ছবি: সংগৃহীত।
দশরথের জ্যেষ্ঠা মহিষী কৌশল্যা শুধু রামের মা নন, তিনি প্রকারান্তরে দশরথের চার পুত্রেরই মাতৃস্থানীয়া। শোককাতর ভরতের সঙ্গে সাক্ষাৎকার হলে প্রথমে কৌশল্যা তাঁকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন। প্রাথমিকভাবে তাঁর মনে হয়েছিল, কৈকেয়ীর অভিপ্রায় সিদ্ধ করে ভরত এবার মহানন্দে নিষ্কণ্টক রাজ্য ভোগ করবেন। কিন্তু ভরতের সঙ্গে কথা বলে বুঝলেন, মা কৈকেয়ীর প্রতি জন্ম নিয়েছে তীব্র ক্ষোভ, কঠোর বিদ্বেষ। সেকথা জেনে, রামের জন্য তাঁর হাহাকার শুনে নিমেষে দূর হয়ে গেল কৌশল্যার মনের কালিমা— এ ছেলে তো কৈকেয়ীর সুরে কথা বলছে না! সিংহাসনের লোভ আছে বলেও মনে হচ্ছে না। বরং অন্য সকলের মতো রামের কাছে আশ্রয় চাইছে সেও। রামকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার কারণে নিজের মাকে সে ক্ষমা করতে পারছে না। কৌশল্যা উপলব্ধি করলেন, ভরত অধর্মচারী নয়, সে শুদ্ধস্বভাব, নিষ্পাপ। তার রাজ্যলোভাতুরা মায়ের আচরণের জন্য সে অকারণেই সকলের বিরাগভাজন হয়েছে, অবিশ্বাসের পাত্র হয়ে উঠেছে। ধর্মপথের পথিক পুত্রসম ভরতকে এবার অকপট মনে আশীর্বাদ করলেন কৌশল্যা। দিক নির্দেশ করলেন পথ চলার।
ভরতের জন্য অপেক্ষা করছে এখন অনেক গুরুভার কর্তব্য। পিতার তৈলপাত্রে রক্ষিত দেহ এবার সৎকার করতে হবে তাঁকে। তারপর অরক্ষিত রাজ্য পরিচালনার ভার তুলে নিতে হবে নিজের কাঁধে। ধর্মপথে থেকে শোকগ্রস্ত, বিমূঢ় প্রজাদের রক্ষা করতে হবে। কিন্তু গভীর বিষাদ গ্রাস করেছে তাঁকে। কেবলই মনে হচ্ছে, তাঁর জন্যই রামের নির্বাসন, তাঁর জন্যই পিতার মৃত্যু। কিছুতেই সামলাতে পারছেন না নিজেকে। অপরাধবোধে ডুবে যাচ্ছেন ক্রমশ।
এবার কুলগুরু বশিষ্ঠ এসে দাঁড়ালেন কাছে। আর যে সময় নেই শোকের। স্বকর্তব্য পালনে উদ্যোগী হতে হবে ভরতকে। —“ভরত, তুমি কৃতবিদ্য, তত্ত্বজ্ঞানী। এ সময় শোকে কালক্ষেপ কোরো না। পিতৃক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে তোমাকে। তোমার শোকসন্তপ্ত মায়েদের সান্ত্বনা দিতে হবে। কাজেই নিজেকে সুস্থির করো। অজ্ঞানীর মতো শোকে অভিভূত হয়ে যেয়ো না।”
বশিষ্ঠ প্রমুখ ঋষিদের নির্দেশে ভরত ও শত্রুঘ্ন রাজা দশরথের অন্ত্যেষ্টি কর্ম সরযূর তীরে, নবীন তৃণদলে আচ্ছাদিত নির্জন স্থানে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করলেন। পুরবাসী, জনপদবাসীরা চোখের জলে বিদায় দিলেন প্রিয় রাজাকে। সরযূর জলে স্বর্গগত রাজার তর্পণ করে ফিরে এলেন সকলে। পিতার ভবনে পিতার স্মরণে দশ দিন কেটে গেল ভরতের। অশৌচপর্ব শেষ হল। ভরত দ্বাদশদিন ও ত্রয়োদশদিনে শ্রাদ্ধকর্ম করলেন। এই উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণদের দিলেন বহু ধনরত্ন, বস্ত্র, ধেনু, বাহন, দাস-দাসী, বাসগৃহ।
এবার কুলগুরু বশিষ্ঠ এসে দাঁড়ালেন কাছে। আর যে সময় নেই শোকের। স্বকর্তব্য পালনে উদ্যোগী হতে হবে ভরতকে। —“ভরত, তুমি কৃতবিদ্য, তত্ত্বজ্ঞানী। এ সময় শোকে কালক্ষেপ কোরো না। পিতৃক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে তোমাকে। তোমার শোকসন্তপ্ত মায়েদের সান্ত্বনা দিতে হবে। কাজেই নিজেকে সুস্থির করো। অজ্ঞানীর মতো শোকে অভিভূত হয়ে যেয়ো না।”
বশিষ্ঠ প্রমুখ ঋষিদের নির্দেশে ভরত ও শত্রুঘ্ন রাজা দশরথের অন্ত্যেষ্টি কর্ম সরযূর তীরে, নবীন তৃণদলে আচ্ছাদিত নির্জন স্থানে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করলেন। পুরবাসী, জনপদবাসীরা চোখের জলে বিদায় দিলেন প্রিয় রাজাকে। সরযূর জলে স্বর্গগত রাজার তর্পণ করে ফিরে এলেন সকলে। পিতার ভবনে পিতার স্মরণে দশ দিন কেটে গেল ভরতের। অশৌচপর্ব শেষ হল। ভরত দ্বাদশদিন ও ত্রয়োদশদিনে শ্রাদ্ধকর্ম করলেন। এই উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণদের দিলেন বহু ধনরত্ন, বস্ত্র, ধেনু, বাহন, দাস-দাসী, বাসগৃহ।
