শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


আদালতে মান্যতা পেল না পার্থের অসুস্থতার যুক্তি। আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। সেই সঙ্গে বিচারকের নির্দেশ, ইডি আধিকারিকরা প্রয়োজন মতো জেলে গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গত ২২ জুলাই তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। পরের দিনই অল্প সময়ের ব্যবধানে দু’ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পার্থর বাড়ি থেকে ঠিক কী উদ্ধার করা হয়েছে বিস্তারিত জানা না গেলেও অর্পিতার দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা, গয়না, বিদেশি মুদ্রা ইত্যদাদি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
এই ঘটনার পর পার্থর মন্ত্রিত্ব এবং দলীয় পদ দুই-ই যায়। পার্থ ও অর্পিতার পর দুটি পর্যায়ে মোট ২৮ দিন জেল হেফাজতে ছিলেন। পার্থ প্রেসিডেন্সি জেলে, আর অর্পিতা আলিপুর মহিলা সংশোধাগারে রয়েছেন।
বুধবার আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে পার্থের আইনজীবীরা জানান, ‘‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ। তিনি প্রভাবশালীও নন। কোনও পদেও নেই। ফলে পার্থকে দেওয়া হোক জামিন।’’ পাশাপাশি তাঁর বাড়ি থেকেও কোনও কিছুই পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর জামিন পেতে অসুবিধা নেই। আদালতে পার্থের আইনজীবী এও জানান, পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে কোনও ভাবে জামিন চাইছেন। কারণ তিনি অসুস্থ। তেমন প্রয়োজন হলে তাঁকে বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখা হোক। তাঁর উপযুক্ত চিকিৎসারও প্রয়োজন। সেরকম হলে বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।
পাল্টা ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, আরও ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। পাশাপাশি ১০০টি অ্যাকাউন্ট এখনও আতশকাচের তলায় আছে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থারও সন্ধান মিলেছে। ইডি-র বক্তব্য, ওই সব ভুয়ো সংস্থার সাহায্যেই সহজে কালো টাকা সাদা করা হতো। সেই সঙ্গে ইডি’র আইনজীবী জানিয়েছেন, বিপুল সম্পত্তির উৎসের পর্দা ফাঁস করতে পার্থ-অর্পিতাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। তাই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে এখনই জামিন দেওয়া যাবে না। এদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের অসুস্থতার যুক্তিতে জামিনের আবেদন করলেও অর্পিতা জামিনের আবেদন করেননি।

Skip to content