পঞ্চম, আশা ও লতা।
ব্যক্তিগত জীবনে যাই হয়ে যাক, কাজ কি আর থেমে থাকে? পঞ্চমও ব্যতিক্রম নন। তাঁরও কাজ চলতে থাকে একের পর এক। আসে রবি চোপড়া পরিচালিত ছবি ‘দা বার্নিং ট্রেন’। সাহির লুধিয়ানভির কলম থেকে বেরিয়ে আসে ছবির গানগুলি। ছবিতে আশার গাওয়া দুটি ‘সোলো’ গান যারা শোনেনি, তাদের একটু শুনতে অনুরোধ করবো। প্রথমটি ‘কিসিকে ওয়াদে পে’, অন্যটি ‘মেরি নজর হ্যায় তুঝ পে’। দুটি গানের ক্ষেত্রেই সুরের কাঠামো, প্রবাহ, মডিউলেশন, গায়কী সব কিছুই ভিন্ন। অথচ সেই একই সুরকার। একই গায়িকা।
প্রথম গানটি সেমি ক্লাসিক্যাল হলেও পরের গানটিতে রয়েছে এক নিদারুণ আধুনিকতার ছোঁয়া। দুটি ক্ষেত্রেই সুরকার এবং গায়িকা দু’ জনেই ১০০ তে ১০০ পাওয়ার দাবি রাখেন। তাই হয়তো পঞ্চম-আশার জুটিকে রাজযোটক আখ্যা দিলে খুব ভুল হবে না। আরও একটি বিষয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য। দ্বিতীয় গানটির যে প্রেলুড রচনা করেছেন পঞ্চম, পরবর্তীকালে মার্কিনমুলুকে একটি বিশেষ ফোনের বিজ্ঞাপনে তার বেশ কিছুটা অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। যেটির উল্লেখ আমি আগের একটি পর্বে করেছি।
প্রথম গানটি সেমি ক্লাসিক্যাল হলেও পরের গানটিতে রয়েছে এক নিদারুণ আধুনিকতার ছোঁয়া। দুটি ক্ষেত্রেই সুরকার এবং গায়িকা দু’ জনেই ১০০ তে ১০০ পাওয়ার দাবি রাখেন। তাই হয়তো পঞ্চম-আশার জুটিকে রাজযোটক আখ্যা দিলে খুব ভুল হবে না। আরও একটি বিষয় বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য। দ্বিতীয় গানটির যে প্রেলুড রচনা করেছেন পঞ্চম, পরবর্তীকালে মার্কিনমুলুকে একটি বিশেষ ফোনের বিজ্ঞাপনে তার বেশ কিছুটা অংশ ব্যবহার করা হয়েছে। যেটির উল্লেখ আমি আগের একটি পর্বে করেছি।
ভেবে দেখুন, বিংশ শতাব্দীতে সৃষ্টি হওয়া একটি সুর একবিংশ শতাব্দীতে ব্যবহার করা হচ্ছে, এবং তাও আবার আমেরিকার তৈরি একটি অত্যাধুনিক পণ্যের বিজ্ঞাপনে! তাহলে বুঝে দেখুন। পঞ্চম কিন্তু আজও ছড়িয়ে রয়েছেন বিশ্বজুড়ে। গোটা পৃথিবীটাই তাঁর বিচরণ ক্ষেত্র। তাঁর সৃষ্টির মায়াজাল অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে আপামর সঙ্গীতপ্রেমী মানুষকে, দেশ এবং কাল নির্বিশেষে।
এই ছবির টাইটেল সংটি যদি শোনেন মুগ্ধ হবেনই। একটি ছুটে চলা ট্রেনের শব্দ দিয়ে শুরু হয়ে ঠিক সময় মতো ছন্দের প্রবেশ ঘটে গানটিতে। সময় যত এগোয়, একে একে বিভিন্ন ইনস্ট্রুমেন্ট জায়গা করে নিতে থাকে। আর শুনতে পাওয়া যায় পঞ্চম এবং এনেট পিন্টোর কণ্ঠস্বর। শুরু থেকে শেষ অবধি পুরো গানটি আমাদের একটি সাসপেন্সে ভরিয়ে রাখে। যেমন কাঠামো, তেমন অ্যারেঞ্জমেন্ট। এক কথায় সেই আবারও আমরা পাই এক অভিনব পঞ্চমকে।
একটি মিষ্টি প্রেমের গান শুনতে চান? যে গানে থাকবে মনমাতানো রিদম, মেলোডি, ইন্টারলুড এবং কণ্ঠ? শুনে নিন এই ছবির ‘ওয়াদা হা জি ওয়াদা’ গানটি। আকষ্টিক স্প্যানিশের রিদম দিয়ে শুরু হওয়ার পর জায়গা করে নেয় বঙ্গ এবং মাদল। তার সঙ্গে কিশোর-আশার আবারও সেই ‘অলরাউন্ড পারফরম্যান্স’। আপনার মন যতই বিষণ্ণতায় ভরে থাকুক, এই গানটি শুনলে আপনি চনমনে হয়ে উঠবেনই।
