রাজা দশরথ রাজসভায় ঘোষণা করলেন জ্যেষ্ঠ পুত্র রামের যৌবরাজ্যে অভিষেকের সময়কাল। সভাসদদের সম্মতি, প্রজাসাধারণের উচ্ছ্বাস সবই পুত্র রামের রাজ্যাভিষেকের ঘোষণাকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। রাজার তো নিশ্চিন্ত মনেই অন্তঃপুরে ফেরার কথা। প্রিয়তম, সুযোগ্য পুত্রের হাতে দায়িত্বভার তুলে দিয়ে এবার অনেকটা নিশ্চিন্ত হতে পারবেন তিনি। কিন্তু পিতার হৃদয় শান্তি পেল না। ভবিষ্যৎ অশান্তির শঙ্কায় মন অস্থির হয়ে উঠল তাঁর। স্থির করলেন, নিভৃতে রামের কাছে মেলে ধরবেন নিজের আশা ও আশঙ্কা। পিতার আহ্বানে রাম এলেন। তিনিও চিন্তিত মনে মনে। কিছুক্ষণ আগেই রাজসভায় ঘোষিত হয়েছে, পরদিন তাঁর অভিষেক। সে আনন্দের রেশ নিয়েই নিজ ভবনে ফিরেছিলেন তিনি। এই আকস্মিক আহ্বান তাঁর মনেও উদ্বিগ্নতা জাগিয়েছে।
পিতার বিশ্রামকক্ষে এলেন রাম। বসলেন কাছে। দশরথ এবার পুত্রের কাছে মেলে ধরলেন হৃদয়খানি। রাজসভার সিংহাসনে আসীন হয়ে যে কথা বলা যায় না রাজারূপে, পুত্রের একান্ত সান্নিধ্যে অকপটে বললেন সেসব কথা — “ আমার দীর্ঘ জীবনে সমস্ত অভিলাষ আমি পূর্ণ করেছি। যা কিছু ভোগ্য বিষয় ভোগের আকাঙ্ক্ষা ছিল, সব উপভোগ করেছি। শাস্ত্রাদি যথাশক্তি অধ্যয়ন করেছি। অপরিমেয় রাজ্যসুখ লাভ করেছি। কোনো ইচ্ছা অপূর্ণ নেই আমার। সেই সঙ্গে দান-ধ্যান, যাগ-যজ্ঞ সবই করেছি আমার সামর্থ্য অনুসারে। যজ্ঞে প্রচুর দক্ষিণা দিয়েছি। পিতা রূপে পেয়েছি তোমার মতো অভীষ্ট, গুণবান সন্তান।
আয়ু, অর্থ, কীর্তি — মানুষের অভীষ্ট যা কিছু, সবই লাভ করে পরিতৃপ্ত আমি। দেবঋণ,ঋষিঋণ, পিতৃঋণ, আত্মঋণ — সবই পরিশোধ হয়েছে এ জীবনে। এখন আমার একমাত্র কর্তব্য তোমাকে রাজ্যে অভিষিক্ত করা। সমস্ত রাজ্যবাসী প্রজারাও তোমাকে রাজা রূপে পেতে চাইছে। কাজেই তোমার যৌবরাজ্যে অভিষেকে বিলম্বের কোনো প্রয়োজন আমি দেখিনা। আর মাঝে মাঝেই নানারকম দুঃস্বপ্ন আমার ঘুমের মধ্যে ভিড় করে আসে। একদিন শেষরাতে দেখলাম, ভয়ংকর শব্দে বিনামেঘে বজ্রপাতের সঙ্গে বিরাট উল্কা আছড়ে পড়ছে। তার মধ্যে অমঙ্গলের ইঙ্গিত পাই আমি।
পিতার বিশ্রামকক্ষে এলেন রাম। বসলেন কাছে। দশরথ এবার পুত্রের কাছে মেলে ধরলেন হৃদয়খানি। রাজসভার সিংহাসনে আসীন হয়ে যে কথা বলা যায় না রাজারূপে, পুত্রের একান্ত সান্নিধ্যে অকপটে বললেন সেসব কথা — “ আমার দীর্ঘ জীবনে সমস্ত অভিলাষ আমি পূর্ণ করেছি। যা কিছু ভোগ্য বিষয় ভোগের আকাঙ্ক্ষা ছিল, সব উপভোগ করেছি। শাস্ত্রাদি যথাশক্তি অধ্যয়ন করেছি। অপরিমেয় রাজ্যসুখ লাভ করেছি। কোনো ইচ্ছা অপূর্ণ নেই আমার। সেই সঙ্গে দান-ধ্যান, যাগ-যজ্ঞ সবই করেছি আমার সামর্থ্য অনুসারে। যজ্ঞে প্রচুর দক্ষিণা দিয়েছি। পিতা রূপে পেয়েছি তোমার মতো অভীষ্ট, গুণবান সন্তান।
