ছবি: সংগৃহীত।
শূর্পণখা মাটিতে পড়ে রয়েছে, রুধিরসিক্ত দেহ তার। তার আকাঙ্ক্ষা, সে পান করবে রাম-লক্ষ্মণ আর সীতার উষ্ণ রক্ত। শূর্পনখার দুর্দশা, শরীরের বিরূপতা দেখে খরের মনে জাগল তীব্র ক্ষোভ। ক্রোধে দুচোখ লাল হয়ে উঠল। চতুর্দশ মহাবল রাক্ষসকে তার গর্দভতুল্য কণ্ঠে আদেশ দিল খর, “জটাধারী তাপসের বেশে যে দুজন মানুষ একজন স্ত্রীলোক সহ দণ্ডকারণ্যে আশ্রম তৈরি করে বাস করছে, তাদের বধ করে নিয়ে এসো। আমার ভগ্নী তাদের রক্ত পান করবে।” রাক্ষসেরা খরের নির্দেশ পালন করার জন্য ধরণী কম্পিত করে ছুটলেন সেই আশ্রমের উদ্দেশ্যে। শূর্পনখাও তাদের সঙ্গে রামের আশ্রমে গেল। রাম বুঝলেন, বিপদ আসন্ন। তাঁর সামনে ক্রূরমূর্তি রাক্ষসের দল। তিনি লক্ষ্মণকে সীতার কাছে থেকে তাঁকে রক্ষা করার অনুরোধ করলেন। বললেন, মুহূর্তকালের মধ্যেই তিনি এদের ধ্বংস করে ফিরে আসবেন।
সোনার বিরাটকায় ধনুতে জ্যা যুক্ত করে রাক্ষসদের নিজেদের পরিচয় দিয়ে বললেন, দাশরথি রাম, “আমরা ফলমূলভোজী ব্রহ্মচারী তাপস। পিতার আদেশ পালনের জন্য বনবাসে এসেছি। আমাদের হিংসা করার জন্য কেন তোমরা এসেছ? তোমরা এ অরণ্যে বসবাসকারী তপস্যারত, শান্তিপ্রিয় মুনিঋষিদের অত্যাচার কর। তাদের হত্যা কর। তাদের অনুরোধে আমরা এখানে এসে বাস করছি। কাজেই তোমরা যদি বাঁচতে চাও, তাহলে এখনই ফিরে যাও। আর এক পাও অগ্রসর হয়ো না।”
সোনার বিরাটকায় ধনুতে জ্যা যুক্ত করে রাক্ষসদের নিজেদের পরিচয় দিয়ে বললেন, দাশরথি রাম, “আমরা ফলমূলভোজী ব্রহ্মচারী তাপস। পিতার আদেশ পালনের জন্য বনবাসে এসেছি। আমাদের হিংসা করার জন্য কেন তোমরা এসেছ? তোমরা এ অরণ্যে বসবাসকারী তপস্যারত, শান্তিপ্রিয় মুনিঋষিদের অত্যাচার কর। তাদের হত্যা কর। তাদের অনুরোধে আমরা এখানে এসে বাস করছি। কাজেই তোমরা যদি বাঁচতে চাও, তাহলে এখনই ফিরে যাও। আর এক পাও অগ্রসর হয়ো না।”
রামের মুখে এ কথা শুনে রাক্ষসেরা যেন জ্বলে উঠল। উদ্ধত কর্কশ গলায় বলে উঠল তারা—“আমাদের প্রভু খর। তাঁকে তোমরা ক্রুদ্ধ করে তুলেছ। কাজেই আমরা তাঁর নির্দেশে এসেছি। আমরা সংখ্যায় অনেক, আর তুমি একা। কাজেই আমাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার শক্তি কি তোমার আদৌ আছে? একটু পরেই আমাদের হাত থেকে ছুটে যাবে শূল, পট্টিশ। এদের আঘাতে হতচেতন হয়ে তুমি প্রাণ, শক্তি আর এই ধনু—সবই পরিত্যাগ করবে।”
এ কথা বলে চোদ্দ জন রাক্ষস রামের দিকে অস্ত্র নিক্ষেপ করল তারা। বিপরীত দিক থেকে রাম চোদ্দটি বাণ ছুঁড়ে ছেদন করলেন নিক্ষিপ্ত অস্ত্রগুলি। তারপর রাম খুব তৎপরতার সঙ্গে আরও চোদ্দটি বাণ নিক্ষেপ করলেন রাক্ষসদের দিকে। অন্তরীক্ষ দিয়ে উল্কার বেগে বাণগুলি ছুটে গিয়ে বক্ষদেশ ভেদ করল রাক্ষসদের। ছিন্নমূল বৃক্ষের মতো প্রবল শব্দে ভূপতিত হল রাক্ষসেরা। এ দৃশ্য দেখে শূর্পণখা চিৎকার করতে করতে ফিরে গেল খরের কাছে। সেখানে পৌঁছে কাতর ভাবে নিবেদন করল সে রাক্ষসদের নিধন বার্তা। শোকসাগরে ক্রমশ যেন