অয়ন মণ্ডল।
অয়ন মণ্ডল খুনের ঘটনায় বান্ধবীর ভাইয়ের আরও এক বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই নিয়ে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হল। তদন্ত চালু হাওয়ার পর অয়নের বান্ধবীর ভাইয়ের ওই বন্ধু পালিয়ে যান। তাঁকে ওড়িশার জাজপুরে থাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গ্রেফতার হওয়া ওই যুবক এবং তাঁর এক বন্ধু দু’হাজার টাকা দিয়ে কুঁদঘাট থেকে ‘ছোটো হাতি’ ভাড়া করে। ওই ছোটো হাতিতেই করেই অয়নের মৃতদেহ মগরাহাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পুলিশ শুক্রবার রাতে অয়নের বান্ধবী, তাঁর মা রুমা জানা ও ভাইকে গ্রেফতার করে। পর দিন অর্থাৎ শনিবার বান্ধবীর বাবা দীপক জানা, বান্ধবীর ভাইয়ের বন্ধু ও গাড়ির চালক গ্রেফতার হয়। আজই সবাইকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
ছোটদের যত্নে: কোন সময় গর্ভধারণ করলে সুসন্তান লাভ সম্ভব? নব দম্পতির মা হওয়ার আগের প্রস্তুতির পরামর্শে ডাক্তারবাবু
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৪: কবে আসবে তুমি মননের সে ‘সহযাত্রী’? [০৯/০৩/১৯৫১]
অয়ন দশমীর রাতে বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বের হন। অভিযোগ, তরুণ মত্ত অবস্থায় বান্ধবীর বাড়ি যান অয়ন। বাড়ি থেকে বেরনোর পর পর তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। জানা গিয়েছে, দশমীর রাতেই বান্ধবীর হরিদেবপুরের নতুনপল্লির বাড়িতে অয়নকে খুন করা হয়। অয়নকে ইট জাতীয় কিছু ভারী বস্তু দিয়ে মারা হয়। খুনের পর ছোটো হাতিতে করে মৃতদেহ মগরাহাটের কাটপোলের কাছে করিমাবাদে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ অয়নের মৃতদেহ ওই জায়গা থেকেই উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন:
ইংলিশ টিংলিশ: One word expressions কী? জেনে নিন একঝলকে
শাশ্বতী রামায়ণী, পর্ব ১৯: রাজ্যাভিষেকের অপেক্ষায় অধীর অযোধ্যাবাসী
এদিকে, প্রাথমিক তদন্তের পুলিশের সন্দেহের তালিকায় চলে আসে অয়নের বান্ধবী এবং তাঁর পরিবার। এক এক করে পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতারও করেছে। অন্যদিকে, অয়নের এক বন্ধুর কথায়, অয়ন ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। শুধু বান্ধবী নন, তাঁর মায়ের সঙ্গেও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ছিলেন তিনি, এমনটাই জানিয়েছেন অয়নের ওই বন্ধু। ছেলেকে মা ও মেয়ে দু’জনেই ভালোবাসত। অয়ন তো একটাই ছেলে। এক্ষেত্রে সে কী করবে? সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন অয়ন মণ্ডলের বাবা। তিনি এও বলেন, ‘‘ছেলের বান্ধবীর বাবা কোনও ভাবে জানতে পারেন অয়নের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। তিনি ভেবেছিলেন অয়নকে সরিয়ে দিলে আমার সংসার থাকবে সুখে। এই জন্যই ছেলেকে খুন করা হয়েছে। মা ও মেয়ে দুজনই অয়নকে ভালোবাসত। ছেলে কী করবে? একটাই তো ছেলে, দু’জনকে একসঙ্গে কী করে চালাবে?’’পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।