
(বাঁদিকে) গোশালিক দম্পতি। (ডান দিকে) গোশালিকের ডাকাডাকি । ছবি: সংগৃহীত।
আমাদের গ্রামের বাড়ির ঠিক সামনে যে খাল ছিল তাতে নিয়মিত জোয়ার ভাঁটা খেলত, আর সেই খালের দু’পারে ছিল বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ গাছ। এছাড়া বাবলা আর খেজুর গাছও ছিল। খালের পাশেই আমাদের যে জমি ছিল সেই জমিকে বলতাম ‘খালধারের জমি’। গত শতকে সাতের দশকের সুন্দরবন অঞ্চলে হাতে গোনা দু’একটি বাড়িতে হয়তো শৌচাগার ছিল। গ্রামের মানুষ খোলা মাঠেই প্রাতঃকৃত্য সারত। যেসব জমির আশেপাশে ঝোপঝাড়ের সংখ্যা বেশি তার আড়ালেই মানুষ প্রাতঃকৃত্য সারত।
ভোরের আলো ফোটার আগে গ্রামের মহিলারা প্রাতঃকৃত্য সারতে সেইসব জমিতে চলে যেত। অবশ্য পুরুষ এবং ছোটদের ক্ষেত্রে মাঠে-ঘাটে মলত্যাগের কোনও নির্ধারিত সময় ছিল না। আমাদের সেই খালধারের জমির আশেপাশে সত্যি কথা বলতে কি দুর্গন্ধের কারণে চলাফেরা করাই ছিল দায়। সেই জমির আলে ছিল প্রচুর ঝোপঝাড়। আর তাই খালধারের জমি ছিল পাড়ার মানুষের মলত্যাগের জন্য আদর্শ স্থান। অবশ্য যাদের বাঁশবাগান বা অন্য কোনও ঝোপ-জঙ্গল থাকত তারা সেই সব জায়গাই মলত্যাগের জন্য বেছে নিত। আমার কৈশোরবেলা পর্যন্ত বাড়ির সবার মলত্যাগের জায়গা ছিল আমাদের বাঁশবাগান আর বাড়ির পেছনে ঝোপঝাড় ঘেরা আরেকটি জমি। তবে আমরা না গেলেও পাড়ার মানুষের পছন্দ ছিল বেশি খাল ধারের জমি। সেই জমির পাশ দিয়ে হেঁটে যেতে গেলে নাকে চাপা দিতে হতই। তো সেই খালধারের জমিতে প্রায়শই দেখতাম সকাল, দুপুর, বিকেলে ঘুরে বেড়াচ্ছে একদল পাখি।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৯o: ছাতারে

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-৪৮: এখানে দিন-রাত-শীত-গ্রীষ্ম-আলো-অন্ধকার, সব কিছুরই হিসেব আলাদা
পাখিগুলোর আকার ও স্বভাব কিছুটা শালিক পাখির মতো হলেও দেখতে ভিন্ন রকম। মাথার চাঁদি, গলা, বুক, পিঠ, ডানা, লেজ—সবই কালো। কিন্তু চোখের ঠিক পেছনে একটা বড় ঝকঝকে সাদা ছোপ। আর সেই ছোপ থেকে একটা সাদা দাগ লম্বা হয়ে ঘাড় অতিক্রম করে ডানার মাঝামাঝি দিয়ে কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই সাদা দাগ রয়েছে এদের কোমরে আর পুরো পেট ও লেজের নিচের দিকে। পাখিটার শরীর জুড়ে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের জার্সির মতো সাদা-কালোর এই চমৎকার বিন্যাস রীতিমত নজর কাড়ত। পাখিটার চঞ্চু ও চোখ ভারি সুন্দর। চঞ্চুর গোড়ার দিকের রঙ কমলা আর আগার দিকের রঙ সাদা। কুচকুচে কালো চোখের চারদিকে কমলা রঙের চওড়া বর্ডার পাখিটার রূপকে আরো দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। আর এদের পায়ের রং ফ্যাকাশে হলুদ।
ছোট থেকে নানা জনের মুখে শুনতাম এরা মাঠে ঘুরে ঘুরে মানুষের মল খায়। গ্রাম্য এলাকায় মলকে যেহেতু ‘গু’ বলা হয় তাই এই পাখিটাকে সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ এখনও ‘গুয়ে শালিক’ বলে ডাকে। আমিও অনেকটা বড় হওয়া পর্যন্ত বিশ্বাস করতাম এরা মানুষের মল খায়, আর সেই কারণেই এদের চঞ্চুর রং কমলা। খুব ঘেন্না হত এই পাখিটাকে নিয়ে। কিন্তু মনের মধ্যে সন্দেহ জাগল যখন এদের এমন জমিতেও ঘুরতে দেখলাম যেখানে আশেপাশে ঝোপঝাড় না থাকার কারণে মানুষ মলত্যাগ করে না। তাহলে ওরা ওই জমিতে ঘুরে ঘুরে কী খাচ্ছে? এরা কী তবে পোকামাকড়ও খায়”?
ছোট থেকে নানা জনের মুখে শুনতাম এরা মাঠে ঘুরে ঘুরে মানুষের মল খায়। গ্রাম্য এলাকায় মলকে যেহেতু ‘গু’ বলা হয় তাই এই পাখিটাকে সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ এখনও ‘গুয়ে শালিক’ বলে ডাকে। আমিও অনেকটা বড় হওয়া পর্যন্ত বিশ্বাস করতাম এরা মানুষের মল খায়, আর সেই কারণেই এদের চঞ্চুর রং কমলা। খুব ঘেন্না হত এই পাখিটাকে নিয়ে। কিন্তু মনের মধ্যে সন্দেহ জাগল যখন এদের এমন জমিতেও ঘুরতে দেখলাম যেখানে আশেপাশে ঝোপঝাড় না থাকার কারণে মানুষ মলত্যাগ করে না। তাহলে ওরা ওই জমিতে ঘুরে ঘুরে কী খাচ্ছে? এরা কী তবে পোকামাকড়ও খায়”?
আরও পড়ুন:

