সুপ্রিম কোর্ট ফাঁসির পরিবর্তে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ‘কম যন্ত্রণাদায়ক ও মর্যাদাপূর্ণ’ পদ্ধতি খোঁজার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রকে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়ার পরামর্শ দিয়েছে।
এই মামলার শুনানিতে কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটরমানি উপস্থিত ছিলেন। প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলে, ‘‘কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানো হলে মৃত্যু পর্যন্ত ওই ব্যক্তিকে অসহনীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তাই বিষয়টি খুবই গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ফাঁসির বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজা প্রয়োজন।’’ এমনকি, শীর্ষ আদালত সাজাপ্রাপ্তকে ফাঁসিকাঠে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পদ্ধতিকে ‘মর্যাদাপূর্ণ’ নয় বলেও জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:
যা-ই খাচ্ছেন, তাতেই পেট জ্বালা করছে? রোজ কোন কোন খাবার পাতে রাখলে সমস্যা কমবে
ধাওয়া করে বাইকআরোহীকে পিষে মারল হাতি, ঝাড়গ্রামে দাঁতালের আক্রমণে মৃত্যু এক বৃদ্ধারও
প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ ওই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে দিল্লির অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এমস)-এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, দিল্লি, বেঙ্গালুরু বা হায়দ্রাবাদের মতো অন্তত দু’টি জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ, মনোবিদ, বৈজ্ঞানিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের রাখার সুপারিশ করেছে। শুনানিতে কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেলকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, ‘‘এখনকার বিজ্ঞানে কম যন্ত্রণাদায়ক ও মর্যাদাপূর্ণ মৃত্যুর কোনও বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে কি না, তা খুঁজে বার করুন।’’
আরও পড়ুন:
পঞ্চমে মেলোডি, পর্ব-৩: ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছিল পঞ্চমের প্রথম অগ্নিপরীক্ষা
বেগুন ভর্তা তো খেয়েছেন, এবার ঝটপট তৈরি করে ফেলুন লাউপাতার ভর্তা, রইল রেসিপি
উল্লেখ্য, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা উচিত কি না তা নিয়ে বিশ্ব জুড়েই বিতর্ক উঠেছে একাধিক বার। ভারতেও বিভিন্ন সময় দাবি উঠেছে মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়ার। মৃত্যুদণ্ড হিসাবে ফাঁসি কতটা ঠিক, সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ২০১৭ সালের অগস্টে প্রথম প্রশ্ন তুলেছিল।
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ এক মামলার শুনানিতে বলেছিল, ‘‘মৃত্যু যন্ত্রণাহীন ও মর্যাদাপূর্ণ হওয়া উচিত। সরকারের উচিত যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর বিকল্প উপায় খুঁজতে আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া।’’
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ এক মামলার শুনানিতে বলেছিল, ‘‘মৃত্যু যন্ত্রণাহীন ও মর্যাদাপূর্ণ হওয়া উচিত। সরকারের উচিত যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর বিকল্প উপায় খুঁজতে আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্য নেওয়া।’’