আক্ষরিক অর্থে পথ-হেঁশেল না হলেও, এই একটি ক্লাউড কিচেনর কথা না বলে পারলাম না। তার নামটি, সুইট ক্র্যাকার। তা, হঠাৎ ক্লাউড কিচেন কেন? বলছি। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ানের আয়োজিত সংস্কৃতিতে অনেক খাবারের স্টলের মধ্যে এই একটিতে এসে ঠেকেছিলাম বন্ধুর দল।
চোখ গিয়ে পড়েছিল নীল রঙের কাপকেক আর চকোলেট মুসের ওপর। চোখ দিয়ে আরেকটু স্ক্যান করতেই দেখতে পেলাম চিকেন পাটিসাপটা। ব্ল্যাক ফরেস্ট কেকের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে দেখে স্টলে কর্মরত এক ভদ্রমহিলা বলে ওঠেন, “মাছের কচুরিটা ট্রাই করে দেখতে পারো”। ব্যস। দু’ প্লেট মাছের কচুরি আর আলুর-দম অর্ডার দিলাম বন্ধুরা মিলে। সবচেয়ে ভালো ব্যাপার, অর্ডার দেওয়ার পর কচুরি বেলে, গরম গরম ভেজে পরিবেশন করেন দোকানের কর্মরত মানুষগুলি। আরেকটু কথা বারতেই জানা গেল তাঁদের পরিচয়—সাহু পরিবার। বেকারি, স্ন্যাক্স ও ফিউশান ফুড নিয়ে তাঁদের এই হেঁশেল।
আরও পড়ুন:
কলকাতার পথ-হেঁশেল, পর্ব-৩০: নরম পাক আর কড়া পাক!
এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-৩: ত্রিপুরা সমৃদ্ধিতে রাজা বিজয় মাণিক্যের ভূমিকা অপরিসীম
প্রতিটি আইটেমই ‘এক সে বড়কর এক’। এছাড়াও মাংসের কিমা, ঘুগনি বানান ওরা, আছে রকমারি চকোলেট আর ডেসার্টের অপশন। আছে চিকেন পাতুরি, কড়াইশুঁটির কচুরি, এবং ফ্রাইড রাইস-চিলি চিকেনের কম্বো মিল। এছাড়াও কেকের অর্ডার নেয় সাহু পরিবারের চালানো সুইট ক্র্যাকার। আরেকটি দুর্দান্ত ব্যাপার হল এঁরা সম্পূর্ণ নিরামিষ কেকও বানান এবং তা গোটা কলকাতা শহরে ডেলিভেরি দেন।
আরও পড়ুন:
পর্দার আড়ালে, পর্ব-৫০: অর্ধশতাব্দী ছুঁলো ‘অমানুষ’
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪০: স্বভাবে অনন্য সুন্দরবনের বাঘ
স্ন্যাক্স কম বেশি একশো টাকা। কাপকেকের দাম পঁয়তাল্লিশ টাকা আর চকোলেটের দাম শুরু তিরিশ টাকা থেকে। চার-পিস মাছের কচুরি আর সাথে আলুরদম পড়েছিল আশি টাকা। অবশ্য কাস্টম অর্ডার থাকলে দামে একটু আধটু উনিশ-বিশ হবেই।
আরও পড়ুন:
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৩৭: শ্যামাসুন্দরী দেবীর লোকান্তর গমন
বিশ্বসেরাদের প্রথম গোল, পর্ব-৯: ফেরেন্তস পুসকাস: দুটি দেশের হয়েই বিশ্বকাপ খেলেছেন
৮৩৩৫০৭৬৩৫৩ অথবা ৮২৪০৮১৮৮৪৪, এই দুটি নম্বরের মধ্যে যেকোনও একটিতে ফোন করলেই পেয়ে যাবেন তালিকা আর প্রাইসিং-এর হদিশ। আর নাহলে আরেক সংস্কৃতির জন্যে অপেক্ষা করুন। সুইট ক্র্যাকার সংস্কৃতির হট-ফেভারিটের মধ্যে একটি যে!
* কলকাতার পথ-হেঁশেল (kolkata-street-foods): শ্রুতিদীপ মজুমদার, (Shrutideep Majumder) ভোজনরসিক।