তলিয়ে যেতে লাগল সে। বিষাদে আকুল হয়ে খরের কাছে ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করল সে। তারপর কিছুটা ক্ষোভমিশ্রিত কণ্ঠে বলে উঠল—“রাক্ষসেশ্বর, তুমি যদি আমার শত্রু রামকে যুদ্ধে পরাস্ত করে হত্যা না করো, তবে তোমার সামনেই প্রাণ বিসর্জন দেব আমি। আমার প্রতি আর নিহত রাক্ষসদের প্রতি তোমার যদি দয়া থাকে আর শরীরে যদি আগের মতো তেজ থাকে, তাহলে মৃত রাক্ষসদের ঋণ তুমি শোধ করো। আর তুমি যদি হতোদ্যম হয়ে এ বিষয়ে আগ্রহ না দেখাও, তাহলে বলব যে, তোমার এই বনে বাস করাই উচিত না। আমার মনে হচ্ছে, রামের সঙ্গে যুদ্ধ করতে তুমি ভয় পাচ্ছ। তোমার শত্রুবধার্থিনী শুভবুদ্ধি লোপ পেয়েছে। তুমি আসলে বীর নও, কাপুরুষ।
এ কথা বলে চোদ্দ জন রাক্ষস রামের দিকে অস্ত্র নিক্ষেপ করল তারা। বিপরীত দিক থেকে রাম চোদ্দটি বাণ ছুঁড়ে ছেদন করলেন নিক্ষিপ্ত অস্ত্রগুলি। তারপর রাম খুব তৎপরতার সঙ্গে আরও চোদ্দটি বাণ নিক্ষেপ করলেন রাক্ষসদের দিকে। অন্তরীক্ষ দিয়ে উল্কার বেগে বাণগুলি ছুটে গিয়ে বক্ষদেশ ভেদ করল রাক্ষসদের। ছিন্নমূল বৃক্ষের মতো প্রবল শব্দে ভূপতিত হল রাক্ষসেরা। এ দৃশ্য দেখে শূর্পণখা চিৎকার করতে করতে ফিরে গেল খরের কাছে। সেখানে পৌঁছে কাতর ভাবে নিবেদন করল সে রাক্ষসদের নিধন বার্তা। শোকসাগরে ক্রমশ যেন তলিয়ে যেতে লাগল সে। বিষাদে আকুল হয়ে খরের কাছে ঘটনাটি সবিস্তারে বর্ণনা করল সে। তারপর কিছুটা ক্ষোভমিশ্রিত কণ্ঠে বলে উঠল—“রাক্ষসেশ্বর, তুমি যদি আমার শত্রু রামকে যুদ্ধে পরাস্ত করে হত্যা না করো, তবে তোমার সামনেই প্রাণ বিসর্জন দেব আমি। আমার প্রতি আর নিহত রাক্ষসদের প্রতি তোমার যদি দয়া থাকে আর শরীরে যদি আগের মতো তেজ থাকে, তাহলে মৃত রাক্ষসদের ঋণ তুমি শোধ করো। আর তুমি যদি হতোদ্যম হয়ে এ বিষয়ে আগ্রহ না দেখাও, তাহলে বলব যে, তোমার এই বনে বাস করাই উচিত না। আমার মনে হচ্ছে, রামের সঙ্গে যুদ্ধ করতে তুমি ভয় পাচ্ছ। তোমার শত্রুবধার্থিনী শুভবুদ্ধি লোপ পেয়েছে। তুমি আসলে বীর নও, কাপুরুষ।
আরও পড়ুন:
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৪৬: ব্যর্থ প্রেমের বহ্নিশিখা
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৩৫: যে ছিল আমার ‘ব্রতচারিণী’
পর্দার আড়ালে, পর্ব-৩৩: ‘অপরাজিত’র সম্পাদনার সময় সত্যজিতের মনে হয়েছিল মিলি চরিত্রটির প্রয়োজন নেই, অগত্যা বাদ পড়লেন তন্দ্রা
ইংলিশ টিংলিশ: One word expressions কী? জেনে নিন একঝলকে
খর এমন বিদ্রূপ বাক্য আর সহ্য করতে পারল না। শূর্পণখাকে আশ্বস্ত করে প্রবল পরাক্রমে সে প্রস্তুত হল যুদ্ধযাত্রায়। শুর্পনখা আপ্রাণ চেষ্টা করল তাকে উত্তেজিত করার। খরের সঙ্গী হল সেনাপতি দূষণ এবং ত্রিশিরা। খর দূষণকে আদেশ দিল অনুগত, অপরাজেয় চোদ্দ হাজার রাক্ষসকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে। প্রস্তুত হল বিচিত্র সব অস্ত্রশস্ত্র। যাত্রার জন্য তৈরি হল উজ্জ্বল সোনায় মোড়া রথ। রাম-লক্ষ্মণকে বধ করে ফিরবে, এই প্রতিজ্ঞায় বুক বেঁধে খর রাক্ষসবাহিনী সঙ্গে করে যাত্রা করল রামের আশ্রমের উদ্দেশ্যে।
