শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।

শুক্রবার দুপুরেই চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে ইসরোর চন্দ্রযান-৩। শুরু হয়ে গিয়েছে কাউন্টডাউন। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে শুক্রবার দুপুর ঠিক ২টো ৩৫ মিনিট নাগাদ চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে। এখন সারা দেশের চোখ সেদিকেই।
এ বারের চন্দ্রযাত্রার কেন্দ্রেও সেই এলভিএম-৩ রকেট রয়েছে। চন্দ্রযানটিকে পর্যাপ্ত শক্তি জুগিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ঠেলে দেবে এই রকেট। এলভিএম-৩ ত্রিস্তরীয় একটি উৎক্ষেপণ যান। এলভিএম-৩’কে আর আগেও একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ এবং চন্দ্রযাত্রায় ব্যবহৃত করা হয়েছে। ত্রিস্তরীয় এই এলভিএম-৩’ ভারতীয় রকেটের ‘বাহুবলী’ নামে পরিচিত। এর একটি স্তরে তরল জ্বালানি ও দু’টি স্তরে কঠিন জ্বালানি থাকে। ১২৭ সেকেন্ড ধরে কঠিন জ্বালানি জ্বলে। উৎক্ষেপণ শুরুর ১০৮ সেকেন্ডের মধ্যে তরল জ্বালানি জ্বলতে শুরু করে দেয়। এই জ্বালানি ২০৩ সেকেন্ড ধরে চলে।
আরও পড়ুন:

মুঠোফোনে মুঠোবন্দি

হাত বাড়ালেই বনৌষধি: রোজের খাদ্যতালিকায় তেঁতুল নেই! এ সব জানলে এমন ভুল আর নয়

২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইসরো-র চন্দ্রযান-২ ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে চাঁদে নামাতে ব্যর্থ হয়। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরো। সেবারের সেই অরবিটরটি এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এ বার চাঁদের কক্ষপথে ইসরো আর নতুন করে কোনও অরবিটার পাঠাবে না। কারণ চাঁদের মাটিতে নামতে চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারেরই সাহায্য নেবে এ বার চন্দ্রযান-৩। চাঁদের মাটিতে ইসরোর গবেষণা চলবে টানা দু’সপ্তাহ ধরে। এর জন্য ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং নাসারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

Skip to content