বেনেবউ। ছবি: লেখক।
স্কুলের তিনতলায় পশ্চিম দিকের শেষ রুমে পরীক্ষার নজরদারি করছিলাম। স্কুলের পেছন দিকে আকাশমণি ও জারুল গাছের মাথা তিন তলার জানালা সমান উঁচু। হঠাৎই ‘চ্যা চ্যা কোয়াক’ শব্দে জানালা দিয়ে দৃষ্টি গেল গাছের দিকে। কিছুই দেখা গেল না। পর মুহুর্তেই আবার ‘চ্যা চ্যা কোয়াক’। স্পষ্ট দেখলাম একটা হলদে বিদ্যুৎ যেন ঝলসে গেল জানালার এপার থেকে ওপারে। উৎসুক হয়ে গেলাম জানালার কাছে। দেখি আকাশমণির ডালে বসে উজ্জ্বল সোনালি-হলুদ রঙের অপূর্ব সুন্দর একটা পাখি। মাথা, গলা, চিবুক, বুকের উপরের দিক কুচকুচে কালো, টুকটুকে লাল ঠোঁট সামান্য বাঁকা। রক্তরাঙা লাল চোখ। পায়ের রং নীল। লম্বায় প্রায় ৯ ইঞ্চি, ময়না পাখির মতো সাইজ। চিনতে ভুল হল না—বেনে বউ। ছোটবেলায় আমাদের বাগানে প্রায়ই এদের দেখতে পেতাম। ডাক শুনতাম ‘টে-টো টেউল’। মা বলত, ‘গেরস্থের খোকা হোক বলছে’।
আজকাল সুন্দরবন জুড়ে বেনে বউদের আর আগের মতো দেখা যায় না। বেনে বউরা বিলুপ্তির দিন গুনছে। জানালা দিয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকার পর ব্যাপারটা মালুম হল। জানালা থেকে একটু নিচে অর্থাৎ মাটি থেকে ৩০-৪০ ফুট উপরে আকাশমনি গাছের ‘V’ আকৃতির একটি শাখার সংযোগস্থলে ঝুলছে কাপের মতো দেখতে একটা বাসা। ঠিক যেন দোলনা। বাসার কাছাকাছি ছিল একটা কাঠবিড়ালি। সে সম্ভবত আকাশমনি ফলের বীজ খাচ্ছিল। বেনে বউটি বাসার কাছ থেকে কাঠবেড়ালিটিকে তাড়ানোর জন্য বারবার তীর বেগে উড়ে গিয়ে খোঁচা মেরে আসছিল। দু’চার বার খোঁচা খেয়ে বেচারা কাঠবেড়ালি পালাতেই বেনে বউয়ের স্বস্তি। ফুরুত করে উড়ে গেল দৃষ্টির আড়ালে। আমি কিন্তু জানালার কাছে দাঁড়িয়ে রইলাম কী হয় দেখার জন্য।
আরও পড়ুন:
সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৮০: সুন্দরবনের পাখি—দোয়েল
শ্যাম বেনেগল সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলতে পারতেন
মিনিট খানেক পরে পাখিটা ঠোঁটে করে একটা সবুজ ঘাসফড়িং নিয়ে হাজির। বসল বাসার সামান্য উপরে একটা সরু ডালে। সঙ্গে সঙ্গে বাসা থেকে দুটো বাচ্চা তাদের পালকহীন মাথা উপরের দিকে তুলে ঠোঁট ফাঁক করে খাবার খেতে চাইল। বাচ্চাগুলো এতক্ষণ বাসার গভীরে বসে থাকায় দেখতে পাইনি। মাকে খাবার আনতে দেখেই এখন দাঁড়িয়ে উপরে মুখ তুলেছে। মা পাখিটা নেমে এল বাসার পাশে। ঠোঁটে ধরা ঘাসফড়িংটা তখনও নড়ছিল। তাই কয়েক সেকেন্ডের অপেক্ষা। তারপর ফড়িংটার মৃত্যু নিশ্চিত হতেই বাসার ডান দিকের বাচ্চাটার হাঁ করা ঠোঁটের ফাঁকে ফড়িংটা রেখে ফুরুত। পরক্ষণেই বাচ্চা দুটোর মাথা অদৃশ্য হয়ে গেল বাসার গভীরে। আমি দাঁড়িয়েই রইলাম। মিনিট দুই পরে দেখি পাখিটা আর একটা ঘাসফড়িং ঠোঁটে নিয়ে হাজির। সাথে সাথে বাচ্চা দুটো আবার মাথা তুলে একইভাবে মায়ের কাছে খাবার চাইতে থাকল।
