শনিবার ২৩ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি প্রতীকী

ছোটরা এখন অনলাইনে ক্লাস করতে অভ্যস্ত। স্কুলে গেলে সহপাঠীদের সঙ্গে খেলা বা সময় কাটায়, কিন্তু বাড়িতে বরং তারা অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে মোবাইলে গেম খেলতে বা টিভিতে কার্টুন দেখতে। এটা নিঃসন্দেহে এক ধরনের সমস্যা। কিন্তু তার চেয়েও বড় সমস্যা বাচ্চার কোনও কিছুই একটানা না করা। কিছুক্ষণ হয়তো তার মোবাইলে মগ্ন হয়ে থাকছে, আবার কিছুক্ষণ টিভি দেখছে। খানিক পরেই অন্য কিছু করতে ইচ্ছে করছে। পড়াশোনাও একটানা করানো যাচ্ছে না। তার ফাঁকেই বারবার উঠে আসছে। এর মানে খুদের কোনও কিছুতেই একটানা মন বসাতে পারছে না। আসলে এক জন বাচ্চা কোনও একটি বিষয়ে যত বেশিক্ষণ মন দেবে, ততই সেটা বোঝা বা শেখা তার পক্ষে সহজ হবে। পড়াশোনা কিংবা অন্য ধরনের কাজ— সবেতেই এই মনঃসংযোগ খুবই জরুরি। ফলে এমন সমস্যা হলে গুরুত্ব দিয়ে বুঝতে হবে।
আরও পড়ুন:

পুজার আগে চটজলদি ত্বকের জেল্লা ফেরাতে যত্ন নেবেন কীভাবে? রইল টিপস

শিশুকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন? কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন? কী কী ওষুধ সঙ্গে রাখবেন? রইল পরামর্শ

 

কী থেকে এই সমস্যা হতে পারে?

কোনও বাচ্চার যদি ‘লার্নিং ডিজঅর্ডার’ থাকে, তা হলে সে কোনও বিষয়েই বেশিক্ষণ মন দিতে পারবে না। এ ছাড়া, হাতের সামনে যদি এমন কোনও জিনিস পেয়ে যায়, যা তাকে বেশি আকর্ষণ করছে, তা হলেও মনোযোগের অভাব হতে পারে। বাবা-মায়েরা অনেক সময়েই বাচ্চাকে একসঙ্গে অনেক কিছু শেখাতে চান। তা থেকেও কিন্তু অনেকসময় এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। কারণ, আপনি যে যে বিষয়গুলি ওকে শিখতে বলছেন, সেগুলির প্রতি ওর হয়তো কোনও আগ্রহই নেই।
 

কী দেখে বুঝবেন মনোযোগের অভাব আছে?

বয়স অনুযায়ী শিশুদের মনোযোগের ধরনও আলাদা। এক দু’বছরের বাচ্চা কোনও বিষয়েই ৪-৬ মিনিটের বেশি মন দিতে পারে না। কারণ সে একেবারেই তখন শিশু। বয়স বাড়ার সঙ্গে একটু একটু করে মনোযোগের সময়টাও বাড়তে থাকে। বাচ্চার বয়স ৪ বছর হলে সে একটি বিষয়ে ৮-১২ মিনিট মনোযোগ দিতে পারে। ৮ বছর হলে মনোযোগের সময়টা হয়ে দাঁড়ায় ১৬-২৪ মিনিট। আবার ১৪ বছরের বাচ্চা কোনও বিষয়ে একটানা ২৮-৪২ মিনিট পর্যন্ত মন দিতে পারে। এই সময়ের কম হলেই বুঝবেন বাচ্চার মনোযোগের সমস্যা রয়েছে।
 

তাহলে কী করবেন না?

মনোযোগের সমস্যা থাকলে বাচ্চাকে বকুনি দেবেন না। সমস্যা কমাতে বাচ্চার সঙ্গে আপনিও সেই বিষয়টি শেখার জন্য বসুন, এতে বাচ্চা আগ্রহি হয়ে উঠবে।


Skip to content