আয়ু, অর্থ, কীর্তি — মানুষের অভীষ্ট যা কিছু, সবই লাভ করে পরিতৃপ্ত আমি। দেবঋণ,ঋষিঋণ, পিতৃঋণ, আত্মঋণ — সবই পরিশোধ হয়েছে এ জীবনে। এখন আমার একমাত্র কর্তব্য তোমাকে রাজ্যে অভিষিক্ত করা। সমস্ত রাজ্যবাসী প্রজারাও তোমাকে রাজা রূপে পেতে চাইছে। কাজেই তোমার যৌবরাজ্যে অভিষেকে বিলম্বের কোনো প্রয়োজন আমি দেখিনা। আর মাঝে মাঝেই নানারকম দুঃস্বপ্ন আমার ঘুমের মধ্যে ভিড় করে আসে। একদিন শেষরাতে দেখলাম, ভয়ংকর শব্দে বিনামেঘে বজ্রপাতের সঙ্গে বিরাট উল্কা আছড়ে পড়ছে। তার মধ্যে অমঙ্গলের ইঙ্গিত পাই আমি।
দৈবজ্ঞরা বলেছেন, সূর্য, মঙ্গল, রাহু — এই তিনের দ্বারা একসঙ্গে আমার জন্মনক্ষত্র আক্রান্ত হয়েছে। এসব দুর্লক্ষণ দেখে মনে হয়, আমার বিনাশকাল বোধ হয় ঘনিয়ে এসেছে। রাম, মানুষের মন বড় অস্থির। কখন কীভাবে, কার বিরুদ্ধবুদ্ধির প্রভাবে মতি পাল্টে যায়, তার কোনো স্থিরতা নেই। নিজের মনকেও ভরসা পাই না তাই আজকাল। তাই পুত্র, তোমাকে বলি, তোমার অভিষেক কার্যে মনস্থির করেছি। যত শীঘ্র সেটি সফল করতে হবে। না হলে, কখন আবার কার বুদ্ধিতে মন পরিবর্তন হয়ে যায়! আগামীকালই পুষ্যানক্ষত্রযোগে অভিষেক কর্ম হবে তোমার। তুমি আজ বধূর সঙ্গে উপবাসব্রত পালন করে সংযতেন্দ্রিয় হয়ে কুশশয্যায় শয়ন করো। আর তোমার সুহৃদজন যাঁরা, তাঁরাও
আজ সচেতন হয়ে তোমাকে সব অমঙ্গলের হাত থেকে যেন রক্ষা করে। এমন শুভ কাজে বিঘ্নের সম্ভাবনাও বেশি।”
রাজসভায় রাজার আসনে বসে যে কথা বলতে পারেননি, পুত্রের একান্ত সান্নিধ্যে বলে ফেললেন সে আশঙ্কার কথা। বড় কঠিন সে আশঙ্কা। বললেন— “এসময় ভরত প্রবাসে আছে।এ অবকাশেই তোমার অভিষেক হয়ে যাওয়া ভালো। যদিও জানি যে, ভরত অত্যন্ত সৎ, জ্যেষ্ঠের প্রতি অনুগত, ধর্মপরায়ণ, জিতেন্দ্রিয়। কিন্তু কে বলতে পারে, মানুষের মনের কথা? — ‘কিন্তু চিত্তং মনুষ্যাণাং জানাম্যেব যথা চলম্।’ তাই ধার্মিক, সাধুব্যক্তির মনেও বিকার আসা অসম্ভব নয়।”
আজ সচেতন হয়ে তোমাকে সব অমঙ্গলের হাত থেকে যেন রক্ষা করে। এমন শুভ কাজে বিঘ্নের সম্ভাবনাও বেশি।”
রাজসভায় রাজার আসনে বসে যে কথা বলতে পারেননি, পুত্রের একান্ত সান্নিধ্যে বলে ফেললেন সে আশঙ্কার কথা। বড় কঠিন সে আশঙ্কা। বললেন— “এসময় ভরত প্রবাসে আছে।এ অবকাশেই তোমার অভিষেক হয়ে যাওয়া ভালো। যদিও জানি যে, ভরত অত্যন্ত সৎ, জ্যেষ্ঠের প্রতি অনুগত, ধর্মপরায়ণ, জিতেন্দ্রিয়। কিন্তু কে বলতে পারে, মানুষের মনের কথা? — ‘কিন্তু চিত্তং মনুষ্যাণাং জানাম্যেব যথা চলম্।’ তাই ধার্মিক, সাধুব্যক্তির মনেও বিকার আসা অসম্ভব নয়।”
আরও পড়ুন:
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ১৮: দশরথের অভিলাষ-রামের রাজ্যাভিষেক সংকল্প
ত্বকের পরিচর্যায়: উৎসবের মরসুমে চাই ত্বকের বিশেষ যত্ন? কী কী মেনে চলবেন? রইল ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
শিশু হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ-এ ভুগছে? কষ্টকর হলেও ভয়ের কিছু নেই, হোমিওপ্যাথিতে রয়েছে সমাধান
