নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গেল একটি সারবোঝাই লরি। শনিবার রাত ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার খিদিরপুরের বাবুবাজারে। বাবুবাজারে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় লরিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সোজা গিয়ে একটি যাত্রিবাহী গাড়ির উপর উল্টে পড়ে। যাত্রিবাহী গাড়ি একেবারে দুমড়ে-মুচড়ে খেলনা গাড়িতে পরিণত হয়। ক্রেন এনে সেই গাড়িটিকে লরির নিচে থেকে তোলা হয়। কাটাপুকুরের দিক থেকে খিদিরপুরে আসার সময় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। এই দুর্ঘটনায় ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর রামপেয়ারে রামের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রামকিঙ্কর রাম। বয়স ৩৮ বছর। প্রত্যক্ষদর্শীদের জানিয়েছেন, সারবোঝাই লরিটি অতিরিক্ত মাল নিয়ে যাচ্ছিল।
দুর্ঘটনার পর এসএসকেম হাসপাতালে যান কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখান তিনি বলেন, “পোর্টের ভিতর দিয়ে গোডাউন থেকে সরকারের একটি রাস্তা আছে। ওইখান দিয়েই যাচ্ছিল ছেলেটি। আমাদের কাউন্সিলর রামপেয়ারে রামের ছেলে রামকিঙ্কর। বয়স ৩৮ বছর। লোডেড ১০ চাকার লরি রামকিঙ্করের গাড়িতে উঠে যায়। গাড়ি সুদ্ধ পিষে গিয়েছে বাচ্চা ছেলে।”
দুর্ঘটনার পর এসএসকেম হাসপাতালে যান কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখান তিনি বলেন, “পোর্টের ভিতর দিয়ে গোডাউন থেকে সরকারের একটি রাস্তা আছে। ওইখান দিয়েই যাচ্ছিল ছেলেটি। আমাদের কাউন্সিলর রামপেয়ারে রামের ছেলে রামকিঙ্কর। বয়স ৩৮ বছর। লোডেড ১০ চাকার লরি রামকিঙ্করের গাড়িতে উঠে যায়। গাড়ি সুদ্ধ পিষে গিয়েছে বাচ্চা ছেলে।”
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামকিঙ্কর কাটাপুকুর মর্গের কাছাকাছি একটি গ্যারাজে ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি নিজে গাড়ি চালিয়ে আসছিলেন। সেই সময়ই উল্টোদিক থেকে এগিয়ে আসছিল সারবোঝাই ওই ঘতক লরিটি। অভিযোগ, লরিটিতে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি সার বোঝাই ছিল। রাস্তার অবস্থাও ছিল বেহাল। এতেই সারবোঝাই লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রামকিঙ্করের গাড়ির উপর হুড়মুড়িয়ে পড়ে।
উল্লেখ্য, শনিবার দুর্ঘটনাটি ঘটার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। বাইরে থেকে দেখা যায়, কেউ আটকে রয়েছেন। গাড়িটি গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে সবাইকে বের আনা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, এখানে রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ, তাই দুর্ঘটনা প্রায় লেগেই থাকে। তাঁরা এও বলেন, প্রশাসনকে বারবার জানালেও সমস্যার সমাধান হয়নি।