বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫


ছবি: প্রতীকী।

বিদায় নিচ্ছে শীত। মূলত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরে কনকন ঠান্ডার আমেজ আর পাওয়া গেল না। এ বছর ঠান্ডা পড়ার আগেই শীত বিদায়ের ক্ষণ উপস্থিত। এ নিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে তাপমাত্রার পারদ ফের কিছুটা কমতে পারে। যদিও ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়েই এ বছরের মতো শীত বিদায় নেবে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছিল ২১.২ ডিগ্রি, অর্থাৎ স্বাভাবিকের থেকে ৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। আবার বৃহস্পতিবার দিনেরবেলায় সর্বোচ্চ পারদ ছিল ২৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। হাওয়া দফতর সূত্রে খবর, মূলত পশ্চিমি ঝঞ্ঝার জেরেই তাপমাত্রার পারদ বেড়ে গিয়েছে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই বাংলায় উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে বাধা পাচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিনে বাংলায় নতুন করে আরও পশ্চিমি ঝঞ্ঝা প্রবেশ করতে পারে।
আরও পড়ুন:

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪৭: মহারাজা বীরচন্দ্রের হাতে এসেছিল তরুণ কবি রবীন্দ্রনাথের ‘ভগ্ন হৃদয়’

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৯: কী ছিল চিঠিতে, উত্তর লিখতে গিয়ে উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের হাত কেঁপেছিল

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আপাতত দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুকনো থাকবে। অন্যদিকে কুয়াশার জন্য একাধিক জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, নদিয়া এবং পুরুলিয়া। এই সব জেলার আকাশে কুয়াশা থাকতে পারে। ফলে সকালের দিকে দৃশ্যমানতা কমতে পারে। এর মধ্যে ঘন কুয়াশা থাকবে বাঁকুড়া, বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে। আপাতত আগামী পাঁচ দিনে তাপমাত্রার তেমন পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮৫: সুন্দরবনের পাখি — মাছরাঙা

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৮: প্রতিভা দেবী—ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী

দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও আবহাওয়া মূলত শুকনোই থাকবে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং এবং কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায়। এদিকে, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় শুক্রবার ঘন কুয়াশার সতর্কতা রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর। শনিবার ঘন কুয়াশা থাকতে পারে মালদহ এবং দক্ষিণ দিনাজপুরেও। হাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই জেলাগুলিতে ১৫০ থেকে ৫০ মিটারের মধ্যে দৃশ্যমানতা নেমে যেতে পারে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৪: শিকারী ও ‘শিকার’

মাই নেম ইজ গওহর জান—ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতে অঘোষিত বিপ্লব এনেছিলেন এই শিল্পী

আবহবিদেরা মনে করছেন ইতিমধ্যেই শীতের বিদায়পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে জোড়া পশ্চিমি ঝঞ্ঝার প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ১ ফেব্রুয়ারি এবং ৩ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমি ঝঞ্ঝা উত্তর-পশ্চিম ভারতে প্রবেশ করবে।

Skip to content