গীতা: সম্ভবামি যুগে যুগে, পর্ব-১৯: আপনামাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-১০৪: প্রকৃতির সান্নিধ্যে কি গ্লানিমুক্তি সম্ভব? লক্ষ্মণের আবেগ কি সাধারণের মধ্যে সহজলভ্য?
তবে এদের খাবার নিয়ে আমার ভ্রান্ত ধারণা ভাঙল সালিম আলির ‘Birds of India’ বইটি পড়ার পর। ওমা, এরা তো আদৌ মাল খায় না। এদের প্রধান খাবার তো সত্যিই কীটপতঙ্গ। মাঠে ঘুরে ঘুরে ঘাসের গোড়ায় বা মাটির ফাটলের মধ্যে থেকে পোকামাকড় খুঁজে খায়। এরা ছোট ফল ও ফুলের মধুও খায়। তাই এদের মাদার ও শিমুল গাছে দল বেঁধে বসে থাকতে দেখেছি। আমাদের পুকুর পাড়ে একটা বিশাল মাদার গাছ ছিল। ফুল ফুটলে সেখানে আরও অনেক পাখির সাথে গুয়ে শালিকদেরও দেখতাম ফুলের মধু খাচ্ছে। এরা আবার মাঠের শস্যও খেতে পছন্দ করে। পরে পক্ষীবিদ অজয় হোমের লেখা “বাংলার পাখি’’ বই পড়ে জেনেছি গুয়ে শালিকের শুদ্ধ বাংলা নাম হল ‘গো-শালিক’। বুঝলাম ‘গো’ থেকেই ‘গুয়ে’ হয়েছে সুন্দরবন এলাকার মানুষের মুখে। আবার এই ‘গো’ কথাটা এসেছে গোবর থেকে। তাহলে কি এরা গোবর খায়? না, এটাও ভুল ধারণা। তবে ভুল ধারণা গড়ে ওঠার পেছনেও তো একটা কারণ থাকে। মাঠে পড়ে থাকা গবাদি পশু বা মানুষের মল কিছুটা শুকিয়ে গেলে তার মধ্যে নানা পোকা পাওয়া যায়। এরা হল মলভূক পোকামাকড়। সেইসব পোকামাকড় খাওয়ার জন্য এই গো-শালিকদের চঞ্চু দিয়ে শুকনো মল খোঁচাখুঁচি করতে দেখা যায়। আমার ধারণা, তা থেকেই মানুষের ধারণা হয়েছে যে এরা মল বা গোবর খায়। পাখিটিকে ইংরেজিতে বলা হয়, পাইড ময়না (Pyed Myna)। বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘Sturnus contra’।

(বাঁদিকে) মাঠে পোকা খুঁজছে গো-শালিক। ছবি: লেখক। (ডান দিকে) মধু সংগ্রহরত গোশালিক। ছবি: সংগৃহীত।
গো-শালিকের আকার আগেই বলেছি অনেকটা সাধারণ শালিকের মতো। লম্বায় ২২-২৪ সেমি, আর ওজন ৬০-৮০ গ্রাম। সাধারণ শালিকের মতো এদেরও ওড়ার গতি কম। তবে সাধারণ শালিকদের তুলনায় গো-শালিকরা কিন্তু শান্তশিষ্ট পাখি। অত বেশি হইচই করে না। এরাও শালিকদের মতো দল বেঁধে থাকে এবং স্ত্রী পুরুষ জোড়ায় জোড়ায় ঘুরতে দেখা যায়। যদিও প্রজনন ঋতু ছাড়া কোনটা স্ত্রী আর কোনটা পুরুষ গো-শালিক বোঝা খুব মুশকিল। প্রজনন ঋতুতে এদের চঞ্চুর রঙ কিছুটা গাঢ় হয়ে যায়। আগেই বলেছি, এরা মাঠে দল বেঁধে ঘোরাঘুরি করে। এমনিতে লোকালয়ে থাকতেই এরা পছন্দ করে। পোকামাকড়ের মধ্যে কেঁচো এদের খুব প্রিয়। সূচালো শক্তপোক্ত চঞ্চু দিয়ে কেঁচোর গর্তগুলোকে আরও ফাঁক করে ভেতর থেকে কেঁচো টেনে তুলে আনে। আবার পা দিয়ে শুকনো গোবর বা মল ঘেঁটে পোকা বার করতে এদের প্রায়শই দেখা যায়। মানুষকে খুব একটা ভয় এরা পায় না, তবে খুব কাছাকাছি গেলে কিংবা বিপদ বুঝলে মাঠ থেকে গো-শালিকের ঝাঁক উড়ে গিয়ে কাছাকাছি কোনও গাছের ওপর বসে।
আরও পড়ুন:

আলোকের ঝর্ণাধারায়, পর্ব-৮৭: মা সারদার লিঙ্গপুজো

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৬৮: দুর্গম গিরি কান্তার ‘মরুতীর্থ হিংলাজ’
শীতকালে খেজুর গাছে রস খেতে আমি এদের দেখেছি। আর পাকা খেজুর এদের খুব প্রিয়। আমাদের জমির আলে অনেক খেজুর গাছ ছিল। পাকা খেজুর খসে পড়ত নিচে। গো-শালিকের দল গাছের তলায়, এমন কি গাছের উপরে খেজুরের কাঁদি থেকে পাকা খেজুর খেত। সাধারণ শালিকের মতো গো-শালিক নাকি পোষ মানে বলে শুনেছি, তবে দেখিনি কখনও। শুনেছি শেখালে এরাও নাকি সাধারণ শালিকের মতো কথা বলে। সাধারণ শালিক যেমন বিভিন্ন স্বরে ডাকাডাকি করে এরা অত রকম ডাকতে না পারলেও খুব পিছিয়ে নেই। ক্রু চ্যা ক্রিক, ক্রিক ক্রিক,কু ওয়া ক্রিওয়া, উক্রা উক্রা কু ক্রিক – ইত্যাদি নানা স্বরে ডাকে। কী যে বলতে চায় কে জানে! আওয়াজ বেশ জোরালো। আর আওয়াজের মধ্যে আদৌ মিষ্টিভাব রয়েছে বলে আমার অন্তত মনে হয়নি। দল বেঁধে যখন ক্যাচর-ম্যাচর শুরু করে কান পাতা দায় হয়।
আরও পড়ুন:

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-১০৫: সরজমিনে

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১১৩: শরৎকুমারী স্নানাগারের সামনে বসে সারাক্ষণই সাজতেন
বাসা বাঁধার জন্য এরা সাধারণ শালিকদের মতো গৃহস্থের বাড়ি পছন্দ করে না। মাঠের মাঝে থাকা বৃক্ষজাতীয় গাছই এদের পছন্দ। মাটির উপরে ৮ থেকে ৩০ ফুট উচ্চতার মধ্যে এরা বাসা বানায়। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে এরা খড়, ঘাস, গাছের শিকড়, কাঠিকুটি, পালক, ছেঁড়া ন্যাকড়া, দড়ির টুকরো, সুতো ইত্যাদি দিয়ে একটা গোলাকার বাসা বাঁধে। বাসা খুবই অগোছালো প্রকৃতির হয়। তবে বাসার কেন্দ্রে নরম ঘাস ও পালক বিছিয়ে মোলায়েম গদি তৈরি করে। এই গদির ওপরেই স্ত্রী পাখি ডিম পাড়ে। একই গাছে একাধিক গো-শালিক দম্পতি বাসা তৈরি করতে পারে। স্ত্রী ও পুরুষ পাখি মিলে বাসা বানায়। অনেক সময় বাসা থেকে কাপড়ের টুকরো ঝুলে থাকে হয়তো শিকারি পাখিদের বা ডিম ও ছানাখেকো সাপকে ভয় দেখানোর জন্য। একই কারণে ওরা অনেক সময় কাঁটাজাতীয় কাঠি দিয়েও বাসা বানায়। বাসা বাঁধা শেষ হলে স্ত্রী গো-শালিক একসাথে চার থেকে ছ’টি ডিম পাড়ে। ডিম লম্বায় হয় প্রায় ১.১ ইঞ্চি ও চওড়ায় প্রায় ০.৮২ ইঞ্চি। ডিমগুলো হালকা আকাশি নীল বা হালকা সবুজ রঙের হয়। ডিমে কোনও ছিট দাগ থাকে না। দু’সপ্তাহ পরে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয়। বাবা ও মা গো-শালিক উভয়ে মিলে বাচ্চাদের দেখাশোনা করে।