পথে যত অমঙ্গল চিহ্ন দেখতে পেল তারা। কালো মেঘে আকাশ গেল ছেয়ে। রক্তরাঙা বৃষ্টি হতে লাগল। রথের ঘোড়া পড়ে গেল। বিরাট চেহারার এক শকুন এসে বসল রথের ধ্বজায়। উল্কাবৃষ্টি আর ভূমিকম্প শুরু হল। খর তার অনুচরদের সাহস দিয়ে বলতে লাগল, “এসব উৎপাত গ্রাহ্য করি না আমি। মনুষ্যকুলজাত ওই দুই ভাইকে বধ না করে আমি ফিরব না।” দেবতা, গন্ধর্ব, অপ্সরা, সিদ্ধ, ঋষিরা উৎসাহে যুদ্ধ দেখতে এলেন। তাঁরা চাইলেন, রাম যুদ্ধে নিশাচর রাক্ষসদের বধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনুন এই অরণ্যের।
পথে যত অমঙ্গল চিহ্ন দেখতে পেল তারা। কালো মেঘে আকাশ গেল ছেয়ে। রক্তরাঙা বৃষ্টি হতে লাগল। রথের ঘোড়া পড়ে গেল। বিরাট চেহারার এক শকুন এসে বসল রথের ধ্বজায়। উল্কাবৃষ্টি আর ভূমিকম্প শুরু হল। খর তার অনুচরদের সাহস দিয়ে বলতে লাগল, “এসব উৎপাত গ্রাহ্য করি না আমি। মনুষ্যকুলজাত ওই দুই ভাইকে বধ না করে আমি ফিরব না।” দেবতা, গন্ধর্ব, অপ্সরা, সিদ্ধ, ঋষিরা উৎসাহে যুদ্ধ দেখতে এলেন। তাঁরা চাইলেন, রাম যুদ্ধে নিশাচর রাক্ষসদের বধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনুন এই অরণ্যের।
আরও পড়ুন:
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-১৩: অদ্বিতীয় সম্রাট
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫: অল্প ক্ষতি স্বীকার করে হলেও ভবিষ্যতে বড় লাভের কথা চিন্তা করা দরকার
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১১: কুরুপাণ্ডবদের অস্ত্রগুরু কৃপাচার্য, দ্রোণাচার্য এবং কয়েকটি প্রশ্ন
খর তার বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হল আশ্রমের কাছে। রাম লক্ষ্মণকে ডেকে দেখালেন বাইরের প্রকৃতি জগতে মেঘের রঙ আর বৃষ্টির ধরণ। দেখালেন, তাঁর সব বাণগুলি থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ধনু কম্পিত হচ্ছে। আর ডান হাতটি কেঁপে উঠছে বারংবার। এসব লক্ষণ দেখে তাঁর মনে হচ্ছে, এবারেও জয় নিশ্চিত। ভাই লক্ষ্মণকে তিনি অনুরোধ করলেন সীতাকে নিয়ে কাছের গুহার মধ্যে আশ্রয় নিতে।
আর তারপর শুরু হল প্রবল যুদ্ধ। সমুদ্রের মতো, মেঘমালার মতো অগণিত অস্ত্রধারী রাক্ষসবাহিনীর দিকে এগিয়ে গেলেন রাম। আগুন-রঙা উজ্জ্বল কবচে ভূষিত তার দেহ যেন অমাবস্যার আঁধার ঘোচানো সূর্যের মতো।
রাক্ষসদের নানান অস্ত্রশস্ত্র বিঁধতে লাগল রামের দেহে। রক্তাক্ত করল তাঁকে। কিন্তু ক্ষতবিক্ষত হয়েও অবিচলিত হয়ে থাকলেন তিনি। তাঁকে দেখে দেবতারা বিষণ্ণ হলেন।
কিন্তু এতেই পরিস্থিতি শেষ নয়। রাম সহস্র সহস্র বাণ নিক্ষেপ করলেন রাক্ষসদের অভিমুখে। রামের হাতে প্রাণ গেল ত্রিশিরার, দূষণের। বহু রাক্ষস সৈন্য রণে ভঙ্গ দিয়ে পালিয়ে গেল। এ সংবাদ বিচলিত করল খরকে। অসংখ্য বাণ নিক্ষেপ করে বিদ্ধ করতে চাইল সে রামকে। রামের হাতের ধনুর্বাণ, দেহের কবচ ছিন্ন হল। আর দুর্বলতা নয়, এবার প্রবল প্রত্যাঘাতে খরের রথের ধ্বজা ভেঙে দিলেন অগস্ত্যের দেওয়া বৈষ্ণব ধনু দিয়ে। অবশেষে মাটিতে নেমে এল খর, গদা হাতে।