আরও পড়ুন:
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব-৩৪: শুধু কি পিতৃবিয়োগব্যথা লাভ ভরতের, না কি আরও দুঃখ অপেক্ষমাণ…
মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৫৪: জ্ঞানবৃদ্ধ অষ্টাবক্র জনকের রাজ্যে প্রবেশের অনুমতি পেলেন?
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫১: বিয়েশাদির ঠাকুরবাড়ি
রাজা দশরথের মৃত্যুর পরে অযোধ্যা অরাজক অবস্থায় রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। রাজসিংহাসন শূন্য পড়ে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে রাজ্যের। আর তো এমন ভাবে অরাজক রাখা যায় না রাজ্য! সমস্ত পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর মন্ত্রিরা এলেন ভরতের কাছে, রাজপদে অভিষেকের অনুরোধ নিয়ে। “রাজপুত্র, আপনি এবার সিংহাসন অলঙ্কৃত করুন। আমরা অভিষেকের দ্রব্য নিয়ে অপেক্ষা করছি। পৈতৃক রাজ্যকে এভাবে অরাজক অবস্থায় রাখবেন না আর।” কাতর মিনতি করলেন মন্ত্রি-অমাত্যরা।
কিন্তু ভরত কী করবেন? তিনি তো মনে মনে এ সিংহাসনের অধিকারী বলে জানেন অগ্রজ রামকেই। তিনি জানেন, বংশের নিয়ম অনুসারেও জ্যেষ্ঠ পুত্রের রাজসিংহাসনে প্রথম অধিকার। অভিষেকের মাঙ্গলিক দ্রব্য সাজানো তাঁর সামনে। সেগুলি প্রদক্ষিণ করে তিনি উপস্থিত অমাত্যদের বললেন, “আমার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রামই রাজধর্মজ্ঞ। রাজা হওয়ার উপযুক্ত তিনিই। আমি তাঁর আজ্ঞাবাহী ভৃত্যমাত্র। এইসব উপকরণ নিয়ে আমি বনে যাবো। অভিষিক্ত করব তাঁকে। তিনি রাজা হবেন। আর চোদ্দ বছরের বনবাস জীবন আমি কাটাব। আমার রাজ্যলোভী মায়ের মনোবাসনা কিছুতেই পূরণ হতে দেব না আমি। আপনারা চতুরঙ্গ সেনা প্রস্তুত করুন। আমি অভিষেকের সব সামগ্রী নিয়ে রামকে নিয়ে আসার জন্য বনে যাব।” একথা শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলেন মন্ত্রী, অমাত্যরা। আনন্দে চোখে জল এল তাঁদের। এ ভরতকে তাঁরা কতই না ভুল বুঝেছেন। চিনতে পারেননি তাঁর নির্লোভ সত্তাকে।
কিন্তু ভরত কী করবেন? তিনি তো মনে মনে এ সিংহাসনের অধিকারী বলে জানেন অগ্রজ রামকেই। তিনি জানেন, বংশের নিয়ম অনুসারেও জ্যেষ্ঠ পুত্রের রাজসিংহাসনে প্রথম অধিকার। অভিষেকের মাঙ্গলিক দ্রব্য সাজানো তাঁর সামনে। সেগুলি প্রদক্ষিণ করে তিনি উপস্থিত অমাত্যদের বললেন, “আমার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রামই রাজধর্মজ্ঞ। রাজা হওয়ার উপযুক্ত তিনিই। আমি তাঁর আজ্ঞাবাহী ভৃত্যমাত্র। এইসব উপকরণ নিয়ে আমি বনে যাবো। অভিষিক্ত করব তাঁকে। তিনি রাজা হবেন। আর চোদ্দ বছরের বনবাস জীবন আমি কাটাব। আমার রাজ্যলোভী মায়ের মনোবাসনা কিছুতেই পূরণ হতে দেব না আমি। আপনারা চতুরঙ্গ সেনা প্রস্তুত করুন। আমি অভিষেকের সব সামগ্রী নিয়ে রামকে নিয়ে আসার জন্য বনে যাব।” একথা শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলেন মন্ত্রী, অমাত্যরা। আনন্দে চোখে জল এল তাঁদের। এ ভরতকে তাঁরা কতই না ভুল বুঝেছেন। চিনতে পারেননি তাঁর নির্লোভ সত্তাকে।
আরও পড়ুন:
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৫: বলবয় থেকে বিশ্বসেরা
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৩৮: মাছের ডিম বার্ধক্যের ছাপ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়! মাছের ডিমের এই অবাক করা গুণের কথা জানতেন?
