ছবি: প্রতীকী।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় গত কয়েক দিন ধরেই কমবেশি বৃষ্টি চলছে। শুক্রবার কলকাতার একাধিক জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়েছে। আজ শনিবারও কমবেশি বৃষ্টি হচ্ছে। এদিকে, শনিবারও ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে।
শনিবার কলকাতা-সহ দক্ষিণের সব ক’টি জেলাতেই ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। হাওয়া দফতর জানিয়েছে, অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। সেখানে ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন:
অসমের আলো অন্ধকার, পর্ব-৩২: পাখিদের আত্মহত্যার ঠিকানা জাতিঙ্গা
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬২: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— সুখদর্শন ও হুড়ো
আলিপুর আবহাওয়া দফতর রবিবার কলকাতায় বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও কোনও সতর্কতা জারি করেনি। তাই বৃষ্টি কিছুটা কমবে বলে হাওয়া দফতর মনে করছে। এদিকে রবিবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে। ভিজতে পারে দুই বর্ধমান, বীরভূম, মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এদিকে সোমবার শুধু পুরুলিয়া, বীরভূম এবং পশ্চিম বর্ধমানের জন্য বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া দফতর।
আরও পড়ুন:
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৫: পতন আসন্ন হলেই সবার বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়
দশভুজা, পর্ব-৩৬: মৃণালিনী— রবি ঠাকুরের স্ত্রী-র লেখকসত্তা
এদিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। হাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার শুধু দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার কালিম্পঙে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। উত্তর বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সেটি উত্তরবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের উপর রয়েছে। নিম্নচাপ অঞ্চল আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের দিকে আরও এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি রাজস্থান থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি মৌসুমি অক্ষরেখা অবস্থান করছে। ওই অক্ষরেখা নিম্নচাপ অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চলে গিয়েছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির অনুকূল তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। উত্তর বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছিল। বর্তমান সেটি উত্তরবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের উপর রয়েছে। নিম্নচাপ অঞ্চল আগামী ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমে ঝাড়খণ্ডের দিকে আরও এগিয়ে যাবে। পাশাপাশি রাজস্থান থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত একটি মৌসুমি অক্ষরেখা অবস্থান করছে। ওই অক্ষরেখা নিম্নচাপ অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে চলে গিয়েছে। এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির অনুকূল তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৫৯: শ্রীমায়ের ভক্তের গ্রামে তীর্থদর্শন
বৃষ্টির জন্য গরম কিছুটা কমেছে। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি। অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারড ছিল ২৮.৪ ডিগ্রি, অর্থাৎ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। এই মুহূর্তে উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার। রবিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ষে কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত সমুদ্র উত্তাল থাকবে। এই মুহূর্তে উত্তর বঙ্গোপসাগরের উপরে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সেই সঙ্গে দমকা হাওয়া বইছে ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার। রবিবার পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে সমুদ্র উত্তাল থাকবে। ষে কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে মানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৮: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—আমি রূপে তোমায় ভোলাব না…/৩
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’
সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের শনিবারও মাছ ধরতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকায় মৎস্যজীবীরা বেশি দূর যেতে পারেনি। মাছের ট্রলার ভিড় করতে শুরু করেছে কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা এবং ফ্রেজারগঞ্জের মৎস্যবন্দরগুলিতে। এই রকম আবহাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীদের ক্ষতি হচ্ছে। কারণ বৃষ্টির সময়ে সমুদ্রে মাছ তুলনায় বেশি পাওয়া যায়।