চুনী-পিকে-বলরাম ও যুবক সুনীল গাভস্কর। ছবি: প্রতীকী। সংগৃহীত।
।। ফুটবল ক্রিকেট নাটক পাড়া ।।
ছোটকা ক্রিকেটের পোকা। আর খেলার খবর ভীষণ খুঁটিয়ে পড়ত। তখনকার ক্রীড়া সাংবাদিকরা শুধু কলকাতার খবর লিখতেন না। সারাদেশে স্কুল লেভেলের ফুটবল বা ক্রিকেটে কোন আগামী তারকা উঠে আসছে তাদের খবরও লেখা থাকত। তাই সে সময় খেলাধুলোর জগতের লোকেরা যখন কলকাতা ফুটবলের চুনী-পিকে-বলরাম নিয়ে কথা বলছে, ছোটকা তখন স্কুল ক্রিকেটে সাড়া ফেলে দেওয়া একটি নতুন ছেলের কথা বলছেন। ভারতে আসা ইংল্যান্ড স্কুল ক্রিকেট দলের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছেলেটি ১১৪ রান করেছিল। পরে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে পড়া শুরু হল। বোম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে খেলতে নেমে চারটি টেস্টে ৩০৯ রান দু’ দুটো সেঞ্চুরি। রঞ্জি ট্রফি খেলছে। মাইসোরের বিরুদ্ধে মাত্র পাঁচটা বল খেলে শূন্য রানে আউট। পরের মাসে আবার সেঞ্চুরি রাজস্থানের বিরুদ্ধে ১১৪ রান। বাবা ক্লাব ক্রিকেটে নামী খেলোয়াড়। কাকা ভারতীয় টেস্ট খেলেছেন। ছোটবেলায় মা মীনার সঙ্গে ক্রিকেট খেলত সে। হাঁটু গেড়ে বসে মা ছেলেকে বল দিতেন। ছোট্ট ব্যাটসম্যান ব্যাট চালাত। একদিন সরাসরি মায়ের নাকে বল মেরে দিল সে। রক্তারক্তি কাণ্ড। মা কিন্তু একটুও বকেননি। ভালো করে জলে রক্তাক্ত নাক ধুয়ে ফেলে আবার খেলা শুরু করলেন। মায়ের এই ঘটনা চিরকাল তাকে সাহস যুগিয়েছে। আরও ছোট্টবেলায় জন্মের পরে পরেই বদলে যাচ্ছিল ছেলেটি। ভাগ্যিস এক কানে জন্মগত একটা ফুটো ছিল। ঘনিষ্ঠ আত্মীয় নারায়ণ মাসুরেকর দেখেই চিনতে পারলেন মায়ের পাশে শুয়ে রাখা অন্য কোন বাচ্চাকে। পাশের বেডে কানে ফুটোওয়ালা সেই বাচ্চাটিকে খেলতে দেখা গেল। বাচ্চাদের স্নান করাতে গিয়ে অসাবধানে পালটে গিয়েছিল সে। ১৯৭১এ ৬ মার্চ টেস্ট জীবন শুরু করার অনেক আগেই ছোটকা সুনীল মনোহার গাভাসকারের খবর রাখতেন।
আমার বড় দুই জেঠিমা যেভাবে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে রাশভারী হয়ে উঠেছিলেন আমার মা কিন্তু তেমনটা নয়। তাই আমার কাকাদের বা পিসিমণির কাছে মা খুব প্রিয়। তবে তার থেকেও বোধ হয় আমার খুড়তুতো জ্যাড়তুতো বা পিসির ছেলেদের কাছে মা বেশি আপনার। এমনকি, কীরা কাকিমার দুই মেয়ে রোজিন আর শ্যাননও মাকে খুব ভালোবাসে।
দুই বাংলার উপন্যাস: বসুন্ধরা এবং, ২য় খণ্ড, পর্ব-১৫: যিনি বিপদ ঘটান, বিপদ থেকে উদ্ধারের পথ তিনিই দেখান
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১৩: আচমকা রাতের পার্টিতে হাজির পুলিশ
গা ছমছমে ভৌতিক উপন্যাস: মিস মোহিনীর মায়া, পর্ব-১: জলের তলায় তার শরীরের কোনও অস্তিত্ব নেই!
অজানার সন্ধানে, মিথ্যার সঙ্গে আপোষ না করে ছাড়েন চাকরি, দিন কাটে অনাহারে, কে এই ভারতের ফেভিকল ম্যান?
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-১৮: কোষার ভান্ডার ছররি থেকে কুঠাঘাট হয়ে কুরদার
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৫৪: মাছের বাজারের দুনিয়ায় আলিপুরের ‘নেট বাজার’ তালিকায় শীর্ষে
স্বাভাবিকভাবে প্রথমদিকে শ্যামবাজারের নাটক অর্থলগ্নীর একটা উপায় হয়ে উঠলো। টালিগঞ্জের সিনেমায় যত টাকা লগ্নি করতে হতো তার থেকে কমে একেকটি নাটক প্রযোজিত হতো। আর সিনেমায় লগ্নি করার টাকা অনেকটা চোখ বেঁধে অন্ধকারে ঢিল মারার মতো। নামী তারকাদের নিয়েও কখন যে কোন ছবির নৌকো ফুটো হয়ে সলিল সমাধি নেবে সেটা আগে থেকে কেউ বলতে পারে না। নাটকের ক্ষেত্রে নামী অভিনেতা-অভিনেত্রীরা মাস মাইনেতে কাজ করেন। নাটকের প্রযোজনার জন্য একটা বাঁধা খরচা নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু নাটকের কাটতি না হলে চাকচিক্যের রদবদল করে বিজ্ঞাপন বাড়িয়ে মাঝপথেও নাটকের বিক্রি বাড়ানোর একটা চেষ্টা করা যেতে পারে। ছবি তো পরীক্ষায় লেখা খাতার মত। খাতা জমা পড়ে গেলে আর রদবদলের উপায় নেই। এই পরীক্ষা শব্দটা লেখার পরেই সুবর্ণর মনে হল এক্কেবারে হালে বোধহয় সেই উপায়টাও আছে। তবে সে বিতর্কিত প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৬১: চাষাবাদ নিয়েও রবীন্দ্রনাথ ভেবেছেন
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-১৮: শুঁটকি মাছে কি আদৌ কোনও পুষ্টিগুণ আছে?
ইংলিশ টিংলিশ: ‘নিজের পায়ে নিজে কুড়ুল মারা’ বা ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’কে ইংরেজিতে কী বলে?
অনেকের মতো বসুন্ধরা ভিলার কমলকান্তি দত্ত বা ‘কে কে’ সেটা ভুলে গিয়েছিলেন। ভুলে গিয়েছিলেন বলেই মঞ্চেপড়া মায়াবী আলোর পিছনের ঘন অন্ধকারের চটচটে আঠালো কালিমায় জেরবার হয়ে গিয়েছিল।—চলবে
ছবি সৌজন্য: সত্রাগ্নি
বসুন্ধরা এবং… ২য় খণ্ড/পর্ব-১৭
গল্প ও উপন্যাস পাঠানোর নিয়ম
‘সময় আপডেটস’-এর এই বিভাগে যাঁরা গল্প ও উপন্যাস পাঠাতে চান তাঁরা ছোটদের ও বড়দের আলাদা আলাদা গল্প পাঠাতে পারেন৷ বুঝতে সুবিধার জন্য ইমেলের ‘সাবজেক্ট’-এ বিভাগের উল্লেখ করবেন৷ ছোটদের গল্পের জন্য ১০০০ শব্দ ও বড়দের গল্পের জন্য ১০০০-১৫০০ শব্দের মধ্যে পাঠাতে হবে ইউনিকোড ফরম্যাটে। সঙ্গে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর দিতে ভুলবেন না৷ গল্প বা উপন্যাস নির্বাচিত হলে যোগাযোগ করা হবে৷ ইমেল: samayupdatesin.writeus@gmail.com