এই ছবির টাইটেল সংটি যদি শোনেন মুগ্ধ হবেনই। একটি ছুটে চলা ট্রেনের শব্দ দিয়ে শুরু হয়ে ঠিক সময় মতো ছন্দের প্রবেশ ঘটে গানটিতে। সময় যত এগোয়, একে একে বিভিন্ন ইনস্ট্রুমেন্ট জায়গা করে নিতে থাকে। আর শুনতে পাওয়া যায় পঞ্চম এবং এনেট পিন্টোর কণ্ঠস্বর। শুরু থেকে শেষ অবধি পুরো গানটি আমাদের একটি সাসপেন্সে ভরিয়ে রাখে। যেমন কাঠামো, তেমন অ্যারেঞ্জমেন্ট। এক কথায় সেই আবারও আমরা পাই এক অভিনব পঞ্চমকে।
একটি মিষ্টি প্রেমের গান শুনতে চান? যে গানে থাকবে মনমাতানো রিদম, মেলোডি, ইন্টারলুড এবং কণ্ঠ? শুনে নিন এই ছবির ‘ওয়াদা হা জি ওয়াদা’ গানটি। আকষ্টিক স্প্যানিশের রিদম দিয়ে শুরু হওয়ার পর জায়গা করে নেয় বঙ্গ এবং মাদল। তার সঙ্গে কিশোর-আশার আবারও সেই ‘অলরাউন্ড পারফরম্যান্স’। আপনার মন যতই বিষণ্ণতায় ভরে থাকুক, এই গানটি শুনলে আপনি চনমনে হয়ে উঠবেনই।
আরও পড়ুন:
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-২৬: অবশেষে চার হাত এক হল, পঞ্চম-আশা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে শুরু করলেন দ্বিতীয় ইনিংস
পর্দার আড়ালে, পর্ব-৪০: একসঙ্গে বহু ছবিতে অভিনয় করা সত্ত্বেও প্রদীপ কুমার সে দিন চিনতেই পারলেন না উত্তম কুমারকে!
‘খুবসুরত’ ছবির আশার গাওয়া ‘সারে নিয়ম তোড় দো’ এবং ‘শুন শুন শুন দিদি তেরে লিয়ে’ গান দুটির উপস্থাপনা কি অসাধারণ বলুন তো! বিশেষ করে দ্বিতীয় গানটির ক্ষেত্রে আশার কণ্ঠাভিনয় অনবদ্য। রেখার মনমাতানো অভিনয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কি অসাধারণভাবেই না তিনি গেয়ে গিয়েছেন গানটি।
একটি সাধারণ সুরকে কীভাবে অসাধারণ করে তুলতে হয় তার নমুনা দেখতে চান? শুনে নিন ‘আঁচল’ ছবির আশা ভোঁসলের গাওয়া ‘জানে দে গাড়ি তেরি জানে দে’ গানটি। একটি গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে দৃশ্যায়িত এই গানটিতে মেলোডির প্রভাব এবং তার সঙ্গে আশার গায়কী মাতিয়ে রাখে শ্রোতাদের। বাদ্যযন্ত্রগুলি চয়নের ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করেছেন পঞ্চম। শুনে দেখবেন, বেশিরভাগই দেশজ বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। সেটি খুব সচেতনভাবে করা হয়েছে প্রেক্ষাপটের কথা মাথায় রেখে।
একটি সাধারণ সুরকে কীভাবে অসাধারণ করে তুলতে হয় তার নমুনা দেখতে চান? শুনে নিন ‘আঁচল’ ছবির আশা ভোঁসলের গাওয়া ‘জানে দে গাড়ি তেরি জানে দে’ গানটি। একটি গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে দৃশ্যায়িত এই গানটিতে মেলোডির প্রভাব এবং তার সঙ্গে আশার গায়কী মাতিয়ে রাখে শ্রোতাদের। বাদ্যযন্ত্রগুলি চয়নের ক্ষেত্রে খুব সাবধানতা অবলম্বন করেছেন পঞ্চম। শুনে দেখবেন, বেশিরভাগই দেশজ বাদ্যযন্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে। সেটি খুব সচেতনভাবে করা হয়েছে প্রেক্ষাপটের কথা মাথায় রেখে।
আরও পড়ুন:
অমর শিল্পী তুমি, পর্ব-৫: সফল হোগি তেরি আরাধনা
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪৬: বহু জনমের মায়া, ধরিল যে কায়া, ওগো ‘শিল্পী’ সে তো শুধু তোমারই ছায়া
সত্যি বলতে, এই পর্যায়ে পঞ্চম মানসিকভাবে ছিলেন অনেকাংশেই ভারমুক্ত। তাঁর এতদিনের একটি চাওয়া পূরণ হয়েছে। বুক থেকে যেন একটি পাথর নেমে গিয়েছে। সম্পূর্নরূপে পাশে পেয়েছেন আশাকে। দু’ জনে একসঙ্গে থাকতে পারছেন। সুর-সঙ্গীত নিয়ে দু’ জনে মিলে অনেক বেশি করে আলোচনা করতে পারছেন। সেহেতু পঞ্চম সুর রচনার ক্ষেত্রে ক্রমশ আরও ধারালো হয়ে উঠতে থাকেন। নিজের প্রতিভা এবং জ্ঞানকে আরও বেশি করে কাজে লাগাতে শুরু করেন। আশার মতো একজন গায়িকা এখন তাঁর অর্ধাঙ্গিনী। সুতরাং তাঁর কণ্ঠকে তিনি আরও মন খুলে ব্যবহার করতে থাকেন তাঁর সুরে। এ যেন আশার কাছে পঞ্চমের এক অলিখিত দাবি।
আশাও নিজগুণে তাঁর জীবনসঙ্গীর রচনা করা সুরগুলিকে আলোকিত করে চলেন একের পর এক। নিজের প্রতিভার সবটুকু উজাড় করে দিয়ে পঞ্চমের সুরে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে থাকেন। শুধু কি তাই? নিজে রাঁধতে জানলেও আশার কাছে পঞ্চমের আবদার ছিল অন্তহীন। প্রায়শই তিনি নতুন নতুন পদ রাঁধার আবদার পেশ করতেন আশার কাছে। আশাকে কাছে পেয়ে পঞ্চমের ভোজনরসিকতা যেনো উত্তরোত্তর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছিল। তিনি ছিলেন বিরিয়ানি অন্তপ্রাণ। তাই আশাকে অগুন্তি বার এই পদটি রাঁধতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে রিহার্সাল অথবা অতিথি সমাগম হলে বেচারি আশার ওপরই রান্নার ভার পড়ত। তবে পঞ্চমও নাকি হাত লাগাতেন। যদিও সিংহভাগ রান্নাই আশাকে করতে হতো। কিছু ক্ষেত্রে আশা মনে মনে একটু চটে যেতেন বই কি। তবু পঞ্চমের আবদার বলে কথা! রাঁধতে তো হবেই!
আশাও নিজগুণে তাঁর জীবনসঙ্গীর রচনা করা সুরগুলিকে আলোকিত করে চলেন একের পর এক। নিজের প্রতিভার সবটুকু উজাড় করে দিয়ে পঞ্চমের সুরে নিজেকে ভাসিয়ে দিতে থাকেন। শুধু কি তাই? নিজে রাঁধতে জানলেও আশার কাছে পঞ্চমের আবদার ছিল অন্তহীন। প্রায়শই তিনি নতুন নতুন পদ রাঁধার আবদার পেশ করতেন আশার কাছে। আশাকে কাছে পেয়ে পঞ্চমের ভোজনরসিকতা যেনো উত্তরোত্তর ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠছিল। তিনি ছিলেন বিরিয়ানি অন্তপ্রাণ। তাই আশাকে অগুন্তি বার এই পদটি রাঁধতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, বাড়িতে রিহার্সাল অথবা অতিথি সমাগম হলে বেচারি আশার ওপরই রান্নার ভার পড়ত। তবে পঞ্চমও নাকি হাত লাগাতেন। যদিও সিংহভাগ রান্নাই আশাকে করতে হতো। কিছু ক্ষেত্রে আশা মনে মনে একটু চটে যেতেন বই কি। তবু পঞ্চমের আবদার বলে কথা! রাঁধতে তো হবেই!
আরও পড়ুন:
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৫: টনিক খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো?
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৯: ঠাকুরের ঘরণী সারদার গার্হস্থ্য জীবন
সবাই যখন খেতে বসতেন, পঞ্চম তখন চোখেমুখে একরাশ কৌতুহল এবং উচ্ছাস নিয়ে অতিথিদের মুখের দিকে চেয়ে থাকতেন তাঁর স্ত্রীর রান্নার প্রসংশার অপেক্ষায়। কেউ তারিফ করলেই তিনি হাসিমাখা মুখে তাকাতেন আশার দিকে। আসলে পঞ্চম নিজেও যেমন ছিলেন ভোজনরসিক, ঠিক তেমনি অতিথিদের খাওয়ানোর প্রতিও তাঁর ছিল সমান আগ্রহ। এ ভাবেই সুর, সঙ্গীত এবং ভোজনপর্বের মধ্যে দিয়েই একে একে দিন কাটতে থাকে নবদম্পতির।
মীরাদেবি কিছুতেই মন থেকে তখনও মেনে নিতে পারেননি রাহুল-আশার এই বৈবাহিক সম্পর্ক। এও শোনা যায়, লতা মঙ্গেশকরও এই সম্পর্ক নিয়ে একটি বাক্য ব্যয় করেননি কোনওদিন। না আশাকে কিছু বলেছেন, না পঞ্চমকে। তবে পঞ্চম নাকি নিজেই উপযাজক হয়ে তাঁর লতাদিদিকে অনুরোধ করেছিলেন বিবাহিত জীবন কীভাবে সুন্দর করে তোলা যায় সেই বিষয়ে তাঁকে কিছু বলতে। অনেকটাই কাউন্সেলিংয়ের ধাঁচে। কারণ একটাই। পঞ্চম মনে মনে তাঁর প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের বেদনা তখনও পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারেননি। তাই এই দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে তিনি তাঁর তরফ থেকে কোনও ত্রুটি রাখতে চাননি। যেহেতু আশা লতারই আপন বোন, তাই আশাকে কোন কোন উপায়ে খুশি রাখা যায় সেটি জেনে নেওয়াই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এই ক্ষেত্রেও লতা পঞ্চমকে সরাসরি কিছু বলেননি।
পরে লতা একটি দীর্ঘকায় পত্র লিখেছিলেন পঞ্চমকে। যে পত্রে লিপিবদ্ধ ছিল পঞ্চমের বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে সবকটি প্রশ্নের উত্তর। জানা যায়, পঞ্চম নিজের শেষদিন অবধি সেই পত্রটি নিজের কাছে সযত্নে আগলে রেখেছিলেন। সর্বদা মেনে চলার চেষ্টা করতেন লতার কাছ থেকে পাওয়া মহামূল্যবান উপদেশগুলি। এমনই ছিল লতাদিদির প্রতি পঞ্চমের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা। —চলবে।
মীরাদেবি কিছুতেই মন থেকে তখনও মেনে নিতে পারেননি রাহুল-আশার এই বৈবাহিক সম্পর্ক। এও শোনা যায়, লতা মঙ্গেশকরও এই সম্পর্ক নিয়ে একটি বাক্য ব্যয় করেননি কোনওদিন। না আশাকে কিছু বলেছেন, না পঞ্চমকে। তবে পঞ্চম নাকি নিজেই উপযাজক হয়ে তাঁর লতাদিদিকে অনুরোধ করেছিলেন বিবাহিত জীবন কীভাবে সুন্দর করে তোলা যায় সেই বিষয়ে তাঁকে কিছু বলতে। অনেকটাই কাউন্সেলিংয়ের ধাঁচে। কারণ একটাই। পঞ্চম মনে মনে তাঁর প্রথম বিবাহ বিচ্ছেদের বেদনা তখনও পুরোপুরি মুছে ফেলতে পারেননি। তাই এই দ্বিতীয় বিবাহের ক্ষেত্রে তিনি তাঁর তরফ থেকে কোনও ত্রুটি রাখতে চাননি। যেহেতু আশা লতারই আপন বোন, তাই আশাকে কোন কোন উপায়ে খুশি রাখা যায় সেটি জেনে নেওয়াই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু এই ক্ষেত্রেও লতা পঞ্চমকে সরাসরি কিছু বলেননি।
পরে লতা একটি দীর্ঘকায় পত্র লিখেছিলেন পঞ্চমকে। যে পত্রে লিপিবদ্ধ ছিল পঞ্চমের বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে সবকটি প্রশ্নের উত্তর। জানা যায়, পঞ্চম নিজের শেষদিন অবধি সেই পত্রটি নিজের কাছে সযত্নে আগলে রেখেছিলেন। সর্বদা মেনে চলার চেষ্টা করতেন লতার কাছ থেকে পাওয়া মহামূল্যবান উপদেশগুলি। এমনই ছিল লতাদিদির প্রতি পঞ্চমের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা। —চলবে।
* পঞ্চমে মেলোডি (R D Burman): সৌম্য ভৌমিক, (Shoummo Bhoumik) সঙ্গীত শিল্পী।