(বাঁদিকে) গেঁওয়া গাছে জন্মানো পরজীবী উদ্ভিদ বড়মন্দা। (মাঝখানে) গেঁওয়া গাছ। প্রথম ও দ্বিতীয় ছবি: লেখক। (ডানদিকে) বকুল কাঁকড়া গাছ। ছবি: সংগৃহীত।
লাল কাঁকড়া (Bruguiera gymnorhiza)
লৌকিক চিকিৎসা
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৪৭: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা—বাইন ও গর্জন
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৮৭: কবির জন্মদিনে প্রিয়জনের উপহার
বকুল কাঁকড়া (Bruguiera sexangula)
তীব্র ও হালকা উভয় প্রকার লবণাক্ত জমিতে এরা জন্মাতে সক্ষম। তাই এদের পেয়ারা বাইন, সুন্দরী, গেঁওয়া, লাল কাঁকড়া ইত্যাদি গাছের সাথে পাশাপাশি জন্মাতে দেখা যায়। এদের বাকলে প্রচুর ট্যানিন রয়েছে। কাঠ খুব শক্ত বলে বাড়ির খুঁটি হিসেবে এবং জ্বালানি কাঠ হিসেবে সুন্দরবনবাসীদের কাছে বকুল কাঁকড়া বহুল ব্যবহৃত ম্যানগ্রোভ।
লৌকিক চিকিৎসা
(বাঁদিকে) গেঁওয়া ফল। (মাঝখানে) বকুল কাঁকড়ার জরায়ুজ অঙ্কুরোদ্গম। (ডানদিকে) ফল-সহ গরান গাছের শাখা। ছবি: সংগ্রহীত।
গরান (Ceriops decandra)
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-২২: সরলাদেবী, এক পণ্ডিত মানুষ
আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৪৫: কথার কথা মা নয়—সত্য জননী
লৌকিক চিকিৎসা
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৬২: ক্রৌঞ্চবধের বিষাদ কী ছেয়ে আছে রামায়ণের প্রেক্ষাপট?
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৩: বাবু ডাক্তার ও ‘ডাক্তারবাবু’
গেঁওয়া (Excoecaria agallocha)
গাছে সাদা রঙের তরুক্ষীর (Latex) উপস্থিত। পাতা ছিঁড়লে বা কান্ডের গায়ে কোনও ক্ষত তৈরি করলে সাদা তরুক্ষীর নির্গত হয়। এই তরুক্ষীর বা আঠা বিষাক্ত। চোখে পড়লে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হয়ে যেতে পারে বা গায়ে পড়লে ত্বকে ফোস্কা হয়ে যেতে পারে। জলে গেঁওয়া শাখা বা আঠা ফেলে মাছকে তাড়িয়ে একদিকে নিয়ে গিয়ে মাছ ধরা হয়। গেঁওয়া কাঠ জ্বালানি হিসেবেও ভাল নয়—প্রচুর ধোঁয়া হয়। এই সব কারণে সুন্দরবনের মানুষ গেঁওয়া গাছ কাটে না। ফলে সুন্দরবনের সর্বত্র পর্যাপ্ত পরিমাণে গেঁওয়া গাছ দেখা যায়। এদের গুঁড়ির নিচের দিক থেকে কিছু মূল বেরিয়ে এসে মাটিতে প্রবেশ করে যা গেঁওয়া গাছকে দৃঢ়তা দেয়। এর বাকলের রং ধূসর বা বাদামি। কাঠের প্রকৃতি বেশ নরম।