পুলিশের কাছে সাত বছরের বালক ভরত।
থানায় বাবার বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ জানাল সাত বছরের ছেলে! ঘটনাটি তেলঙ্গানার রাজন্না সিরসিল্লা জেলার মুস্তাবাদ শহরের। সাত বছরের খুদে ভরত মুস্তাবাদের একটি স্কুল তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। বাবা বালাকিষণ মদ্যপানে আসক্ত। তিনি রোজই মদ্যপ অবস্থায় খুদের সামনেই তাঁর স্ত্রীর মারধর করেন। নিত্যদিন বাবার হাতে মাকে নির্যাতিত হতে দেখে ভরত নিজেকে আটকে রাখতে পারেনি।
ভরত পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে সটান থানায় গিয়ে হাজির হয়। থানার সাব-ইন্সপেক্টর ভেঙ্কটেশ্বরলুকে পুরো ব্যাপারটি খুলে বলে। পুলিশকে ভরত জানায়, ‘‘বাবা চার বছর ধরে মদ্যপান করেন। মদ্যপ অবস্থায় মায়ের উপর রোজই শারীরিক নির্যাতন চালান। আমার পুলিশের উপর ভরসা রয়েছে। আমি জানি, মাকে ন্যায়বিচার দিতে পারবেন আপনারা।’’ পুলিশের কাছে তার একটাই আর্জি, বাবার বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ভরত পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে সটান থানায় গিয়ে হাজির হয়। থানার সাব-ইন্সপেক্টর ভেঙ্কটেশ্বরলুকে পুরো ব্যাপারটি খুলে বলে। পুলিশকে ভরত জানায়, ‘‘বাবা চার বছর ধরে মদ্যপান করেন। মদ্যপ অবস্থায় মায়ের উপর রোজই শারীরিক নির্যাতন চালান। আমার পুলিশের উপর ভরসা রয়েছে। আমি জানি, মাকে ন্যায়বিচার দিতে পারবেন আপনারা।’’ পুলিশের কাছে তার একটাই আর্জি, বাবার বিরুদ্ধে যেন কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
স্কুল থেকে পালিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথ হেঁটে আসা ভরতের কাথাগুলি শুনে অবাক হয়ে যান পুলিশকর্মীরা। খুদের কথাবার্তার দৃঢ়তা সবাইকে অবাক করে দেয়। পুলিশ তার কাছে জানতে চায়, তাকে থানায় অভিযোগ জানানোর জন্য কেউ পরামর্শ দিয়েছে কি না।
এদিকে, ভরতের অভিযোগের ভিত্তিতে থানার সাব-ইন্সপেক্টর তার বাবা বালাকিষণ এবং তার মা দীপিকাকে থানায় ডাকেন। সাব-ইন্সপেক্টর বালাকিষণকে সতর্ক করেন। সেই সঙ্গে তাঁকে পরিস্কার জানিয়ে দেওয়া হয় ফের স্ত্রীকে মারধর করলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরো ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেন একজন পুলিশকর্মী। ভরতের এই ভাবনা নেটমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। নেটাগরিকরাও খুদের সাহসকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন।