
ছবি: প্রতীকী।
কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এক দিনে অনেকটা কমে গিয়েছে। এক ধাক্কায় প্রায় সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে গেল। সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও নেমে গিয়েছে স্বাভাবিকের চেয়ে নীচে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা এমন থাকবে। তার পর আবার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়বে।
আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট বলছে, শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি। অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে যা ৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। গত শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ছিল ৩২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদও কমেছে। তাপমাত্রা নেমে হয়েছে ২০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। ঝড়বৃষ্টির জেরেই পারদ পতন হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় গত বৃহস্পতিবার থেকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যদিও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কোনও কোনও এলাকায় দমকা হাওয়াও ছিল। কলকাতাতেও বৃষ্টি হয়েছে বিক্ষিপ্ত ভাবে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবারও একই পূর্বাভাস রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবারও একই পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০৭: লুকাবো বলি, লুকাবো কোথায়?

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০৬: ভারতীয় পারিবারিক জীবনে স্নেহময় জ্যেষ্ঠর ভূমিকায় রামচন্দ্র কতটা আকর্ষণীয়?
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও খানিকটা কমতে পারে। তাপমাত্রা আরও তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমবে। এও জানানো হয়েছে, পরের ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার তেমন কোনও বদল হবে না। যদিও তার পর থেকে ফের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:

এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৫৪: রবীন্দ্রনাথের ‘মুকুট’ ত্রিপুরার ইতিহাসাশ্রিত গল্প

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৯: সে এক স্বপ্নের ‘চাওয়া পাওয়া’
রবিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টি হবে। রবিবার থেকে রাজ্যের সব প্রান্তে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। আর কোথাও তেমন বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। রাজ্যের সব জেলায় রবিবার পর্যন্ত হলুদ সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯২: দুর্গা টুনটুনি

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-২০: জ্ঞান ও অজ্ঞান
বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প বাংলার উপকূল হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করেছিল। সেই সঙ্গে অসম-সহ বিভিন্ন দিকে অক্ষরেখা সক্রিয় ছিল। তাই পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বর্ষণের অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে সেই সম্ভাবনা কেটে গিয়েছে। আবার কলকাতায় তাপমাত্রার পারদ বাড়তে চলেছে ।