মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি, ২০২৫


লেজ উঁচিয়ে দোয়েলের ডাকাডাকি। ছবি: সংগৃহীত।

অনেকদিন আগের কথা। গ্রামের বাড়িতে থাকি। সময়টা শীতের শেষের দিকে হবে। উঠোনের ওপারে আমাদের তিনটে খেজুর গাছ ছিল। তার মধ্যে দুটো কম বয়সী গাছে শিউলি রস দিত। আর একটা গাছের বয়স অনেক বেশি হওয়ায় সে ছিল বাতিলের দলে। সেই গাছটার পাতাগুলো শুকনো ও রুক্ষ। অনেকদিন আগে রস দেওয়ার জন্য গাছের গায়ে যে জায়গাগুলো চাঁছা হয়েছিল সেগুলোর কয়েকটাতে কোটর তৈরি হয়েছে। মনে হয় কাঠঠোকরারাই করেছে ওই কোটর, কারণ মাঝে মাঝেই ওই গাছের গায়ে কাঠঠোকরাদের ঠোকরাতে দেখতাম।

গাছটাতো কোনও কাজেই আসছে না, বরং বাড়ির সামনে এমন আধমরা গাছ বাড়ির সৌন্দর্য নষ্ট করছে। এই সময় পেছনের পুকুরঘাটের কয়েকটা কাঠ পচে গিয়েছিল। তাই বাবা স্থির করলেন ওই খেজুর গাছটা কেটে পুকুরঘাটে রাখবেন। আর তাই একজন লোক লাগিয়ে কুড়ুল দিয়ে সকাল সকাল গাছটা কেটে ফেলা হল। গাছে কুড়ুলের শেষ কোপ পড়তেই কড়কড় করে তা গিয়ে পড়ল সামনের জমিতে। তারপর লোকটি দা দিয়ে পাতাগুলো ছেঁটে চলে গিয়েছিল অন্য কাজে। ততক্ষণে বেলা প্রায় আটটা বেজে গিয়েছে। হঠাৎ আমি দোতলার বারান্দা থেকে শুনলাম ‘চ্যাঁ চ্যাঁ’ আওয়াজ। আমার দৃষ্টি ঘুরে গেল শব্দের উৎসের দিকে। শব্দটা আসছে পড়ে থাকা ন্যাড়া খেজুর গাছের দিক থেকে। দেখি দুটো দোয়েল সেই গাছটার উপর বসে অস্থিরভাবে লাফালাফি করছে। ব্যাপারখানা কী? গাছে কি ওদের বাসা ছিল? তাতে কী বাচ্চা ছিল? যদি তাই হয়, তবে তো সর্বনাশ! দৌড়ে নিচে নেমে গাছটার কাছে গেলাম। আমাকে আসতে দেখেই দোয়েল দুটো উড়ে পাশের রাধাচূড়া গাছে গিয়ে বসল।
তবে তাদের নজর কিন্তু ওই খেজুর গাছের দিকে। গাছের ন্যাড়া আগায় দেখলাম কোনও বাসা নেই। তবে কি কোটরে বাসা আছে? তিন-চারটে কোটর হয়েছিল গাছটার গায়ে। খুঁজে দেখি আমার ধারণাই ঠিক। একটা কোটরে ঘাস আর সরু কাঠি দিয়ে কাপের মতো দেখতে একটা বাসা। নিশ্চয়ই ওদের বাসা। তবে আশ্বস্ত হলাম বাসায় ডিম বা বাচ্চা নেই দেখে। যাক, ওরা চাইলে কয়েকদিনের মধ্যে নিশ্চয়ই অন্যত্র আবার বাসা বানিয়ে নেবে। কারও পরিশ্রমে বানানো ঘর ভেঙে দিলে কতটা কষ্ট হয় তা ওই কিশোর বয়সেই আমার অনুভব হয়েছিল। আমার পরিবারের পক্ষ থেকে শুধু দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলাম অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য। ওরা আমাদের মনে হয় ক্ষমা করেছিল, কারণ ওরা আমাদের বাড়ির চত্বর ছড়ে চলে যায়নি। এর পরেও ওরা আমাদের বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করত।

সেই থেকে দোয়েলের উপর আমার কেমন যেন একটু বেশি দুর্বলতা চলে এসেছিল। আর দোয়েলেরও কি দুর্বলতা ছিল আমাদের উপর, নইলে আশৈশব ওদের কেনইবা প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেখতে পাব সুন্দরবনের গ্রাম থেকে শহরের সর্বত্র? ওরা আমাদের বাস্তুভিটে ছেড়ে কোনওদিন যায়নি। আসলে আমাদের গাছ-গাছালি ঘেরা গ্রামের বাস্তুভিটে ওদের থাকার জন্য পছন্দসই জায়গা ছিল।
আরও পড়ুন:

সুন্দরবনের বারোমাস্যা, পর্ব-৭৯: সুন্দরবনের পাখি: টুনটুনি

রহস্য উপন্যাস: পিশাচ পাহাড়ের আতঙ্ক, পর্ব-৯৪: নুনিয়া কোথায়?