তুষারপাতের সেই দিনগুলি, পর্ব-৫: অগত্যা আর কিছু করার নেই, সব কাজ বাতিল করে তখনই ছুটতে হল…
এ কী জ্যেষ্ঠপুত্রের প্রতি স্নেহকাতর বৃদ্ধ পিতার অমূলক উদ্বেগ? না কি সিংহাসনের উত্তরাধিকার নিয়ে অন্তঃপুরের অন্তরালে ঘনিয়ে ওঠাদ্বন্দ্বের ঘূর্ণিপাক বিচলিত করেছিল তাঁকে। এ দ্বন্দ্বস্পষ্ট নয়, কিন্তু তার চোরাস্রোতটুকু উপলব্ধি করেছিলেন বহুদর্শী রাজা। রামের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ শক্তির উত্থান সম্ভাবনা ভয় জাগিয়েছিল রাজার মনে। ভয় কি তাঁর ভরতকে? তাঁর প্রতি হয়তো নয়। রাজা দশরথের উদ্বেগের সম্ভাব্য কারণ ভরতের মাতুলালয়। তাই অন্যান্য রাজাদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও কেকয়পতি ও মিথিলারাজ জনককে এ অভিষেককার্যে আমন্ত্রিতের তালিকায় ছিলেন না। দশরথের অভিপ্রায় ছিল, তাঁরা এ সংবাদ পরে শুনবেন। রামের রাজ্যাভিষেকের সংবাদে কৌশল্যা ও সুমিত্রার আনন্দের আয়োজনই চোখে পড়ে। মহিষী কৈকেয়ীর ভবনে সে বার্তা কি যথা সময়ে প্রেরিত হয়নি আশঙ্কাবশতই?
পিতার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাম গেলেন মায়ের কাছে। নিজমুখে মাকে এ আনন্দসংবাদ দিলেন। সেখানে উপস্থিত সীতা, সুমিত্রা, লক্ষ্মণ। তাঁরা সকলে রাজ্যাভিষেকের সংবাদ পেয়ে এসেছেন কৌশল্যার কাছে, আনন্দ ভাগ করে নেবেন সকলে। কৌশল্যা তখন পুত্রের মঙ্গল কামনায় দেবমন্দিরে জনার্দন পুরুষের ধ্যানে মগ্ন। মাকে পিতার আদেশ জানালেন রাম —“মা, পিতা আমাকে প্রজাপালন কার্যে নিযুক্ত করতে চেয়েছেন। আগামীকাল অভিষেক হবে। সীতাও আমার সঙ্গে আজ রাতে উপবাস করবে। অভিষেকের অন্যান্য মঙ্গল আয়োজনের ব্যবস্থা আপনি করুন।”
পিতার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাম গেলেন মায়ের কাছে। নিজমুখে মাকে এ আনন্দসংবাদ দিলেন। সেখানে উপস্থিত সীতা, সুমিত্রা, লক্ষ্মণ। তাঁরা সকলে রাজ্যাভিষেকের সংবাদ পেয়ে এসেছেন কৌশল্যার কাছে, আনন্দ ভাগ করে নেবেন সকলে। কৌশল্যা তখন পুত্রের মঙ্গল কামনায় দেবমন্দিরে জনার্দন পুরুষের ধ্যানে মগ্ন। মাকে পিতার আদেশ জানালেন রাম —“মা, পিতা আমাকে প্রজাপালন কার্যে নিযুক্ত করতে চেয়েছেন। আগামীকাল অভিষেক হবে। সীতাও আমার সঙ্গে আজ রাতে উপবাস করবে। অভিষেকের অন্যান্য মঙ্গল আয়োজনের ব্যবস্থা আপনি করুন।”
আরও পড়ুন:
নাট্যকথা: রোদ্দুর ও অমলকান্তি/৬
শারদীয়ার গল্প-৬: পর্সতার
শারদীয়ার গল্প-৩: আলোকসংশ্লেষ
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪: কবে আসবে তুমি মননের সে ‘সহযাত্রী’? [০৯/০৩/১৯৫১]
আনন্দে চোখে জল এল কৌশল্যার। বহু দিন অপেক্ষায় থেকেছেন এই দিনটির জন্য। আশীর্বচন উচ্চারণ করতে গিয়ে রুদ্ধ হয়ে আসছে কণ্ঠস্বর। মনের গভীর থেকে উঠে এল আশীর্বাদ —“পুত্র, দীর্ঘজীবী হও।তোমার শত্রু দূর হোক। তুমি ইক্ষ্বাকুরাজলক্ষ্মীকে লাভ করে আমার ও সুমিত্রার আত্মীয়জনকে আনন্দিত করো।” কৌশল্যার আশীর্বচনেও লুকিয়ে আছে আশঙ্কার কালো মেঘ। রামের অভিষেকে সুমিত্রার আনন্দিত হওয়ার উল্লেখ থাকলেও ভরতমাতা কৈকেয়ীর নাম উচ্চারণ করেননি তিনি। আর কৌশল্যার কাছে কৈকেয়ীও আসেননি অন্যদের মতো এ আনন্দের সংবাদ শুনে। তাহলে কৈকেয়ীকে কি স্পষ্টতই প্রতিপক্ষরূপে ভাবছেন কৌশল্যা? তাঁদের সম্পর্ক খুব মসৃণ ছিল কি? পরিপূর্ণ আনন্দের মাঝে থেকে যায় সংশয়ের কাঁটা। অজান্তেই রক্তাক্ত করে হৃদয়।
কৌশল্যার গৃহ থেকে সীতা সহ বিদায় নিয়ে নিজের ভবনে ফিরে গেলেন রাম। দশরথের ইচ্ছায় কুলপুরোহিত বশিষ্ঠ এলেন রামের ভবনে। মন্ত্রজ্ঞ ঋষিবর অভিষেকের পূর্বে আচরণীয় সংযমবিধির নির্দেশ দিয়ে বিদায় নিলেন তিনি। অযোধ্যার রাজপথে তখন জন-অরণ্য। আনন্দে, উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে প্রজাবৃন্দ। বিভিন্ন জনপদ থেকে সংবাদ পেয়ে এসেছে জনপদবাসীরাও। বশিষ্ঠের মনে হল, এ যেন পদ্মশোভিত প্রকাণ্ড সরোবরে আনন্দিত পাখিদের মুখর কলকাকলি। কিংবা পূর্ণিমার রাতে চাঁদের উদয়ে সমুদ্রের জলরাশির উত্তাল জলকল্লোল। এত লোকের ভিড়, তবু রাজপথ পরিচ্ছন্ন, সুশোভিত। বিরাট বিরাট ধ্বজা উড়ছে আকাশে। নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকলের অপেক্ষা এখন সূর্যোদয়ের জন্য। রাত্রির আঁধার কেটে যাবে। হবে প্রিয় রাজপুত্রের রাজ্যাভিষেক। সেই আনন্দে অধীর অযোধ্যা আজ রাত জাগছে পথেই।—চলবে
কৌশল্যার গৃহ থেকে সীতা সহ বিদায় নিয়ে নিজের ভবনে ফিরে গেলেন রাম। দশরথের ইচ্ছায় কুলপুরোহিত বশিষ্ঠ এলেন রামের ভবনে। মন্ত্রজ্ঞ ঋষিবর অভিষেকের পূর্বে আচরণীয় সংযমবিধির নির্দেশ দিয়ে বিদায় নিলেন তিনি। অযোধ্যার রাজপথে তখন জন-অরণ্য। আনন্দে, উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে প্রজাবৃন্দ। বিভিন্ন জনপদ থেকে সংবাদ পেয়ে এসেছে জনপদবাসীরাও। বশিষ্ঠের মনে হল, এ যেন পদ্মশোভিত প্রকাণ্ড সরোবরে আনন্দিত পাখিদের মুখর কলকাকলি। কিংবা পূর্ণিমার রাতে চাঁদের উদয়ে সমুদ্রের জলরাশির উত্তাল জলকল্লোল। এত লোকের ভিড়, তবু রাজপথ পরিচ্ছন্ন, সুশোভিত। বিরাট বিরাট ধ্বজা উড়ছে আকাশে। নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ সকলের অপেক্ষা এখন সূর্যোদয়ের জন্য। রাত্রির আঁধার কেটে যাবে। হবে প্রিয় রাজপুত্রের রাজ্যাভিষেক। সেই আনন্দে অধীর অযোধ্যা আজ রাত জাগছে পথেই।—চলবে
*শাশ্বতী রামায়ণী (Saswati Ramayani – Ramayana) : ড. অমৃতা ঘোষ (Amrita Ghosh) সংস্কৃতের অধ্যাপিকা, আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল মহাবিদ্যালয়। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও সম্পাদিত গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বেশ কিছু গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ।