ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
স্বর ও ধ্বনির সমন্বয়ে গান সৃষ্টি হয়েছিল। গীত এক ধরনের শ্রবণযোগ্য কলা, যা মানবচিত্তে বিনোদন সৃষ্টি করতে বিশেষ কার্যকরী। মানুষের কণ্ঠ নিঃসৃত ধ্বনি বা যন্ত্র হতে সৃষ্ট শব্দ কিংবা এই উভয়েরই সংমিশ্রণ গীত বা সঙ্গীতের উৎপাদক। সুরই ধ্বনির প্রধান বাহন।
এই পৃথিবীতে মানবজাতি যত প্রাচীন, ঠিক ততটাই সুপ্রাচীন সঙ্গীতও। প্রত্নতত্ত্ববিদ তথা আর্কিওলজিস্টরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে হাড় ও হাতির দাঁতের তৈরি বাঁশির সন্ধান পেয়েছেন যেগুলো প্রায় চার হাজার বছর আগে তৈরি। পৃথিবীর প্রথম সঙ্গীত হিসেবে হুরিয়ান স্তোত্র বা হুরিয়ান হিমকেই ঐতিহাসিকরা সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছেন। এই স্তোত্র উৎসর্গ করা হয়েছিল দেবতা নিক্কালকে। প্রায় চার হাজার বছরের পুরনো সুমেরিয়ান ক্লে ট্যাবলেটের টুকরোতে এই সঙ্গীতের স্বরলিপি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
প্রথম আলো, পর্ব-৩: পৃথিবীর প্রথম কবি কে, জানেন?
হুঁকোমুখোর চিত্রকলা, পর্ব-১৩: মালিকা পরিলে গলে/ প্রতি ফুলে কে-বা মনে রাখে?…
সিরিয়ার উগারিট শহর থেকে এই ক্লে ট্যাবলেটটি পাওয়া যায়। হুরিয়ানদের দ্বারা সৃষ্ট পৃথিবীর প্রথম সঙ্গীত হরিয়ান হিম৬। সুপ্রাচীন সুমেরীয় ক্লে ট্যাবলেট নির্দেশ দেওয়া ছিল কীভাবে এই গানটিকে নটি তারের বীণায় বাজাতে হবে।
আরও পড়ুন:
ইতিহাস কথা কও, কোচবিহারের রাজকাহিনি, পর্ব-৯: রাজবাড়ির সান্নিধ্যে নারীর উড়ান
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩৫: টনিক খাওয়া শরীরের পক্ষে ভালো?
তবে গবেষকরা মনে করেন,পৃথিবীর প্রাচীন সুর সেইকিলোস এপিটাফ। এটি গ্রিক সুর। টার্কিতে এই সুরটি একজন নারীর কবরস্থানে শ্বেতপাথরের পিলারে লিপিবদ্ধ করা ছিল। পিলারে এই সুরের স্বরলিপিও ছিল এবং সেখানে লেখা ছিল—‘‘যখন তুমি বেঁচে থাকো উজ্জ্বল থাকো। কোনও দুঃখ রেখো না। জীবন খুব কম সময়ের জন্য থাকে এবং সময় তার প্রভাব দাবি করে।”
* প্রথম আলো: সোমা চক্রবর্তী (Soma Chakrabarti), শিক্ষিকা, নিমতা জীবনতোষ ঘোষ মেমোরিয়াল গার্লস হাইস্কুল (উচ্চ মাধ্যমিক)।