শীত যাই-যাই করতে শুরু করলেই শুরু হয়ে যায় দোয়েলের বিচিত্র সুরমূর্ছনা। গায়ক পাখি হিসেবে দোয়েলের খ্যাতি তো দুনিয়াজোড়া। তবে হ্যাঁ, দোয়েলদের বংশে শুধু গায়কই হয়, গায়িকা হয় না! আর রূপেও স্ত্রী দোয়েলদের টেক্কা দেয় পুরুষ দোয়েল। পুরুষ দোয়েলকে রূপ আর গুণের জন্য পাখি-সাম্রাজ্যের ‘কার্তিক’ বললে মনে হয় অত্যুক্তি হয় না। মাঝারি সাইজ ও ছিপছিপে গড়নের পাখি এরা। লম্বায় এরা হয় প্রায় ৭-৮ ইঞ্চি। ওজন ৩১-৪২ গ্রাম। পুরুষ দোয়েলের মাথা,গলা বুক, পিঠ ও ডানার রং মিশমিশে কালো, তবে দু’ডানায় লম্বা, সাদা দাগ থাকে। লেজের দুটো পালক কালো, বাকি পালকের রং সাদা। লেজ বেশ লম্বা আর আগার দিকে ক্রমশ চওড়া।
আরও পড়ুন:

ত্রিপুরা: আজ কাল পরশুর গল্প, পর্ব ৪২: রবীন্দ্রনাথকে ‘ভারত ভাস্কর’ উপাধি দিয়েছিলেন রাজা বীরবিক্রম কিশোর মাণিক্য

গল্পকথায় ঠাকুরবাড়ি, পর্ব-১০৪: আশ্রমের আনন্দময় পিকনিক

অধিকাংশ সময় লেজ খাড়া করে থাকে। পেট ও লেজের তলার রঙ সাদা। চোখ ও চঞ্চু কুচকুচে কালো। পা আর আঙুলের রঙ ধূসর। প্রজনন ঋতুতে এদের পালক আরও তেলতেলে কালো হয়। ফলে তখন রূপ যেন ফেটে পড়ে। আর গলায় তখন সুরও ঝরে ঝর্ণাধারার মতো। ভোর হতে না হতে শুরু করে দেয় সঙ্গীতসাধনা। কোনও একটা ডালে বা উঁচু খুঁটিতে বা টিভি অ্যান্টেনার উপর বসে নিবিষ্টচিত্তে খাড়া লেজটাকে নাচাতে নাচাতে গান গায়। আমরা যেমন গান গাওয়ার সময় পায়ে তাল রাখি, দেখে মনে হবে ওরাও যেন লেজে তাল রাখছে! বেলা বাড়ার সাথে সাথে গান হয়ে যায় বন্ধ। তারপর আবার সন্ধ্যের আগে শুরু হয় সাধনা।
তবে আমি দুপুরবেলাতেও ওদের গান গাইতে শুনেছি। এতরকম ওদের গানের সুর যে মনে রাখা মুশকিল। সেজন্য আমি লিখে রাখতাম। সব উল্লেখ করা সম্ভব নয়, তবুও ওদের গানের কিছু নমুনা দিই—এক, “টুটু-টিটিউ-টুটু-টিটিউ-টিটিউ” দুই, “টে-টে-টি-টিউ”, তিন, “টি-টে-টিয়ে-টিউ-টিউ”, চার, “টে-টুটি-টাটোটি”, পাঁচ, “টি-টিউ-টিউ-টিটিটিটিউ-টিইইইইই”, ছয়, “টে-টিউ-টিউ-টু”, সাত, “টে-টুটিটে-টিউটি-টিটি”, আট, “টি-টুটি-টিউ-টুটিটি”, নয়, “টি-টিউ-টি-টিউ-টিটুটু” ইত্যাদি। আমি মজা করে ওদের ডাকের অনুকরণে কথা বানাতাম। যেমন “টে-টুটি-টাটোটি” এর সাথে মিলিয়ে বলতাম ‘কে তুমি মামনি’, কিংবা “টে-টুটিটে-টিউটি-টিটি”-এর সাথে মিলিয়ে বলতাম ‘কে তুমি এ বিউটি চিনি’!

