সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


ভারতের তৃতীয় চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণ শ্রীহরিকোটা থেকে। —পিটিআই

শুক্রবার ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩ ঠিক দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে চাঁদের দেশে পাড়ি দিয়েছে। চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণের দিনক্ষণ আগেই ঘোষণা করেছিল ইসরো। ইসরোর এই ঘোষণার পরেই শুরু হয়েছিল কাউন্টডাউন। শুক্রবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ হয়। এই মুহূর্তের সাক্ষী হতে তাকিয়ে ছিলেন দেশবাসী।
শুক্রবার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি মন্ত্রকের মন্ত্রী শ্রী জিতেন্দ্র সিংহ-ও উৎক্ষেপণস্থলে হাজির ছিলেন। ইসরোর বিজ্ঞানীরা চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্য কামনায় আগেই তিরুপতি মন্দিরে পুজো দেন। উল্লেখ্য, চন্দ্রযান-৩ অভিযান যদি সফল হলে, তাহলে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতই হবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ, যাদের পাঠানো মহাকাশযান চাঁদের পিঠে নামবে। চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিক্রম’। আর রোভারের নামকরণ করা হয়েছে ‘প্রজ্ঞান’। আগামী ২৩ থেকে ২৪ অগস্টের মধ্যে অর্থাৎ ৪০ দিন পর চন্দ্রযান-৩ চাঁদের বুকে নামতে পারে।
আরও পড়ুন:

রিভিউ: ‘কফস’ হল আমাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সেই ভয়ঙ্কর খাঁচা

ক্যাবলাদের ছোটবেলা, পর্ব-৭: তোমরা যে সব বুড়ো খোকা

এ বারের চন্দ্রযাত্রার কেন্দ্রেও সেই এলভিএম-৩ রকেট রয়েছে। চন্দ্রযানটিকে পর্যাপ্ত শক্তি জুগিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ঠেলে দেবে এই রকেট। এলভিএম-৩ ত্রিস্তরীয় একটি উৎক্ষেপণ যান। এলভিএম-৩’কে আর আগেও একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ এবং চন্দ্রযাত্রায় ব্যবহৃত করা হয়েছে। ত্রিস্তরীয় এই এলভিএম-৩’ ভারতীয় রকেটের ‘বাহুবলী’ নামে পরিচিত। এর একটি স্তরে তরল জ্বালানি ও দু’টি স্তরে কঠিন জ্বালানি থাকে। ১২৭ সেকেন্ড ধরে কঠিন জ্বালানি জ্বলে। উৎক্ষেপণ শুরুর ১০৮ সেকেন্ডের মধ্যে তরল জ্বালানি জ্বলতে শুরু করে দেয়। এই জ্বালানি ২০৩ সেকেন্ড ধরে চলে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪২: আশা-ভরসার ‘শঙ্কর নারায়ণ ব্যাঙ্ক’

বিচিত্রের বৈচিত্র: মুঠোফোনে মুঠোবন্দি

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইসরো-র চন্দ্রযান-২ ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে চাঁদে নামাতে ব্যর্থ হয়। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়েছে ইসরো। সেবারের সেই অরবিটরটি এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এ বার চাঁদের কক্ষপথে ইসরো আর নতুন করে কোনও অরবিটার পাঠাবে না। কারণ চাঁদের মাটিতে নামতে চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারেরই সাহায্য নেবে এ বার চন্দ্রযান-৩। চাঁদের মাটিতে ইসরোর গবেষণা চলবে টানা দু’সপ্তাহ ধরে। এর জন্য ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং নাসারও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

Skip to content