(বাঁদিকে) গোশালিকের বাসা। (ডান দিকে) গোশালিকের দলবল। ছবি: সংগৃহীত।
সুন্দরবনের জনবসতি পূর্ণ এলাকা তো বটেই হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চল থেকে ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত জায়গায় গো-শালিক দেখা যায়। তবে শহরাঞ্চলে এদের তেমন দেখতে পাওয়া যায় না। শৈশবে যে পরিমাণ গো-শালিক সুন্দরবনের গ্রামাঞ্চলে দেখেছি বর্তমান সময়ে আর তত দেখতে পাই না। খাদ্যাভাব যে অন্যতম কারণ হতে পারে তা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। সুন্দরবন অঞ্চলে সবুজ বিপ্লবের হাত ধরে উচ্চফলনশীল ধান ও অন্যান্য খরিফ শস্য চাষ হচ্ছে ব্যাপকহারে। সেই কারণে রাসায়নিক কীটনাশক বহুল পরিমাণে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর তাই মাটিতে থাকা কেঁচোসহ নানা পোকামাকড় মারা যাচ্ছে। তাই গো-শালিকের খাদ্যাভাব হওয়া খুব সম্ভব। তাছাড়া স্বাভাবিক গাছের পরিবর্তে সুন্দরবন অঞ্চলে আকাশমনি, ইউক্যালিপটাস, ঝাউ ইত্যাদি সরলবর্গীয় গাছের পরিমাণ বাড়ছে।
এইসব গাছে গো-শালিক বাসা বাঁধতে পারে না। কমছে খেজুর গাছের সংখ্যা। ফলে গো-শালিকের প্রিয় খাদ্য খেজুরেও পড়েছে টান। মাদার ও শিমুল গাছ সুন্দরবনের লোকালয় থেকে একপ্রকার বিলুপ্তই বলা যায়। তাহলে কোথায় পাবে গো-শালিক তার প্রিয় মধু? সুন্দরবন অঞ্চলে অধিকাংশ গৃহস্থ আর গোরু পোষে না। বাড়ি বাড়ি তৈরি হয়েছে শৌচাগার। ফলে মাঠে মানুষের মল বা গোবর আর পাওয়া যায় না। তাহলে গো-শালিকরা শুকনো গোবর বা মল আঁচড়ে পোকা পাবে কী করে? এইসব কারণে গো-শালিকদের প্রবল খাদ্যসংকট হওয়া স্বাভাবিক। ভয় হয়, প্রকৃতির এই অপরূপ সুন্দর কিন্তু অকারণ বদনামধারী পাখিটি সুন্দরবন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে না তো?—চলবে।
এইসব গাছে গো-শালিক বাসা বাঁধতে পারে না। কমছে খেজুর গাছের সংখ্যা। ফলে গো-শালিকের প্রিয় খাদ্য খেজুরেও পড়েছে টান। মাদার ও শিমুল গাছ সুন্দরবনের লোকালয় থেকে একপ্রকার বিলুপ্তই বলা যায়। তাহলে কোথায় পাবে গো-শালিক তার প্রিয় মধু? সুন্দরবন অঞ্চলে অধিকাংশ গৃহস্থ আর গোরু পোষে না। বাড়ি বাড়ি তৈরি হয়েছে শৌচাগার। ফলে মাঠে মানুষের মল বা গোবর আর পাওয়া যায় না। তাহলে গো-শালিকরা শুকনো গোবর বা মল আঁচড়ে পোকা পাবে কী করে? এইসব কারণে গো-শালিকদের প্রবল খাদ্যসংকট হওয়া স্বাভাবিক। ভয় হয়, প্রকৃতির এই অপরূপ সুন্দর কিন্তু অকারণ বদনামধারী পাখিটি সুন্দরবন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে না তো?—চলবে।
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।