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-৭: ঈশ্বরের ভালোবাসার সমুদ্রে ডুব দিলে তবেই ভক্তিরূপ মুক্তো খুঁজে পাওয়া সম্ভব
রাজকুমার ভরত বনে যাবেন রামকে নিয়ে আসার জন্য। সাজো সাজো রব পড়ে গেল চারিদিকে। পথ সংস্কারের জন্য এলেন শিল্পি-কারিগরের দল। কাজে নেমে পড়লেন ভূমিতত্ত্বজ্ঞ, জমিজরিপকারী সূত্রকার, খননকারী, যন্ত্রবিশারদ, স্থপতি, ছুতোর, বৃক্ষচ্ছেদক। নিযুক্ত করা হল পাচক, পথপ্রদর্শক। পাথর ভেঙে,গাছ কেটে, মাটি সমান করে, গর্ত বুজিয়ে পথ তৈরি হল, সেতু নির্মাণ হল। কোথাও তৈরি হল রাত্রিবাসের জন্য প্রাসাদ, কোথাও শিবির। জলশূন্য স্থানে কূপ, পুষ্করিণী খুঁড়ে জলের ব্যবস্থা হল। অযোধ্যা থেকে গঙ্গা পর্যন্ত রাজপথ নির্মাণ হল।
একদিন ভোরের আলো সবে পূব আকাশে দেখা দিয়েছে। ভরতের কানে ভেসে এল দুন্দুভিরব, শঙ্খধ্বনি, সূত-মাগধদের বৈতালিক গান। শুনতে পেলেন তাঁরই স্তুতি করছে তারা। কিন্তু তিনি তো রাজা নন। তবে কি সিহাসনে তাঁকে বসানোর জন্য কৈকেয়ীর গোপন কারসাজি? ভরত সংশয়ে দীর্ণ হয়ে গেলেন মনে মনে। ‘আমি রাজা নই’-এই বলে ভরত থামিয়ে দিলেন তাদের।
একদিন ভোরের আলো সবে পূব আকাশে দেখা দিয়েছে। ভরতের কানে ভেসে এল দুন্দুভিরব, শঙ্খধ্বনি, সূত-মাগধদের বৈতালিক গান। শুনতে পেলেন তাঁরই স্তুতি করছে তারা। কিন্তু তিনি তো রাজা নন। তবে কি সিহাসনে তাঁকে বসানোর জন্য কৈকেয়ীর গোপন কারসাজি? ভরত সংশয়ে দীর্ণ হয়ে গেলেন মনে মনে। ‘আমি রাজা নই’-এই বলে ভরত থামিয়ে দিলেন তাদের।
আরও পড়ুন:
অমরনাথের পথে, পর্ব-৩: চন্দনবাড়ি থেকে শুরু হল যাত্রা
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-৪: তেমন কিছুই করি না, সামান্য একটু লেখালেখি করি…
হেলদি ডায়েট: ডার্ক চকোলেট হার্টের অসুখ-সহ নানা রোগের দাওয়াই, কতটা খাবেন, কেন?
