রবিবার ১০ নভেম্বর, ২০২৪


ফরাসি সন্ন্যাসিনী লুসিল রাঁদোঁর।

১১৮ বছর বয়সে মৃত্যু হল ফরাসি সন্ন্যাসিনী লুসিল রাঁদোঁর। তিনি দু’ দু’টি বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী থেকেছেন। এমনকি, তাঁর জীবদ্দশায় ২৭ জন রাষ্ট্রপ্রধানকে দেখেছেন। ঘুমের মধ্যেই মারা গিয়েছেন বিশ্বের এই প্রবীণতম মানুষ। ১৯৪৪ সালে লুসিল সন্ন্যাস গ্রহণ করেন। সেই থেকেই তিনি সিস্টার আঁদ্রে নামেই পরিচিত।
লুসিলের জন্ম ১৯০৪ সালে, দক্ষিণ ফ্রান্সে। তাঁর পরিবার ছিল প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মাবলম্বী। তবে লুসিলের বরাবরই ঝোঁক ছিল ক্যাথলিক ধর্মের দিকে। মানুষের সেবায় তিনি যুক্ত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন একটি নার্সিং হোমে কাজ করছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সেই নার্সিং হোমের মুখপাত্র ডেভিড টাভেলা বলেন, ‘‘তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীর শকাহত। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে তাঁর ভাইদের কাছে যেতে চাইছিলেন। তাই মৃত্যু তাঁর কাছে স্বাধীনতা।’’

ভাইদের খুব ভালোবাসতেন আঁদ্রে। এ কথা তিনি বার বার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। এক সাংবাদিকক তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর জীবনের সব থেকে আনন্দের মুহূর্ত কী? জবাবে তিনি জানিয়েছিলেন, যখন তাঁর ভাইয়েরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে ঘরে ফিরেছিলেন, সেটাই সব থেকে আনন্দের ঘটনা ছিল।
আরও পড়ুন:

ফেব্রুয়ারিতেই ইস্তফা দিচ্ছেন নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা, নেপথ্যে বিয়ে না কি অন্য কোনও চাপ?

এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৩: টক খেওনা ধরবে গলা

সিস্টার আঁদ্রের এক পরিচিত জানিয়েছেন, শেষ বয়সে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ভালো করে হাঁটা চলা করতে পারতেন না। হুইলচেয়ারে চলাফেরা করতেন। তখনও অন্যদের সেবা করে গিয়েছেন সিস্টার আঁদ্রে। গত বছর এপ্রিলে সংবাদ সংস্থা এএফপিকে একটি সাক্ষাৎকারে সিস্টার আঁদ্রে জানিয়েছিলেন, ‘‘লোকে বলে পরিশ্রম মানুষকে মেরে ফেলে। কিন্তু পরিশ্রমই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। ১০৮ বছর পর্যন্ত কাজ করে যেতে পেরেছি।’’ কাজের ফাঁকে চকোলেট আর ওয়াইন খাওয়া তাঁর খুব পছন্দের ছিল।
আরও পড়ুন:

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-২০: মেলা থেকে ফিরে ‘অন্নপূর্ণার মন্দির’

মহাভারতের আখ্যানমালা, পর্ব-৫০: পিতার দেহ থেকে মান্ধাতার জন্ম হল

দীর্ঘদিন ধরে সিস্টার আঁদ্রে ইউরোপের প্রবীণতম মানুষ হিসাবে ছিলেন। সেই সময় দুনিয়ার প্রবীণতম ব্যক্তি ছিলেন জাপানের কানে তানাকা। গত এপ্রিলে তিনি মারা যান। তার পরেই বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হন সিস্টার আঁদ্রে। গিনেস বুক অব রেকর্ডসে তাঁর নামও ওঠে। ২০২১ সালে কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। প্রবীণতম মানুষ হিসাবে কোভিড থেকে সুস্থ হয়েও রেকর্ড করেছিলেন তিনি।

Skip to content