সোমবার ২৫ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী।

আগেই পূর্বাভাস ছিলই। আজ রবিবার সকালে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি শুরু। কলকাতার আকাশে যেন রাতের অন্ধকার। শহরতলির কোনও কোনও এলাকায় বৃষ্টি ছলছে। কিছু কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। অবশেষে একটানা অসহনীয় গরমে পরে কিছুটা হলেও স্বস্তির বার্তা বয়ে এনেছে বৃষ্টি।
বৃষ্টি নিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছিল, দক্ষিণবঙ্গের সাতটি জেলায় রবিবার ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এমনকি, আজ বিকেলের দিকে কালবৈশাখীও হতে পারে। যদিও আর বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল না। সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মেঘ গর্জন দিয়ে ডাকছে। কালো মেঘের ঘনঘটায় সকালেও ঘরে আলো জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। হুগলির একাধিক এলাকায় সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি চলছে।
আরও পড়ুন:

বাঙালির মৎস্যপুরাণ, পর্ব-৯৮: মাছচাষে সার প্রয়োগের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা প্রয়োজন

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৫৭: সাধারণের প্রতি পাণ্ডবদের কৃতজ্ঞতার প্রকাশ কোন মহাভারতীয় শিক্ষা?

সকালে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, দুই থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, নদিয়া জেলার কিছু এলাকায়। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে পারে। একই একই পূর্বাভাস রয়েছে হুগলি, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রেও। ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমানেও।

হাওয়া দফতর শনিবারই কালবৈশাখীর জন্য সতর্ক করেছিল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, পুরুলিয়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমানকে। ওই জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও জানানো হয়েছিল। রবিবার দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বৃষ্টি হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ হবে।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-১৮: মোহিতকুমারী এক মহিলা আত্মজীবনীকার

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪০: মা সারদার নিজবাটি

কলকাতা-সহ দক্ষিণের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির জেরে কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবারের পর দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। গত কয়েক দিনে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলার তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিল। একাধিক জেলায় তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। যদিও আবহাওয়া দফতর শনিবার জানায়, একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে উত্তর বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন অঞ্চলে। এর জেরে বায়ুমণ্ডলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণ জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রবেশ করছে। হাওয়া দফতরের বক্তব্য, জলীয় বাষ্পের অভাবে এবং পশ্চিমাংশ থেকে আসা শুষ্ক হাওয়া এবং গরম বায়ু, এই তিন কারণে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না। বলে জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। কিন্তু ঘূর্ণাবর্তের ফলে নতুন করে বৃষ্টির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

Skip to content