আসলে কুলগুরু বশিষ্ঠই গোপনে ভরতের অভিষেকের আয়োজন করেছিলেন। কারণ ভরতের ইচ্ছা পূরণ করে রামকে রাজপদে অভিষিক্ত করা সময়সাপেক্ষ। ততদিন অরাজক অবস্থায় রাখা যাবে না রাজ্য। সেদিন বশিষ্ঠ রাজসভায় প্রবেশ করে আদেশ দিলেন ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, অমাত্য, সেনানায়ক, ভরত, শত্রুঘ্ন, সুমন্ত্র সকলকে রাজসভায় নিয়ে আসার জন্য। সকলের উপস্থিতিতে প্রজারা তুমুল হর্ষধ্বনি দিয়ে রাজোচিত সংবর্ধনা জানালেন ভরতকে। সভায় যেন রাতের আকাশ আলো করে পূর্ণ চাঁদের উদয় হল। বশিষ্ঠ এবার সবার সামনে ভরতকে বললেন, “তোমার পিতা স্বর্গত রাজাধিরাজ দশরথ তোমাকে ধনধান্যপরিপূর্ণ রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন। রাম যেমন পিতৃসত্য পালন করছেন বনবাসে গিয়ে, তুমিও তাঁর অভিপ্রায় অনুসারে অভিষিক্ত হয়ে যত শীঘ্র সম্ভব রাজ্যের ভার গ্রহণ কর।”
এমন জনপূর্ণ রাজসভা। বশিষ্ঠের উপদেশ। প্রজাদের উচ্ছ্বাস। কোনকিছুই ভরতকে সিংহাসন অভিমুখী করে তুলতে পারল না। রামকে স্মরণ করে আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলে উঠলেন, কুলগুরু, আপনি কি বলতে চাইছেন, দশরথপুত্র রাজ্যহরণকারী হবেন? এ রাজ্য যে রামেরই, আমিও রামের। আমি যদি এই অধর্মোচিত অন্যায্য কাজ করি তাহলে ইক্ষ্বাকুবংশের কুলাঙ্গার বলে পরিচিত হব আমি। মায়ের অন্যায় আচরণ, পাপ কাজ তো আমার অভিপ্রেত নয়। নরশ্রেষ্ঠ রামকেই রাজা বলে আমি স্বীকার করি, দূর থেকে প্রণাম করি তাঁকে। আমি তাঁকেই অনুসরণ করে চলব। তাঁকে যে কোনো উপায়ে নিয়ে আসব আমি।”
এমন জনপূর্ণ রাজসভা। বশিষ্ঠের উপদেশ। প্রজাদের উচ্ছ্বাস। কোনকিছুই ভরতকে সিংহাসন অভিমুখী করে তুলতে পারল না। রামকে স্মরণ করে আবেগরুদ্ধ কণ্ঠে তিনি বলে উঠলেন, কুলগুরু, আপনি কি বলতে চাইছেন, দশরথপুত্র রাজ্যহরণকারী হবেন? এ রাজ্য যে রামেরই, আমিও রামের। আমি যদি এই অধর্মোচিত অন্যায্য কাজ করি তাহলে ইক্ষ্বাকুবংশের কুলাঙ্গার বলে পরিচিত হব আমি। মায়ের অন্যায় আচরণ, পাপ কাজ তো আমার অভিপ্রেত নয়। নরশ্রেষ্ঠ রামকেই রাজা বলে আমি স্বীকার করি, দূর থেকে প্রণাম করি তাঁকে। আমি তাঁকেই অনুসরণ করে চলব। তাঁকে যে কোনো উপায়ে নিয়ে আসব আমি।”
আরও পড়ুন:
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৭: হয় বলো ভালোবাসি, নয় তো ভালোবাসি না!
ছোটদের যত্নে: শিশুর যত্নে কোন কোন দিকে বিশেষ নজর রাখবেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ফিজিওথেরাপি: কাঁধের ব্যথায় ভুগছেন? ফিজিওথেরাপির সাহায্যে ব্যথা এড়ানোর জরুরি টিপস জেনে নিন
একথা শুনে সভায় উপস্থিত সকলের মনে আনন্দ আর ধরে না। আনন্দ নেমে আসে দুচোখের জল হয়ে। ভরতের নির্দেশে রামকে নিয়ে আসার জন্য ঘরে ঘরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। সেনাদের তাড়া দিতে লাগল তাদের পত্নীরা। হাতী, ঘোড়া, রথ, গোরুর গাড়ি- সব যানবাহন প্রস্তুত হল। পরদিন ভোরে পুরোহিত, কারুশিল্পী, সৈন্যদল, পরিবৃত হয়ে ভরত যাত্রা করলেন বনের উদ্দেশ্যে। সানন্দে সঙ্গ নিলেন কৌশল্যা, সুমিত্রা, এমনকি কৈকেয়ীও। রাজ্যের প্রজারাও সঙ্গ নিলেন অনেকেই। কত জীবিকার মানুষজন যে যাত্রা করলেন এই বিরাট বাহিনীর সঙ্গে, ইয়ত্তা নেই তার। সকলের চোখে ভাসছে, মেঘশ্যাম, মহাবাহু, দৃঢ়ব্রত রামচন্দ্রের জগত আলো-করা প্রিয় মুখখানি। কতদিন পরে সকলে দেখা পাবে তাঁর।—চলবে
* শাশ্বতী রামায়ণী (Saswati Ramayani – Ramayana) : ড. অমৃতা ঘোষ (Amrita Ghosh) সংস্কৃতের অধ্যাপিকা, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাবিদ্যালয়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সম্পাদিত গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বেশ কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ।