বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর, ২০২৪


কলকাতায় বৃষ্টি

ছবি: প্রতীকী।

অবশেষে স্বস্তি। পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করেছে। নির্ধারিত সময়ের থেকে প্রায় ছ’দিন আগে বর্ষা ধুকেছে। এ প্রসঙ্গে মৌসম ভবন জানিয়েছে, শুক্রবার উত্তরবঙ্গের অনেকাংশেই মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে। উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৯ সালে শেষ বার রাজ্যে মে মাসে বর্ষা প্রবেশ করেছিল বর্ষা।
সরকারিভাবে ৬ জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢোকে। ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গে ১২ জুন বর্ষা প্রবেশ করেছিল। এ বার মে মাসের শেষ দিনে রাজ্যে বর্ষা ঢুকল। ২০০৯ সালের ২৫ মে বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করেছিল। ২০০৬ সালে ২৭ মে বর্ষা এসেছিল। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, চলতি বছরে রেমালের জন্য কয়েকদিন আগেই বর্ষা ঢোকার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৭: সারদা মা ও তাঁর রাধু

এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৫০: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—গরিয়া, গোলপাতা ও হেতাল

হাওয়া দফতর জানিয়েছে, এখন কয়েক দিন উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি চলবে। আগামী রবিবার পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং উত্তর দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টি চলবে। এর মধ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ারে। মঙ্গলবার পর্যন্ত কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় বৃষ্টি চলবে। ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৫: সুর হারানো হারানো সুর

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯০: সাহেবের বেশ না-পরে ফিরেছিলেন সাহেবের দেশ থেকে

এদিকে বাংলায় বর্ষা প্রবেশ করলেও, উত্তর, পশ্চিম এবং মধ্য ভারত তীব্র গরমে জেরবার। বেশ কিছু জায়গায় তাপপ্রবাহ চলছে। কোনও কোনও এলাকায় তাপমাত্রা ৪৮ ডিগ্রি পৌঁছে গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৪৮ ঘণ্টায় বিহারে তীব্র গরমে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১০ জনই ভোটকর্মী ছিলেন।
আরও পড়ুন:

দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৪: অপরাজিতা রাধারাণী

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৩: এক্সপায়ারি ডেটের ওষুধ খাবেন?

এই অসহনীয় গরমে ওড়িশায় ১০ জন, ঝাড়খণ্ড এবং রাজস্থানে পাঁচ জন করে মারা গিয়েছেন। এক জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুরে। আগে দিল্লিতে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে বিহারের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছিল। যদিও চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, ওই ব্যক্তির জ্বর হয়েছিল।

Skip to content