রেট ব্রিটেনের অ্যারোনটিকাল সোসাইটির সদস্য হন। সেই বছরই লিলিয়েনথাল পাখির উড্ডয়নের তত্ত্ব সম্পর্কে তাঁর প্রথম বক্তৃতা দেন জনসমক্ষে।
শিশুদের বিল্ডিং ব্লক সহ বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস আবিষ্কার এবং পেটেন্ট করা শুরু করেছিলেন লিলিয়েনথাল। একটি মাইনিং মেশিনও আবিষ্কার করেছিলেন। ১৮৮৩ সালে তিনি বয়লার এবং বাষ্প ইঞ্জিন তৈরির জন্য বার্লিনে তাঁর একটি নিজস্ব কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে টিউবুলার বয়লারের একটি সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে নিরাপদ ছোট ইঞ্জিনের ডিজাইন আবিষ্কার করেন।
পোমেরানিয়া প্রদেশের অঙ্কলাম তাঁর জন্মস্থান। পিতা গুস্তাভ এবং মা কেরোলিন। একজন যান্ত্রিক প্রকৌশলী হিসেবে প্রশিক্ষিত লিলিয়েনথাল ফ্রাঙ্কো জার্মান যুদ্ধে পরিষেবার পরে তাঁর নিজস্ব মেশিনের দোকান এবং ফ্লাইট কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
১৮৭০ এর শেষের দিকে তিনি অধ্যয়ন শুরু করেছিলেন বাতাসের স্রোতে ডানাগুলির ওপর পরিচালিত শক্তির বিষয়ে। তাঁর এই অধ্যয়ন এবং গবেষণার ফলাফল ‘বার্ড ফ্লাইট অ্যাজ দা বেসিস অব এভিয়েশন’ শিরোনামে একটি বইতে প্রকাশিত হয় ১৮৮৯ সালে। তাঁর রচিত গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধে যান্ত্রিক ফ্লাইট অর্জনের চূড়ান্ত প্রচেষ্টার ভিত্তি সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। উইন্ড ফ্লাইট পরিচালনার ভৌত নীতিগুলি অন্বেষণ করার পর লিলিয়েনথাল তাঁর সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে গ্লাইডারগুলি ডিজাইন এবং তৈরি শুরু করেন।
শৈশব এবং কৈশোরে পাখিদের বিষয়ে ভীষণ আগ্রহ ছিল লিলিয়েনথালের। পাখিদের নিয়ে তিনি অনেক পড়াশোনাও করেছিলেন। ১৮৭০ সালে বার্লিনের রয়্যাল টেকনিক্যাল অ্যাকাডেমি থেকে তিনি স্নাতক হন। এই অ্যাকাডেমি বর্তমানে বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় নামে পরিচিত। যান্ত্রিক প্রকৌশলে ডিগ্রি নিয়ে স্নাতক হওয়ার পরে তিনি সামরিক পরিষেবার জন্য স্বেচ্ছাসেবক হয়েছিলেন, যা তিনি ১৮৭১ সালের সম্পন্ন করেছিলেন। বার্লিনে পড়াশোনা করার সময় লিলিয়েনথাল ফ্লাইট নিয়ে তাঁর প্রথম পরীক্ষা শুরু করেন। তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে তিনি ১৮৬৭ সালে তাঁর প্রথম কাঠের গ্লাইডার তৈরি করেছিলেন। এই মডেলটি ব্যর্থ হয়েছিল । তবুও তিনি থেমে থাকেননি। তিনি ডানাযুক্ত যানবাহন তৈরি করতে থাকেন। পাখির ডানার গঠন এবং পাখির ওড়া, বায়ুর গতিবিদ্যা, প্রভৃতি নিয়ে তাঁর অধ্যয়ন অব্যাহত রাখেন। ১৮৭৩-এ তাঁরা দুই ভাই গ্রেট ব্রিটেনের অ্যারোনটিকাল সোসাইটির সদস্য হন। সেই বছরই লিলিয়েনথাল পাখির উড্ডয়নের তত্ত্ব সম্পর্কে তাঁর প্রথম বক্তৃতা দেন জনসমক্ষে।
শিশুদের বিল্ডিং ব্লক সহ বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস আবিষ্কার এবং পেটেন্ট করা শুরু করেছিলেন লিলিয়েনথাল। একটি মাইনিং মেশিনও আবিষ্কার করেছিলেন। ১৮৮৩ সালে তিনি বয়লার এবং বাষ্প ইঞ্জিন তৈরির জন্য বার্লিনে তাঁর একটি নিজস্ব কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে টিউবুলার বয়লারের একটি সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে নিরাপদ ছোট ইঞ্জিনের ডিজাইন আবিষ্কার করেন।
এভিয়েশনের অগ্রগামী অটো লিলিয়েনথাল বেশ কিছু অভিনব শক্তিবিহীন গ্লাইডার ডিজাইন ও নির্মাণ করেছিলেন এবং এর সাহায্যে তিনি ভারী উড়ানোর ধারণাটি প্রদর্শন করতে সক্ষম হন। বিশ্বের প্রথম মনুষ্যচালিত বিমানের উন্নয়নের পশ্চাতে লিলিয়েনথালের অবদান অনস্বীকার্য।
