ছবি: প্রতীকী।
সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে! উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণাবর্তের জন্য দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই। গোটা সপ্তাহ জুড়েই চলতে পারে বৃষ্টিপাত। তার মধ্যে আবার ঝড়বৃষ্টি নিয়ে নতুন পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস আগে জানিয়েছিল, ২৩ মে-র মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়েও পরিণত হতে পারে। বর্তমানে সাগরে সেই ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি রয়েছে বলেই জানিয়েছেন আবহবিদেরা।
আরও পড়ুন:
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৯: বাইনাচ-গানেরও কদর ছিল ঠাকুরবাড়িতে
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৩: বাবু ডাক্তার ও ‘ডাক্তারবাবু’
আলিপুরের হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২২ মে নিম্নচাপ বলয় তৈরি হতে পারে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে। পরে সেটি উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। আরও শক্তি বৃদ্ধি করে সেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার মতো অনুকূল পরিস্থিতিও সাগরে তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে বেশ কিছু ঢেউয়ের দিকে নজর রাখছে হাওয়া অফিস। এ ছাড়াও সমুদ্রপৃষ্ঠে যে তাপমাত্রা, তা-ও ঘূর্ণিঝড় তৈরির অনুকূলে রয়েছে। তবে বর্ষা ঘূর্ণিঝড়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু পৌঁছেছে, যার প্রভাবে দেশে বর্ষা হয়। তবে মৌসুমি বায়ু ঘূর্ণিঝড় তৈরির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে বলেও আবহবিদেরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬৩: মহাভারতে উল্লিখিত মিথ্যাশ্রয়ের প্রাসঙ্গিকতা কী আজও আছে?
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৬: শ্রীমায়ের দুই ভ্রাতৃবধূর কথা
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের দুই ২৪ পরগনা এবং দুই মেদিনীপুরে ভারী বর্ষণ শুরু হতে পারে। মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিও। এই পরিস্থিতিতে আবহবিদেরা আগামী শুক্রবার থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছেন।
সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবার দক্ষিণের সব ক’টি জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গে। কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়বৃষ্টি বেশি হতে পারে। এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। বৃষ্টি চলবে বুধবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি কমতে পারে দক্ষিণে। এর পর শুক্রবার থেকে আবারও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বলয়ের জেরে ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে রাজ্য।
সোমবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেই সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সোমবার দক্ষিণের সব ক’টি জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ইতিমধ্যেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গে। কমলা সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, সোমবার নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়বৃষ্টি বেশি হতে পারে। এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে হাওয়ার বেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত। বৃষ্টি চলবে বুধবার পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি কমতে পারে দক্ষিণে। এর পর শুক্রবার থেকে আবারও বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বলয়ের জেরে ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে রাজ্য।
আরও পড়ুন:
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৯: ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—ওড়া, কেওড়া, চাক কেওড়া ও কৃপাল
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২৩: তরু দত্ত— এক আনন্দ বিষাদের তরুলতা
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে সোমবার এবং মঙ্গলবার একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও হাওয়ার বেগ থাকবে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার। কোথাও বেগ বেড়ে হতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটারও। এই দু’দিনে ভারী বৃষ্টি হতে পারে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে। এই জেলাগুলিতে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর।