বৃহস্পতিবার ৭ নভেম্বর, ২০২৪


চলছে বিক্ষোভ।

উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠে যে সব বাড়ি ও হোটেলে ফাটল দেখা গিয়েছে সেগুলি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরাখণ্ড প্রশাসন। যদিও মঙ্গলবার সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে জোশীমঠের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, আগে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক, তার পর বিপজ্জনক বাড়িঘর ভাঙুন।
জোশীমঠের ‘মাউন্ট ভিউ’ ও ‘মালারি ইন’ হোটেল দুটি হেলে গিয়েছে। এই অবস্থায় প্রশাসন দুটি হোটেলই ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও হোটেল মালিকদের বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবার হোটেল দুটি ভাঙার কাজ থমকে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার দুই হোটেল ভাঙা হবে।
হোটেল মালিকদের বক্তব্য, প্রশাসন হোটেল ভাঙার কথা আগে থেকে জানায়নি। তাছাড়া হোটেল ভাঙার আগে এককালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়া দিতে হবে, এমনই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:

পরিচালক অনীক দত্তকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে আর কী জানিয়েছে হাসপাতাল?

প্রতি দিন এই ৩ যোগাসনে দূরে থাকবে কোভিডের নতুন উপরূপ

তবে শুধু হোটেলে মালিকরাই নন, প্রশাসনের ঘরবাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন জোশীমঠের বাসিন্দারাও। তাঁদের প্রশ্ন, ক্ষতিপূরণ না ঘোষণা করে কেন ঘরবাড়ি ও হোটেল ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ নিয়ে জোশীমঠের বহু বাসিন্দা বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেন।
এদিকে, হোটেলগুলিতে বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে অন্ধকারে ডুবেছে হোটেল সংলগ্ন এলাকার বাড়িগুলিও। প্রায় ৫০০টি বাড়িতে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:

রহস্য রোমাঞ্চের আলাস্কা, পর্ব-১: পৃথিবী খ্যাত ডালটন হাইওয়ে এই শহরকে ছুঁয়েছে আর্কটিক বৃত্ত তথা উত্তরমেরুর সঙ্গে

মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা সহজে শিখে নাও Transformation of Sentences by changing the DEGREES of Adjectives

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে খবর, জোশীমঠে মোট ৬৭৮টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোট ৮১টি পরিবারকে নিরাপদে জায়গায় সরানো হয়েছে। এদিকে, ক্ষতিপূরণের আবেদন জানিয়ে শীর্ষ আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার দ্রুত শুনানিতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৬ জানুয়ারি।

Skip to content