উঠোনে দোয়েল। ছবি: লেখক।

রূপে কিংবা গুণে স্ত্রী দোয়েল কিন্তু পুরুষের থেকে বেশ পিছিয়ে। পুরুষের যে অংশের রঙ কালো সেই অংশে এদের রঙ গাঢ় ধূসর। অবশ্য সাদা রঙের ক্ষেত্রে কোনও পার্থক্য নেই। আর তাই গায়ের রঙে তেমন জেল্লা নেই। পার্থক্য নেই আকারে বা অন্যান্য অংশের রঙে। গান গাইতেও এরা অপারগ। তা বলে ভালোবাসায় এরা কমতি যায় না। পুরুষ সঙ্গীকে ছেড়ে সে কখনোই যায় না। তবে হ্যাঁ, পুরুষের সাথে সবসময় একটু দূরত্ব বজায় রাখে। ভয়ে নাকি সম্ভ্রমে? কে জানে!

দোয়েলের বিজ্ঞানসম্মত নাম ‘Copsychus saularis’। ইংরেজিতে নাম ওরিয়েন্টাল ম্যাগপাই রোবিন (Oriental Magpie Robin)। দোয়েল – এই নামটাও কিন্তু খাঁটি বাংলা নাম নয়। ফরাসি ভাষায় এর নাম ‘শামা দায়াল’ (Shama Dayal) এবং ডাচ ভাষায় ‘দায়ালিজস্টার’ (Dayallijster)। প্রাচ্যের (Oriental) পাখি হলেও এর নামে যে পাশ্চাত্যের প্রভাব আছে তা অনস্বীকার্য। প্রায় পুরো ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ চিনে দোয়েল পাখি দেখা যায়। এরা মানুষের বসতিপূর্ণ এলাকাতে থাকতে পছন্দ করে। সমতল অঞ্চল থেকে ২০০০ মিটার উঁচু এলাকা পর্যন্ত দোয়েল পাখি বাস করে।

দোয়েলের প্রিয় খাবার হল পোকামাকড়। মাটিতে নেমে লাফিয়ে লাফিয়ে পোকা খুঁটে খেতে প্রায়ই দেখা যায়। আর এ সময় ওদের খাড়া লেজটা ওঠা-নামা করে। পোকাদের মধ্যে পিঁপড়ে ও পিঁপড়ের ডিম, ঘাস ফড়িং, শুয়োপোকা, আরশোলা, ঝিঁঝিঁ পোকা খুব প্রিয়। মাঝে মাঝে সবজি, ছোটো শামুক, কেঁচো বা ফুলের মধুও খায়।
আরও পড়ুন:

গল্পবৃক্ষ, পর্ব-১১: কাঁটার মুকুট

উত্তম কথাচিত্র, পর্ব-৫৯: হারিয়ে যাওয়ার ‘জীবন তৃষ্ণা’

এমনিতে দোয়েল শান্ত স্বভাবের পাখি হলে কী হবে প্রজনন ঋতুতে পুরুষ দোয়েল খুব বদমেজাজি হয়ে ওঠে। যেখানে বাসা বানায় তার চারদিকে একটা নির্দিষ্ট এলাকার দখল নিয়ে নেয়। ওই এলাকায় অন্য দোয়েলের প্রবেশ নিষেধ। নিজেরাও অন্যের এলাকায় যায় না। স্বভাবে এরা এতটাই অসামাজিক। যদি ভুল করে অন্য কোনও দোয়েল তার এলাকায় চলে আসে তবে প্রতিপক্ষের সামনে পুরুষ দোয়েল পালক ফুলিয়ে, চঞ্চু উঁচিয়ে একেবারে রণং দেহী মূর্তি নিয়ে হাজির হয়। ‘চ্যাঁ-চ্যাঁ’ করে চেঁচাতে চ্যাঁচাতে প্রতিপক্ষকে তাড়া করে এলাকা ছাড়া করে। এদের প্রজনন ঋতু ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই মাসের মধ্যে। পুরুষের গলায় যত সুর ও গান ঝরে পড়ে এই সময়। অন্য সময় কিন্তু এক্কেবারে মৌনিবাবা হয়ে থাকে! কখনও কখনও সঙ্গিনীর দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য মজাদার অঙ্গভঙ্গীও করে। কখনও বুকের পালক ফোলায়, কখনওবা লেজ প্রসারিত করে খাড়া করে তুলে ধরে গম্ভীরভাবে পায়চারি শুরু করে। আবার কখনও সঙ্গিনীর সামনে নমস্কারের ভঙ্গিতে মাথা নীচু করে।
আরও পড়ুন:

মহাকাব্যের কথকতা, পর্ব-৯৪: দশরথপুত্র ভরত, এক ব্যতিক্রমী চরিত্র, বর্তমানের নিরিখে এক বিরলতম প্রজাতি

মুলো খেতে আপত্তি নেই, তা হলে তার পাতার কী দোষ করল? এই শাকের কত পুষ্টিগুণ জানেন?

