বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


ছবি: প্রতীকী।

সোমবারও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে কলকাতায় ঝড়বৃষ্টি চলবে। আবহাওয়া দফতর আট জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। সোমবার সকালেই এমনটাই জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। এই দুই জেলায় ঝড়ের গতি থাকতে পারে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। সাময়িক ভাবে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার পর্যন্তও পৌঁছে যেতে পারে। মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় জেলায় সোমবার ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৯: বাইনাচ-গানেরও কদর ছিল ঠাকুরবাড়িতে

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫০: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গরিয়া, গোলপাতা ও হেতাল

আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই আট জেলায় ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৫: সুর হারানো হারানো সুর

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৪: অপরাজিতা রাধারাণী

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রেমাল রবিবার রাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে প্রবল বেগে আছড়ে পড়েছে। সাগর দ্বীপ এবং খেপুপাড়ার মধ্যবর্তী অংশে বাংলাদেশের মোংলার কাছ থেকে ঝড় রেমাল স্থলভাগে ঢুকেছে। ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলেছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কলকাতা বহু এলাকায় গাছ পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়েও বিপত্তি ঘটেছে কোনও কোনও জায়গায়। বাড়ির কার্নিশ ভেঙে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের অনেক জায়গায় জলমগ্ন। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুধু কলকাতাতেই রাতে ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে! এর এর সোমবার সকাল থেকে শহরে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচলও বন্ধ।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৭: সারদা মা ও তাঁর রাধু

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৪: প্রজাদের আনন্দ, স্বস্তি, আশ্রয় রাম—তাঁর কাছে প্রজাদের আনুগত্যের স্থান কোথায়?

হাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দক্ষিণবঙ্গে মঙ্গলবার থেকে দুর্যোগ কাটতে পারে। এও বলা হয়েছে, সোমবারের পর থেকেই বৃষ্টি কমবে। আপাতত মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলাতেই ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। সোমবার সকালেই রেমাল তার শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এখন বাংলাদেশের উপরে অবস্থান করছে। ধীরে ধীরে সে রেমাল উত্তর-পূর্বে সরে যাচ্ছে। সোমবারও দক্ষিণবঙ্গের উপকূল এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সঙ্গে চলছে বৃষ্টি।

Skip to content