শুক্রবার ২২ নভেম্বর, ২০২৪


গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়ি এবং তাঁর নিউটাউনের অফিস মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ১৭.৩২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে ইডি। শনিবার ইডি সূত্রে এই খবর যান গিয়েছে। উদ্ধার হওয়া টাকা গুনতে আটটি টাকা গোনার যন্ত্র আনা হয়। অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি, উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে যেতে আনা হয়েছে ১০টি ট্রাঙ্ক।
ইডি শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে কলকাতার ছ’টি জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে। তবে সেই অভিযান শুরুর বেশ কয়েক ঘণ্টার পরও আমির খানের কাছে ঠিক কত পরিমাণ টাকা আছে, তা জানা যাচ্ছিল না। দুপুরে ইডি জানিয়ে দেয়, আমিরের বাড়ি থেকে প্রায় সাত কোটি টাকা মিলেছে। এর পর জানা যায়, সাত নয় আট কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। যদিও রাতে সেই অঙ্ক বেড়ে হয়েছে ১৭ কোটি টাকা।
সূত্রের খবর, আমিরের দোতলার বাড়ির একটি ঘরের খাটের তলায় অসংখ্য প্লাস্টিকের থলিতে ভরা ছিল থরে থরে নোটের বান্ডিল। তাতে ৫০০ এবং ২০০০ টাকা নোট রাখা ছিল। ওই টাকা গুনতে স্টেট ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:

শম্ভু, শম্ভু, শিব মহাদেব শম্ভু, খুদার ইবাদত যাঁর গলায় তাঁর আর কাকে ভয়?

গৃহিণীদের মধ্যে বইয়ের নেশা বাড়াতে কাঁধে ঝোলা নিয়ে ঘুরে বেড়ান রাধা, ‘চলমান পাঠাগার’ তাঁর পরিচয়!

শনিবার ফের পাহাড়প্রমাণ টাকার সন্ধান পায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র আধিকারিকেরা গার্ডেনরিচে পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে এই বিশাল অঙ্কের টাকা উদ্ধার করেন।
বিশেষ সূত্রের জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ইডির আধিকারিকেরা নিউটাউন, পার্ক স্ট্রিট, মোমিনপুরের বন্দর এলাকা-সহ গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন। জানা গিয়েছে, মোবাইল অ্যাপ প্রতারণা সংক্রান্ত একটির মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি।
ইডি দুপুর নাগাদ জানায়, আমির খানের দোতলার বাড়ি থেকে আট কোটি টাকা উদ্ধার কোরা হয়েছে। ওই বাড়ির একটি ঘরের খাটের তলায় প্লাস্টিকের থলিতে ৫০০ এবং ২০০০ টাকাড় নোটের বান্ডিল ভরে রাখা ছিল। ওই বিশাল অঙ্কের টাকা গুনতে ব্যাঙ্কের আধিকারিকদের সাহায্য নেওয়া হয়।
শনিবার ইডি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি পার্ক স্ট্রিট থানায় নিসার আহমেদ খানের ছেলে আমির খানের বিরুদ্ধে প্রতারণা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯-সহ প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ-সহ একাধিক ধারা আনা হয়েছে। মোবাইল গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে আমির-সহ একাধিক ব্যক্তি গ্রাহকদের প্রতারণা করেছেন। শনিবার সকাল এই মামলার তদন্তে ইডি তল্লাশি অভিযান শুরু করে আমিরের গার্ডেনরিচের বাড়ি ও তাঁর নিউটাউনের অফিস। গার্ডেনরিচেড় বারই ছাড়াও নিউটাউনের অফিস থেকেও বীষাল অঙ্কের টাকা উদ্ধার করা হয়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ই-নাগেটস’ নামে একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপের সাহায্যে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা হাতাতেন আমিররা।

Skip to content