আর তারপর শুরু হল প্রবল যুদ্ধ। সমুদ্রের মতো, মেঘমালার মতো অগণিত অস্ত্রধারী রাক্ষসবাহিনীর দিকে এগিয়ে গেলেন রাম। আগুন-রঙা উজ্জ্বল কবচে ভূষিত তার দেহ যেন অমাবস্যার আঁধার ঘোচানো সূর্যের মতো।
রাক্ষসদের নানান অস্ত্রশস্ত্র বিঁধতে লাগল রামের দেহে। রক্তাক্ত করল তাঁকে। কিন্তু ক্ষতবিক্ষত হয়েও অবিচলিত হয়ে থাকলেন তিনি। তাঁকে দেখে দেবতারা বিষণ্ণ হলেন।
কিন্তু এতেই পরিস্থিতি শেষ নয়। রাম সহস্র সহস্র বাণ নিক্ষেপ করলেন রাক্ষসদের অভিমুখে। রামের হাতে প্রাণ গেল ত্রিশিরার, দূষণের। বহু রাক্ষস সৈন্য রণে ভঙ্গ দিয়ে পালিয়ে গেল। এ সংবাদ বিচলিত করল খরকে। অসংখ্য বাণ নিক্ষেপ করে বিদ্ধ করতে চাইল সে রামকে। রামের হাতের ধনুর্বাণ, দেহের কবচ ছিন্ন হল। আর দুর্বলতা নয়, এবার প্রবল প্রত্যাঘাতে খরের রথের ধ্বজা ভেঙে দিলেন অগস্ত্যের দেওয়া বৈষ্ণব ধনু দিয়ে। অবশেষে মাটিতে নেমে এল খর, গদা হাতে।
আরও পড়ুন:
দশভুজা: ‘ওগো তুমি যে আমার…’— আজও তাঁর জায়গা কেউ নিতে পারেনি/২
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১২: ঘাম কমাতে পাউডার ব্যবহার করেন?
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫৫: প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নবপ্রজন্ম-মীনমিত্রের পরামর্শে গ্রামগঞ্জেও মাছচাষ বিকল্প আয়ের দিশা দেখাতে পারে
রাম তাকে ভর্ৎসনা করে বললেন, “যে নৃশংস পাপী ক্ষমতা আছে বলে নিষ্ঠুর কাজে নিজেকে লিপ্ত করে, সে ত্রিলোকের অধীশ্বর হলেও নিন্দনীয়ই হয়। দণ্ডকারণ্যের নিরীহ তপস্বীদের হত্যা করে কি লাভ হয়েছে তোমার? আজকের যুদ্ধে তুমি তোমার বাহিনীর সঙ্গে সেই তপস্বীদের কাছেই যাবে। তোমার অতিরিক্ত গর্ব পতনের মূল কারণ হবে।
রাম ইন্দ্রের দেওয়া শত্রুঘাতী, সরলগামী, তীক্ষ্ণ বাণ নিক্ষেপ করলেন। খরের দেহ লুটিয়ে পড়ল মাটিতে। চারপাশ থেকে ধ্বনিত হল ঋষিদের ‘সাধু, সাধু’ ধ্বনি। আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি ঝরে পড়ল রামের মস্তকে।—চলবে
রাম ইন্দ্রের দেওয়া শত্রুঘাতী, সরলগামী, তীক্ষ্ণ বাণ নিক্ষেপ করলেন। খরের দেহ লুটিয়ে পড়ল মাটিতে। চারপাশ থেকে ধ্বনিত হল ঋষিদের ‘সাধু, সাধু’ ধ্বনি। আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি ঝরে পড়ল রামের মস্তকে।—চলবে
* শাশ্বতী রামায়ণী (Saswati Ramayani – Ramayana) : ড. অমৃতা ঘোষ (Amrita Ghosh) সংস্কৃতের অধ্যাপিকা, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাবিদ্যালয়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সম্পাদিত গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বেশ কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ।