ছবি প্রতীকী।
এই প্রতিবেদনে তোমাদের এই শেষ মুহূর্তের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে কিছু জরুরি বিষয় আলোচনা করলাম। বিষয়গুলি মাথায় রাখলে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে খুব কাজে আসবে।
সঠিক প্রস্তুতির জন্য চাই রুটিন
পড়ার মধ্যে বৈচিত্র থাকুক
পড়ার মধ্যে একটু বৈচিত্র আনতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। যেমন ধরো রুটিনের শুরু এবং শেষে প্রিয় বিষয় রাখতে পারো। মাঝের সময়টা যে অধ্যায়গুলো একটু অপছন্দ বা একটু ভয় লাগে, সেগুলোকে রাখতে পারো। এ ভাবে পরিকল্পনা করে পড়লে সার্বিকভাবে প্রস্তুত হতে তোমাকে সাহায্য করবে।
প্রস্তুতি পর্বে বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ
কোন বিষয়ে এগিয়ে, কোনটায় পিছিয়ে তালিকা বানাও
‘কি পয়েন্ট’ লিখে রাখো
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৫১: বিয়েশাদির ঠাকুরবাড়ি
রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৫: মেরুর দিকে পৃথিবী কিছুটা চাপা, তাই এখানে দুটি কাছাকাছি অঞ্চলের মধ্যেও সূর্যালোকের পার্থক্য অনেকটা
হেলদি ডায়েট: কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন? সুস্থ থাকতে কোন ১০টি ফল খাবেন?
চেনা দেশ অচেনা পথ, পর্ব-৬: প্রকৃতি নিয়ে পর্যটন
ঘুম প্রস্তুতির অন্যতম সঙ্গী
এ সময় সমাজ মাধ্যম, টিভি ও অন্যান্য স্ক্রিন টাইম
বৈষম্যের বিরোধ-জবানি, পর্ব-৬: নাগদেবী কাহন ও দ্বিমুখী লড়াই
অনন্ত এক পথ পরিক্রমা, পর্ব-৭: ঈশ্বরের ভালোবাসার সমুদ্রে ডুব দিলে তবেই ভক্তিরূপ মুক্তো খুঁজে পাওয়া সম্ভব
বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৪২: সুন্দরবনের কিছু মূল্যবান মাছ যেগুলো আজ লুপ্তপ্রায়
ষাট পেরিয়ে: বয়সেও আসুক বসন্ত
নিজের উপর ভরসা থাকুক
পড়ায় যাতে একঘেয়েমি না আসে খেয়াল রেখো
পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১: একটি ক্লান্তিকর বাসযাত্রা এবং…
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২৩: মোর সাধের বাসরে ঘটল ‘গৃহ প্রবেশ’
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৬: কানে খোল, তেল দেন?
স্বাদে-আহ্লাদে: খুদের টিফিনে কী দেবেন ভেবেই মাথায় হাত? ঝটপট বানিয়ে ফেলুন মুগ ডালের চিল্লা!
ভয়-আশঙ্কা দূর করতেই হবে
এসো একবার একটু দেখি তো, এই দুশ্চিন্তা নিয়ে তোমাদের মনোভাব বদলানো যায় কি না। ধরো, সাত দিন বাদে তোমার একটি বিশেষ পরীক্ষা বা কোনও প্রেজেন্টেশন আছে। কিন্তু তুমি কোনও চিন্তাই অনুভব করছ না। এমত অবস্থায় তুমি কি চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য বা আরও ভালোভাবে ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় ব্যয় করবে? ঠিক কোন কোন জায়গায় ঘাটতি আছে সে বিষয়ে সজাগ হবে? ঠিক কোন কোন অংশ তুমি খুব ভালো করে পারো এমন অনুভব করে আত্মবিশ্বাসী হবে? না, এই মনোভাব কিন্তু তোমার ক্ষমতার সর্বোত্তম সম্ভাবনার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
আবার এতো চিন্তা হচ্ছে যে, কোনওভাবেই ঘুমের সময় ঘুমোতে পারছো না। আবার প্রস্তুতির সময়ে মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারছ না। এই চিন্তার হাত ধরে প্রচণ্ড ভয়ও করছে আসন্ন পরীক্ষা নিয়েও। এই দুইটি আসলে চূড়ান্ত অবস্থান। যার একপিঠে অতিরিক্ত চিন্তা থেকে পড়তে না পারা, আর অন্য পিঠে একদম চিন্তা নেই। তাই পড়াশোনা প্রস্তুতিতে জাগে উদাসীনতা।
যে অনুভূতি মনের মধ্যে অনর্গল চলছে, তার নাম চিন্তা। তাই চিন্তাবিহীন পরীক্ষা কিন্তু সাংঘাতিক ব্যাপার। এখনই দুশ্চিন্তা নাম দিও না। আসলে এই চিন্তা কিন্তু তোমায় কিছু বলতে চায়। ওকে প্রশ্ন করো। প্রয়োজনে তাকে বারংবার প্রশ্নের উত্তর দাও। ওকে পাল্টা জানান দাও যে, তুমি কীভাবে প্রস্তুত। এ ভাবে তোমার দুশ্চিন্তার জোরালো স্বর কিছুটা প্রশমিত হবে। আর একটুখানি চিন্তা থাকলে তাতে সমস্যার কিছু নেই। বরং অল্প-বিস্তর চিন্তা তোমাকে রোজ নিয়মিত পড়তে সাহায্য করবে। প্রস্তুতির ইচ্ছা বজায় রাখবে।
তোমারা যারা এ বার বোর্ডের পরীক্ষায় বসছ তোমাদের সকলকে আমার আগাম শুভেচ্ছা। পরীক্ষা নির্বিঘ্নে কাটুক। ও হ্যাঁ, তোমাদের যদি পরীক্ষা বা মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও প্রশ্ন থাকে তাহলে তা লিখে আমাদের ইমেইল করতে পারো। তবে শুধু ছাত্রছাত্রীরা নন, যে কেউই এই বিভাগে মানসিক স্বাস্থ্য এর প্রশ্ন লিখে পাঠাতে পারেন নিঃসঙ্কোচে। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করব সেই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সামাধানের পথ আলোচনা করতে।