গুলির শব্দে ঘুম ভাঙলে মেয়েটি দেখে দাদার হাতে বন্দুক। বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় মায়ের দেহ পড়ে আছে। সেই ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখে মেয়েটি ভীষণ ঘাবড়ে গিয়েছিল। দাদার সেই মুহূর্তের রণমূর্তি দেখে কথা হারিয়ে ফেলেছিল বোন। সেই সঙ্গে ও এও বুঝে গিয়েছিল, দাদা-ই খুন করেছে তার মাকে। পাবজি খেলতে না দেওয়ার জন্য গত শনিবার মা সাধনা সিংহকে (৪০) বাড়িতে থাকে পিস্তল দিয়ে গুলি করে খুন করে দশম শ্রেণির ছাত্র ষোলো বছরের এই কিশোর। লখনউ-এর পঞ্চমখেদা যমুনাপুরম কলোনির বাসিন্দা তারই বোন সেদিনের সেই রোমহর্ষক কাহিনি শুনিয়েছে তদন্তকারী পুলিশকে। মেয়েটি জানিয়েছে, দাদার সে সময়ের ভয়ঙ্কর রূপ দেখে ভয়ে পাশের ঘরে গিয়ে ও কাঁদতে শুরু করে। তখন বোনের কাছে গিইয়ে তার দাদা বলে এ ঘটনার কথা পুলিশ বা অন্য কাউকে জানায়, তাকেও খুন করে দেবে। তার পর থেকে মেয়েটি আর বাড়ি থেকে বেরয়নি। দু’দিন ধরে কোনও খাবারো খায়নি। যদিও খিদের জন্য কান্নাকাটি করলে ওর দাদা খাবার তৈরি করে দেয় তাকে। মেয়েটি জানিয়েছে, মাকে খুনের পরের দিন দাদা বাড়িতে বন্ধুদের এনে পার্টিও করেছে। পার্টিতে আসা দাদার বন্ধুদের ও বিষয়টি বলার চেষ্টা করলে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
মেয়েটি পুলিশকে এও জানিয়েছে, মাকে গুলি করে খুন করার পর থেকে ওর দাদা একদম স্বাভাবিক ছিল। রাতে মায়ের দেহের পাশেই ঘুমতো। পচা গন্ধ আটকাতে ও রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করত। এদিকে, গ্রেফতার হওয়া ছেলের কাছে বাবা নবীন সিংহ জানতে চেয়েছিলেন, কী করে ও এমন কাজ করল? কিশোর উত্তরে জানায়, ‘তুমি কি কখনও আমার খেয়াল রাখতে?’
মেয়েটি পুলিশকে এও জানিয়েছে, মাকে গুলি করে খুন করার পর থেকে ওর দাদা একদম স্বাভাবিক ছিল। রাতে মায়ের দেহের পাশেই ঘুমতো। পচা গন্ধ আটকাতে ও রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করত। এদিকে, গ্রেফতার হওয়া ছেলের কাছে বাবা নবীন সিংহ জানতে চেয়েছিলেন, কী করে ও এমন কাজ করল? কিশোর উত্তরে জানায়, ‘তুমি কি কখনও আমার খেয়াল রাখতে?’