দোয়েল গাছের ফোকর, দেওয়ালের গায়ে গর্ত, ঘুলঘুলি, অব্যবহৃত পাইপের মুখ, ঝোপ বা দুই শাখাযুক্ত ডালের গোড়ায় পেয়ালা আকৃতির বাসা বানায়। টিনের কৌটোর মধ্যেও এদের বাসা বানাতে দেখা যায়। সাধারণতঃ মাটি থেকে ৫-২০ ফুট উচ্চতার মধ্যে বাসা বানায়। বাসা তৈরি করে নরম ও শুকনো ঘাস, নরম শেকড়, শুকনো পাতা, মস, পালক, লোম ইত্যাদি দিয়ে অনেকটা দায়সারাভাবে। বাসা খুব একটা শক্তপোক্ত হয় না। দোয়েলদের সংসারে কিন্তু নারী-পুরুষের সমানাধিকার। বাসা বানানো, ডিমে তা দেওয়া ও বাচ্চাদের খাওয়ানো – সব দায়িত্ব সমানভাবে পালন করে স্ত্রী ও পুরুষ দোয়েল।

স্ত্রী দোয়েল ৩-৫টি ডিম পাড়ে। ডিমগুলি ডিম্বাকার ও রঙ নীলচে সবুজ। ডিমের উপর বাদামি ছোপ থাকে। ডিম পাড়ার এক সপ্তাহ পর থেকে তা দেওয়ার কাজ শুরু হয়। ৮-১৪ দিন পর ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয়। মা ও বাবা দোয়েল বাচ্চাদের ছোটো পোকা ধরে এনে খাওয়ায়। ডিমে তা দেওয়া থেকে বাচ্চা লালনপালন করার সময় পর্যন্ত পুরুষ দোয়েল খুব আক্রমণাত্মক থাকে। ধারেকাছে কোনও পাখিকে আসতে দেয় না। পরের প্রজনন ঋতু আসা পর্যন্ত বাচ্চারা তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকে। প্রজনন ঋতুতে তারা আলাদা হয়ে যায়। দোয়েল বাঁচে প্রায় ১৫ বছর।

ডিম-সহ দোয়েলের বাসা। ছবি: সংগৃহীত।

দোয়েলের বড়ো শত্রু হল মানুষ। পুরুষ দোয়েলের রূপ ও গুণই তার কাল হয়েছে। মানুষ এদের ধরে খাঁচায় বন্দী করে পোষে। যদিও খাঁচায় বেশি দিন বাঁচে না, তবুও মানুষ পোষে। কেবল এই কারণেই ১৯৭০ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুর থেকে দোয়েল প্রায় বিলুপ্ত হতে বসেছিল। ভারতে দোয়েলের সংখ্যা বেশ ভালোই। সুন্দরবন অঞ্চলের বসতি এলাকার স্থায়ী পাখি দোয়েলকে আমি তো আমি সব জায়গাতেই দেখি। আইইউসিএন (IUCN) এদের বিপদগ্রস্ত নয় বলেই জানিয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পাখি হল দোয়েল।

সুরেলা ও বৈচিত্র্যময় গানের জন্য বাংলার কবি ও গীতিকারদের বড়ো পছন্দের পাখি হল দোয়েল। প্রকৃতির এই অপরূপ প্রাণীটি তাই ঠাঁই পেয়েছে বহু কবিতায় ও গানে। ঠাঁই পেয়েছে বাঙালির মননেও। এখনও উত্তুরে হাওয়া যখন যাই-যাই করে তখন থেকে কয়েক মাস সকাল-সন্ধ্যা আমার মন-প্রাণ ভরিয়ে দেয় দোয়েল-সঙ্গীত। সুন্দরবনের বসতি এলাকা থেকে ভুবন-মাতানো এ সঙ্গীত যেন কখনও হারিয়ে না যায়।—চলবে।
* সৌম্যকান্তি জানা। সুন্দরবনের ভূমিপুত্র। নিবাস কাকদ্বীপ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা। পেশা শিক্ষকতা। নেশা লেখালেখি ও সংস্কৃতি চর্চা। জনবিজ্ঞান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত। বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণের জন্য ‘দ্য সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল ২০১৬ সালে ‘আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড’ এবং শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞান লেখক হিসেবে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ ২০১৭ সালে ‘অমলেশচন্দ্র তালুকদার স্মৃতি সম্মান’ প্রদান করে সম্মানিত করেছে।/strong>

Skip to content