মা পাখিটা এবার গিয়ে বসল বাসার বাঁদিকে। তার চোখে দুই সন্তানই সমান। কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। তাই এবার বাঁদিকের বাচ্চাটার ঠোঁটের ফাঁকে ফড়িংটা ফেলে দিল। তারপর আবার ফুরুত। বাচ্চা দুটোও যথারীতি বাসার গভীরে।
মা পাখিটা এবার গিয়ে বসল বাসার বাঁদিকে। তার চোখে দুই সন্তানই সমান। কোনও পক্ষপাতিত্ব নেই। তাই এবার বাঁদিকের বাচ্চাটার ঠোঁটের ফাঁকে ফড়িংটা ফেলে দিল। তারপর আবার ফুরুত। বাচ্চা দুটোও যথারীতি বাসার গভীরে।
আরও পড়ুন:
রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৯৬: যদি হই চোরকাঁটা
গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৫: রবীন্দ্রনাথ ভয় পেতেন মহর্ষিদেবকে
আমি অবাক হয়ে বাসাটার গঠনশৈলী দেখছিলাম। ঠিক যেন হাতলবিহীন একটা বড়সড় কাপ। দুটো শাখার সংযোগস্থলে দোলনার মত দুলছে দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল বাসাটা নিখুঁতভাবে বোনা। পাতা ও খড়কুটো যেন আঠা দিয়ে জুড়ে বাসাটা তৈরি করা হয়েছে। হালকা হলদে বা ফ্যাকাশে রঙের বাসা। পরে বই পড়ে দেখলাম বাসার প্রধান উপাদান গাছের ছালের নিচের আঁশ বা ফাইবার। বাসা তৈরি করতে আঠা হিসেবে ওরা ব্যবহার করে মাকড়সার জাল। তাই বাসা হয় এত শক্তপোক্ত। এত সুন্দর কিন্তু মজবুত বাসা বাবুই ছাড়া অন্য কোন পাখির দেখিনি। হাওয়ায় গাছের ডালটা ধীরে ধীরে দুলছিল। মনে হচ্ছিল বাচ্চা দুটো তাদের দোলনা-বাসায় দোল খাচ্ছে। কেন যে বাবুই একা শিল্পী পাখির মর্যাদা পায়! শিল্পী হিসেবে বেনে বউ কিন্তু কম কুশলী নয়।
বাগানে বেনেবউ। ছবি: সংগৃহীত।
বেনে বউ সম্পর্কে কৌতুহল বাড়তে লাগল। যতক্ষণ না বাড়ি ফিরে বইপত্র ঘেঁটে বেনে বউ সম্পর্কে খোঁজ খবর করছি ততক্ষণ মনে স্বস্তি নেই। জানালা দিয়ে দু’পাশে বেশি দূর পর্যন্ত দেখা যায় না। ফলে পাখিটা কোথাও বসে আছে কিনা বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎই একটু দূরে সে ডেকে উঠল ‘টে-টো-টেউল’। ছোটবেলায় শোনা সেই চেনা ডাক। একই রকম। ধন্যি মেয়ে সিনেমায় জয়া ভাদুড়ীর ঠোঁটে বেনে বউকে নিয়ে বিখ্যাত গানটা মনে মনে গুন গুনিয়ে উঠলাম— ‘যা যা বেহায়া পাখি যা না…’।
বাড়ি ফিরেই পাখি সংক্রান্ত বইপত্র নিয়ে বসে পড়লাম। জানলাম বেনে বউয়ের আরেক নাম হলদে পাখি। হিন্দিতে বলে পিলক্। ইংরেজিতে বলে ‘Black Headed Oriole’। দণ্ডচারী বা প্যাসারিফার্মিস বর্গের অন্তর্গত কাঞ্চন বা ওরিওলিডি গোত্রের পাখি হল বেনে বউ। বিজ্ঞানসম্মত নাম Oriolus xanthornus । আমাদের সুন্দরবন অঞ্চলে বসতি এলাকায় এই পাখি খুব বেশি না হলেও দেখা যায়। আমাদের রাজ্য ছাড়াও ভারতের অন্যান্য কিছু রাজ্যে যেমন অসম, সিকিম, ওড়িশা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে এদের বেশি দেখা যায়। ভারতের বাইরে নেপাল, ভুটান ও মায়ানমারেও পাওয়া যায়।
বাড়ি ফিরেই পাখি সংক্রান্ত বইপত্র নিয়ে বসে পড়লাম। জানলাম বেনে বউয়ের আরেক নাম হলদে পাখি। হিন্দিতে বলে পিলক্। ইংরেজিতে বলে ‘Black Headed Oriole’। দণ্ডচারী বা প্যাসারিফার্মিস বর্গের অন্তর্গত কাঞ্চন বা ওরিওলিডি গোত্রের পাখি হল বেনে বউ। বিজ্ঞানসম্মত নাম Oriolus xanthornus । আমাদের সুন্দরবন অঞ্চলে বসতি এলাকায় এই পাখি খুব বেশি না হলেও দেখা যায়। আমাদের রাজ্য ছাড়াও ভারতের অন্যান্য কিছু রাজ্যে যেমন অসম, সিকিম, ওড়িশা, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জে এদের বেশি দেখা যায়। ভারতের বাইরে নেপাল, ভুটান ও মায়ানমারেও পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৯৫: বিরোধিতায় নয়, মৈত্রীবন্ধনেই রয়েছে পারিবারিক ও রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানসূত্র
উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’
বেনে বউ একটু লাজুক স্বভাবের পাখি। লোকালয়ে থাকলেও ঘন গাছপালা ঘেরা এলাকা পছন্দ। গাছেই বেশি থাকে। মাটিতে নামে কদাচিৎ। এদের বসার ভঙ্গিও বেশ অদ্ভুত। উড়তে উড়তে মাঝে মাঝেই গোঁত্তা খেয়ে নেমে আসে। এরা একাকী বা স্ত্রী-পুরুষ জোড়ায় থাকে। বেনে বউ এমনিতেই খুব চঞ্চল পাখি। স্থির হয়ে বেশিক্ষণ বসে থাকতে পারে না। সব সময় এ ডালে, ও ডালে লাফায়। আর থেকে থেকে ডাক দেয় ‘টে-টো-টেউল’ —’গেরস্থের খোকা হোক’! এদের প্রজনন ঋতু মার্চ থেকে জুলাই। একবারে দু’তিনটি ডিম পাড়ে। গোলাপি সাদা বা ঘিয়ে রঙের ডিম। তার উপর কালো ও লালচে-বাদামি বা বেগুনি ছিট ছিট। লম্বাটে ডিমের মোটা অংশের দিকে ছিটগুলি বেশি থাকে। ডিমগুলো লম্বায় প্রায় ১.১৪ ইঞ্চি ও চওড়ায় ০.৮২ ইঞ্চি হয়। এদের প্রিয় খাবার হল বট, অশ্বত্থ, ডুমুর ও পুটুস (ল্যান্টানা) গাছের পাকা ফল। ইদানিং বট, অশ্বত্থ ইত্যাদি গাছের অভাব এদের খাদ্যাভাবের অন্যতম কারণ। তাছাড়া এরা কীটপতঙ্গ খায়। কীটনাশকের ব্যাপক ব্যবহারে কীটপতঙ্গের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বেনে বউয়ের খাদ্যাভাবের আর এক কারণ। শিমুল বা মাদারফুলের মধুও এরা খায়। কিন্তু এইসব গাছও সুন্দরবন অঞ্চলে খুব কমে গেছে। ফলে বেনে বউদের খাদ্য সংকট যে হচ্ছে তা ওদের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমে যাওয়া দেখেই বোঝা যায়।
আরও পড়ুন:
দশভুজা, সরস্বতীর লীলাকমল, পর্ব-৪৮: প্রতিভা দেবী—ঠাকুরবাড়ির সরস্বতী
গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১১: কাঁটার মুকুট
শেষে বেনে বউ – এই নামকরণ নিয়ে প্রচলিত গল্পটি না উল্লেখ করলেই নয়। গল্পটি বহুবার বহুজনের মুখে একটু ভিন্ন ভিন্ন ভাবে শুনেছি, তবে মূল ব্যাপারটি প্রায় একই। আমি এখানে পক্ষিপ্রেমী, পক্ষিবিশারদ ও সুলেখক অজয় হোম তাঁর বাড়ির বিধবা রাঁধুনীর মুখে যে কাহিনি শুনে তাঁর ‘বাংলার পাখি’ বইতে লিখেছেন সেই গল্পটি উল্লেখ করছি। এক বেনে অর্থাৎ ব্যবসায়ী পরিবারে সাতটি ছেলের সাতটি বউ ছিল। ভাইদের মধ্যে খুব মিল। তারা সকালে কাজে বেরিয়ে সন্ধ্যায় ফিরত এবং একসাথে খেতে বসত। এদিকে সাত বউ সারাদিন ধরে খুব যত্ন সহকারে সাত রকম পদ রান্না করত। যার রান্না করা পদ সুস্বাদু হত না তাকে সব ভাই মিলে খুব মারত। এই ছিল ওই বেনে বাড়ির রোজ নামচা। ফলে সাত বউ সবসময় ভয়ে তটস্থ থাকত।
দোলনা বাসায় বেনেবউ। ছবি: সংগৃহীত।
একদিন হয়েছে কি, ছোট বউয়ের ওপর ডাল রাঁধার ভার ছিল। সেদিন ডালে যত হলুদ দেয় কিছুতেই রঙ হয় না। ছোট বউয়ের তখন ভারি টেনশন। ছোট ভাই ভীষণ বদরাগী। ডালে রঙ না হলে চ্যালা কাঠ দিয়ে পেটায়, নয়তো খুন্তি পুড়িয়ে ছ্যাঁকা দেয়। ছোট বউ অনেক হলুদ দিল ডালে। কিন্তু তবুও ডাল ফ্যাকাশে। তখন রান্না হত মাটির হাঁড়িতে। নিজের ওপর দুঃখে ও ভয়ে ছোট বউ শেষে ডালশুদ্ধ হাঁড়ি নিজের মাথায় আছড়ে ভেঙে ফেলল। সাথে সাথে সে একটা পাখি হয়ে গেল। আর ফুরুত করে উড়ে গেল। সেই পাখিই হল বেনে বউ।
ইতিমধ্যে স্কুলের পরীক্ষা শেষ। ফলে অফিস ও স্টাফরুম ছাড়া সমস্ত ক্লাসরুম তালাবন্ধ। উত্তরপত্র দেখার ব্যস্ততায় বেনে বউ বাচ্চাদের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তিন সপ্তাহ পরে ওদের কথা মনে পড়তেই অফিস থেকে তিন তলার চাবির গোছা হাতে নিয়ে ছুটলাম। দরজার তালা খুলে ঝটপট সেই জানালাটা খুললাম। দেখি বাসাটা আছে যথারীতি। হাওয়ায় দোল খাচ্ছে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম সেদিকে তাকিয়ে। বেনে বউ নেই। নেই তার বাচ্চা দুটোও। ওরা নিশ্চয়ই এতদিনে বড় হয়ে উড়ে গেছে। আরও বেশি করে “গেরস্থের খোকা হোক” ডাক শুনতে পাব —এই আশা বুকে বেঁধে জানালা বন্ধ করতে লাগলাম।—চলবে।
ইতিমধ্যে স্কুলের পরীক্ষা শেষ। ফলে অফিস ও স্টাফরুম ছাড়া সমস্ত ক্লাসরুম তালাবন্ধ। উত্তরপত্র দেখার ব্যস্ততায় বেনে বউ বাচ্চাদের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। তিন সপ্তাহ পরে ওদের কথা মনে পড়তেই অফিস থেকে তিন তলার চাবির গোছা হাতে নিয়ে ছুটলাম। দরজার তালা খুলে ঝটপট সেই জানালাটা খুললাম। দেখি বাসাটা আছে যথারীতি। হাওয়ায় দোল খাচ্ছে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম সেদিকে তাকিয়ে। বেনে বউ নেই। নেই তার বাচ্চা দুটোও। ওরা নিশ্চয়ই এতদিনে বড় হয়ে উড়ে গেছে। আরও বেশি করে “গেরস্থের খোকা হোক” ডাক শুনতে পাব —এই আশা বুকে বেঁধে জানালা বন্ধ করতে লাগলাম।—চলবে।
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।