১৮৯১ সালে লিলিয়েন থাল তার গ্লাইডার মডেল পুনর্নির্মাণ শুরু করেন সেই বছরই। ডারউইজার গ্লাইডার মডেলটিতে তিনি ব্যবহার করেছিলেন সুতির কাপড় ও উইলো রড। ৪০ ফুট ফ্লাইট করতেও সক্ষম হয়েছিলেন। ১৮৯২ সালে পূর্বাপেক্ষা অনেক বেশি পরিশশীলিত মডেল তৈরি করেছিলেন, যা তাঁকে ২৭০ফুট গ্লাইড করতে সহায়তা করেছিল। তিনি এই পরিবর্তনযোগ্য ফ্লাইট যন্ত্রপাতি ডিজাইনের জন্য একটি পেটেন্ট ভূষিত হন। তারা আবিষ্কার কখনও থেমে থাকেনি। ১৮৯৩ সালে তিনি এমন একটি মডেল তৈরি করেছিলেন, যেখানে একটি পাখির ডানা ফ্ল্যাপিংয়ের বিষয়টিই অনুসৃত হয়েছিল।
লিলিয়েনথাল তাঁর সবচেয়ে সফল নকশাটি তৈরি করেছিলেন ১৮৯৪ সালে। ১৮৯৬ সালের ৯ আগস্ট তাঁর তৈরি গ্লাইডার হঠাৎ স্থির হয়ে যায় এবং নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে তিনি অক্ষম হন। প্রায় ৫০ ফুট ওপর থেকে পড়ে ঘাড় ভেঙে পরের দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। বড় মর্মান্তিক এই মৃত্যু! তাঁর শেষ কথা ছিল— ‘ত্যাগ করতে হবে’। প্রযুক্তিগত অবদানের বাইরে মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈমানিক অগ্রগতিকে প্রসারিত করেছিলেন লিলিয়েনথাল। এর পাশাপাশি সন্দেহাতীতভাবে তিনি এটাও দেখিয়েছিলেন যে, গ্লাইডিং ফাইট সম্ভব। বিশেষ করে রাইট ভ্রাতৃদ্বয়দের জন্য তিনি ছিলেন এক মহান অনুপ্রেরণা। তাঁরা তাঁর গ্লাইডার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পদ্ধতি অবলম্বন করে তাঁদের নিজস্ব গবেষণার সাহায্যে সেটাকে পরবর্তীকালে ব্যবহার করেন এবং অ্যারোডায়নামিক্সের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠা করেন।
লিলিয়েনথালই প্রথম বাঁকা ডানাকে কল্পনা করেছিলেন। হ্যাং গ্লাইডার থেকে বিমানের উন্নয়নের গল্প— যার প্রথম সূত্রধর ছিলেন লিলিয়েনথাল। সমগ্র পৃথিবীতে যিনি ‘উড়ন্ত মানুষ’ হিসেবে পরিচিত।
১৮৯১ সালে লিলিয়েন থাল তার গ্লাইডার মডেল পুনর্নির্মাণ শুরু করেন সেই বছরই। ডারউইজার গ্লাইডার মডেলটিতে তিনি ব্যবহার করেছিলেন সুতির কাপড় ও উইলো রড। ৪০ ফুট ফ্লাইট করতেও সক্ষম হয়েছিলেন। ১৮৯২ সালে পূর্বাপেক্ষা অনেক বেশি পরিশশীলিত মডেল তৈরি করেছিলেন, যা তাঁকে ২৭০ফুট গ্লাইড করতে সহায়তা করেছিল। তিনি এই পরিবর্তনযোগ্য ফ্লাইট যন্ত্রপাতি ডিজাইনের জন্য একটি পেটেন্ট ভূষিত হন। তারা আবিষ্কার কখনও থেমে থাকেনি। ১৮৯৩ সালে তিনি এমন একটি মডেল তৈরি করেছিলেন, যেখানে একটি পাখির ডানা ফ্ল্যাপিংয়ের বিষয়টিই অনুসৃত হয়েছিল।
লিলিয়েনথাল তাঁর সবচেয়ে সফল নকশাটি তৈরি করেছিলেন ১৮৯৪ সালে। ১৮৯৬ সালের ৯ আগস্ট তাঁর তৈরি গ্লাইডার হঠাৎ স্থির হয়ে যায় এবং নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে তিনি অক্ষম হন। প্রায় ৫০ ফুট ওপর থেকে পড়ে ঘাড় ভেঙে পরের দিনই তাঁর মৃত্যু হয়। বড় মর্মান্তিক এই মৃত্যু! তাঁর শেষ কথা ছিল— ‘ত্যাগ করতে হবে’। প্রযুক্তিগত অবদানের বাইরে মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বৈমানিক অগ্রগতিকে প্রসারিত করেছিলেন লিলিয়েনথাল। এর পাশাপাশি সন্দেহাতীতভাবে তিনি এটাও দেখিয়েছিলেন যে, গ্লাইডিং ফাইট সম্ভব। বিশেষ করে রাইট ভ্রাতৃদ্বয়দের জন্য তিনি ছিলেন এক মহান অনুপ্রেরণা। তাঁরা তাঁর গ্লাইডার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পদ্ধতি অবলম্বন করে তাঁদের নিজস্ব গবেষণার সাহায্যে সেটাকে পরবর্তীকালে ব্যবহার করেন এবং অ্যারোডায়নামিক্সের বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠা করেন।
লিলিয়েনথালই প্রথম বাঁকা ডানাকে কল্পনা করেছিলেন। হ্যাং গ্লাইডার থেকে বিমানের উন্নয়নের গল্প— যার প্রথম সূত্রধর ছিলেন লিলিয়েনথাল। সমগ্র পৃথিবীতে যিনি ‘উড়ন্ত মানুষ’ হিসেবে পরিচিত।