(বাঁদিকে) হুড়ো ফার্নের ঘন ঝোপ। (মাঝখানে) হুড়ো ফার্নের পাতার নীচে বাদামি রেণুস্থলী। (ডান দিকে) হুড়ো ফার্ন গাছ। ছবি: সংগৃহীত।
সুখদর্শন (Crinum defixum)
একদিন কোদাল দিয়ে খালের পাড়ে গাছটার ঝাড় থেকে দু’একটা গাছ শিকড়সহ তুলতে গিয়ে দেখি মাটির নিচে ঠিক যেন সাদা রঙের পেঁয়াজ। এত সুন্দর ফুল হয় যে গাছে সেই গাছ কেন আমাদের বাগানে নেই? সুতরাং দুটো গাছ কন্দসহ তুলে এনে পুঁতে দিলাম বাগানের এক প্রান্তে। বাবা দেখে বলেছিল, গাছটার নাম সুখদর্শন। নামটা শুনেই গাছটার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। ফুল ফুটলে সত্যিই দর্শনলাভে সুখানুভূতি হয়।
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৭: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—ভালোবাসিবে বলে ভালোবাসিনে/২
এই দেশ এই মাটি, সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৬০: সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ও লৌকিক চিকিৎসা— দুধি লতা ও পঞ্চরতি লতা
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৩৪: সরলাদেবী—নির্ভীক এক সরস্বতী
পঞ্চতন্ত্র: রাজনীতি-কূটনীতি, পর্ব-৫৪: স্বার্থান্বেষীকেও চিনতে শেখায় এই গ্রন্থ
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-৯৭: কী করে গল্প লিখতে হয়, ছোটদের শিখিয়েছিলেন অবনীন্দ্রনাথ
এই দেশ এই মাটি, ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব-২৩: রাজসভায় মিথিলার সঙ্গীতজ্ঞ
লৌকিক চিকিৎসা
বিখ্যাতদের বিবাহ-বিচিত্রা, পর্ব-৭: জোসেফ কনরাড ও জেসি কনরাড—ভালোবাসিবে বলে ভালোবাসিনে/২
এগুলো কিন্তু ঠিক নয়, পর্ব-৪৯: বেশি ঘুম শরীরের পক্ষে ভালো?
হুড়ো ফার্ন (Acrostichumm aureum)
হড়ো ফার্ন হল প্রায় ছয় থেকে দশ ফুট লম্বা খাড়া ধরনের ফার্ন। এর কান্ড রাইজোম বা গ্রন্থিকাণ্ড প্রকৃতির। রাইজোম খাড়াভাবে থাকে এবং তার গায়ে জড়িয়ে থাকে অসংখ্য কালচে রঙের আঁশ। পাতাগুলো হয় বিশাল লম্বা। এক একটা পাতা চার পাঁচ ফুট লম্বা হয় আর প্রতি পাতায় ৮ থেকে ২০ জোড়া পত্রক থাকে। আগার দিকের পাঁচ থেকে আট জোড়া পত্রকের নিচের তলে থাকে অসংখ্য ইট রঙা বা মরচে রঙা রেনুস্থলী। আর সেই রেণুস্থলীর মধ্যে তৈরি হয় অসংখ্য হলুদ রঙের রেনু। রেনু অঙ্কুরিত হয়ে নতুন হুদো ফার্ন জন্ম নেয়। অবশ্য রাইজোম বা গ্রন্থিকাণ্ড থেকেও এদের বংশবিস্তার ঘটে।
হুডো ফার্ন এর কচি শাখা রান্না করে অনেক জায়গার মানুষ খায়। আবার পাতা পশু খাদ্য হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় বড় বড় পাতা ঘর ছাওয়ার কাজে ব্যবহৃত হয়। পরিণত পাতা থেকে প্রাপ্ত তন্তু দিয়ে দড়ি তৈরি হয়। এই ফার্নের পাতার আড়ালে সুন্দরবনের কুমির বাসা তৈরি করে ডিম পাড়ে।